আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ‘ছলে-বলে-কৌশলে’ বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হলে তা দলীয় ‘শৃঙ্খলাবিরোধী অপকর্ম’ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল সকালে তাঁর বাসভবনে অনলাইন ব্রিফিংকালে এ কঠোর নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী ও তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে তালিকা হচ্ছে। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদদদাতা, উসকানিদাতা নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার সম্মুখীন হবেন। দলীয় প্রধানের নির্দেশে তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ দেশের ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক এবং নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। দেশের মানুষ ভালো করেই জানে বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত এ দেশে কারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, কারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। সেটা নতুন করে বলার বিষয় নয়। ‘বিএনপি ক্ষমতায় যেতে এবং ক্ষমতা অবৈধভাবে ধরে রাখতে সাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর নির্ভর করে’- দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৯১ সালেও বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে। দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির আমলে। জঙ্গি শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাইরা যে উগ্রপন্থার জন্ম দিয়েছিল, তার প্রশ্রয় ও আশ্রয়দাতা ছিল বিএনপি।