বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শেখ হাসিনা কোনো দিন দেশে ফিরতে পারবে না। দেশে ফিরলেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতা হত্যাকাণ্ডের দায়ে তাকে ফাঁসিতে ঝুলতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের জন্য আতঙ্ক। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় থেকেছে তখনই মানুষকে অত্যাচার-নির্যাতন, গুম ও খুন করেছে। তিনি বলেন, ৭১-৭৫ পর্যন্ত অত্যাচার গুম খুন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জে চারটি ক্যাম্প স্থাপন করে অনেক মানুষকে হত্যা করে যমুনা নদীতে ফেলা হয়েছিল। যমুনা নদী কথা বলতে পারলে আজ সব বলে দিতো। এসব কারণে আওয়ামী-বাকশাল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আর বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই জিয়াউর রহমান পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের লাইসেন্স দিয়েছিল। তারপর আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফিরেছিল। এরপর ক্ষমতায় এসে মানুষের উপর কি পরিমান অত্যাচার-নির্যাতন, দুনীতি-লুটপাট করেছে তা জনগণ ইতোমধ্যে জেনে গেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চারিত্রিকভাবে ফ্যাস্টি, চারিত্রিকভাবে রক্তপিপাসু ও চারিত্রিকভাবে বিরোধীদল নিধনকারী। তারা একদলীয় শাসন কায়েম করতে চেয়েছিল। বিরোধী দলের নেতাকে দমন করতে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। সিরাজগঞ্জের প্রতিটি নেতাকে ২০-২৫টি করে মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ শহরে গয়লা ঈদগাহ মাঠে শহর বিএনপি আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ সুমন, লতিফ ও রশিদের স্মরন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, আবু সাঈদ বুক পেতে গুলি খেয়েছে। টিয়ারশেলের কালো ধোয়ার মধ্যেই পানি পানি বলে গুলি খেয়ে মুগ্ধ মারা গেছে। অনেক নিরাপরাধ শিশু নিহত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে-এটাই প্রথম বাংলাদেশে হয়েছে। এসব শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে ফ্যাসিষ্টদের ঠাই হবে না।
সমাবেশে শেষে তিনি তিনজন শহীদ পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে অনুদান প্রদান করেন।
শহর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইয়া সেলিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান লেবু, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ, ভিপি শামীম, শ্রী অমর কৃষ্ণদাস, শহর বিএনপির সভাপতি মুন্সী জাহিদ আলম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল