বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, জ্বালানিসংকট, ডলারের অস্থিরতা ও এলডিসি উত্তরণ-উত্তর বাণিজ্য বাস্তবতায় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত পোশাকশিল্প নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিল্পবান্ধব নীতিসহায়তা আদায়ে এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কাজ করবে সম্মিলিত পরিষদ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নির্বাচনি জোট সম্মিলিত পরিষদের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার ও চৈতী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম এবং নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম।
মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী চরম প্রতিযোগিতার এ সময়ে প্রয়োজন অভিজ্ঞ নেতৃত্ব ও গভীর বোঝাপড়ার। আমরা বিজিএমইএকে এমন এক আধুনিক ও সেবাকেন্দ্রিক সংগঠনে রূপ দিতে চাই, যেখানে সদস্যদের প্রয়োজনই হবে নীতিনির্ধারণের মূল ভিত্তি। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সম্মিলিত পরিষদের নেতারা বলেন, ‘আমরা কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি করি না। আমাদের দায়িত্ব সদস্যদের পাশে থাকা, তাদের দাবিকে শক্ত কণ্ঠে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা।
বিজিএমইএ নির্বাচনে যারা এবার প্রথম ভোট দেবেন, সেই তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আমরা ভবিষ্যতের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে চাই।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শোভন ইসলাম বলেন, এ নির্বাচন কেবল নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ নয়, বরং এটি এমন এক সময়, যখন সঠিক মানুষকে দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমেই আমরা বিজিএমইএ-কে নতুন যুগে প্রবেশ করাতে পারি।