মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

জামিনে বেরিয়ে হামলার পরিকল্পনা দুই জঙ্গির

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তারা হলেন- আবদুল কুদ্দুস (৫৭) ও সিরাজুল ইসলাম ওরফে সালাউদ্দিন (৩৫)। তাদের রাজধানীর মালিবাগ থেকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-৩ বলছে, আবদুল কুদ্দুস ১০ বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আসেন। এরপর গত বছর থেকে তিনি এবং সিরাজুল ইসলাম আত্মগোপনে থাকা আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়ে একটি বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করে আসছিলেন। গতকাল র‌্যাব-৩ এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবদুল কুদ্দুস হুজিবির যশোর জেলার আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। পাশাপাশি তিনি যশোরের শেকহাটি এলাকায় ‘ওবায় বিন কাব’ মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার নামে ২০০৭ সালে ঝিনাইদহ সদর থানায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলা হয়। ওই মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। আবদুল কুদ্দুস ২০০৭ সাল থেকে ১০ বছর দুই মাস সাজা ভোগ করে ২০১৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরপর হুজিবির সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দল পুনর্গঠনে যশোর, মাগুরা এবং নড়াইলের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় নিয়মিত গোপন বৈঠক করতে থাকেন। গোপন বৈঠকগুলোতে ঢাকা থেকে হুজিবির উচ্চপর্যায়ের নেতারা অংশগ্রহণ করতেন।

বৈঠকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যশোর সীমা টেক্সটাইলের মসজিদ, যশোর মহাসড়কের বেইলি ব্রিজের ডান পাশের ছোট মসজিদ, যশোর নিউমার্কেট এলাকার মারকাজ মসজিদ। গত বছর আবদুল কুদ্দুস মোটামুটিভাবে এসব এলাকায় একটি শক্তিশালী হুজিবি ইউনিট গঠন করতে সক্ষম হন। আর সিরাজুল ইসলাম ২০০১ সালে যশোর কোল্ড স্টোরেজের নাইটগার্ড হিসেবে চাকরি করতেন। চাকরিরত অবস্থায় ২০০১ সালে কোল্ড স্টোরেজের নাইটগার্ডের তৎকালীন প্রধানের মাধ্যমে হুজিবিতে যোগ দেন তিনি। সিরাজুল ইসলাম যশোরের হুজিবি রিক্রুটার এবং অর্থনৈতিক শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। এ ছাড়া বিদেশি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশে হুজিবির অভ্যন্তরীণ ব্যয়ভার বহনের অর্থ জোগানের ব্যবস্থা করতেন তিনি। ছদ্মবেশে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন সিরাজুল। এ ছাড়া হুজিবির সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব গোয়েন্দা নজরদারি চালাতেন তিনি। ২০১০ সালে সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১১ সালে গ্রেফতার হন তিনি। এরপর ২০১২ জামিনে মুক্ত হয়ে মামলার আর কোনো শুনানিতে হাজির হননি।

র‌্যাব-৩ জানায়, তখন থেকেই তিনি খুলনা বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় পলাতক অবস্থায় আত্মগোপনে থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে থাকেন। তার প্রকৃত নাম মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম হলেও আত্মগোপনে থাকাকালীন তিনি সালাউদ্দিন ওরফে রিয়াজুল ইসলাম ওরফে বিশ্বাস ওরফে আমির ওরফে আবদুল্লাহসহ বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।

সর্বশেষ খবর