বাংলাদেশে চায়ের ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ঘরে ঘরে চায়ের ব্যবহার বাড়ছে, সে কারণে চায়ের উৎপাদন বাড়লেও সেভাবে আমরা রফতানি করতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এ কারণে চায়ের ব্যবহার বেড়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত আসন্ন দ্বিতীয় জাতীয় চা দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আশরাফুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ টি বোর্ডের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চা উৎপাদিত হয়েছে। ২০২১ সালে দেশে ৯৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ ১৪ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। দেশে এখন বৃহৎ চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানের সংখ্যা ৮ হাজারেরও বেশি। দেশে চা উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে আমাদের দেশে চায়ের ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চায়ের উৎপাদন বাড়াতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চায়ের নতুন ও উন্নত জাত উদ্ভাবনে গবেষণা বাড়ানো হয়েছে। কৃষকদের চা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এতদিন শুধু দেশের পাহাড়ি অঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও সিলেটে চা উৎপাদিত হত, এখন দেশের উত্তারঞ্চল পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিহাটের সমতল ভূমিতেও চা উৎপাদিত হচ্ছে। এতে অন্য ফসল চাষে অনুপযোগী জমিগুলোতে চা উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। ফলে দেশে চা শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চা উৎপাদনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে বিপুল পরিমাণ চা রফতানি করতে পারব।’
উল্লেখ্য, আগামী ৪ জুন বেলা ১১টায় ওসমানি মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ