প্রশাসনের চিরুনি অভিযানের ভয়ে লুটকৃত সাদাপাথর স্বেচ্ছায় ফেরত দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জব্দ ও ব্যবসায়ীদের স্বেচ্ছায় ফেরত দেওয়া পাথর রয়েছে। আর গতকাল পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র ও ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ ঘনফুট পাথর। প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে সাড়ে ১৮ লাখ ঘনফুট পাথর। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম লুটকৃত পাথর ফেরত দিতে সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে নিজ খরচে স্বেচ্ছায় পাথর ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে মঙ্গলবার (আজ) থেকে চিরুনি অভিযানে নামার ঘোষণা দেন। জেলা প্রশাসকের এই কঠোর হুঁশিয়ারির পর ব্যবসায়ীরা পাথর ফেরত দেওয়া শুরু করেন। ট্রাক ও ট্রলিতে করে তারা বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাটে নিয়ে জমা করছেন। সেখান থেকে নৌকায় করে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র ও ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিন মিয়া জানান, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে এখনো বিভিন্ন স্থানে জব্দ করা সাড়ে ১১ লাখ ঘনফুট পাথর রয়েছে। সাদাপাথর সংলগ্ন ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাটে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৩ লাখ ঘনফুট পাথর এসেছে। জব্দকৃত পাথরের পাশাপাশি অনেক ব্যবসায়ী স্বেচ্ছায় এখানে পাথর ফেলে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সাড়ে ৬ লাখ পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ নম্বর ঘাটে ৭ লাখ ঘনফুট ও বিভিন্ন স্থানে সাড়ে ১১ লাখ ঘনফুট পাথর রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এগুলো এনে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিস্থাপন করা হবে।