দক্ষিণ কোরিয়ার এই 'বেগুনি দ্বীপের' সব কিছুই বেগুনি। এমনকি এখানকার বাসিন্দারাও বেশিরভাগ সময় পড়ে থাকেন বেগুনি রঙয়ের পোশাক। অপরাজিতা ফুল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পুরো দ্বীপটি বেগুনি রং ধারণ করায় পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
২০১৯ সালে ভ্রমণের জন্য খুলে দেয়ার পর এখন পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি পর্যটক দ্বীপ গুলোতে এসেছেন। রেস্তোরাঁগুলোতে বিটরুট আর ফুলের রস দিয়ে রান্না করা বেগুনি রঙয়ের খাবারও পরিবেশন করা হয়।
মার্কিন পর্যটক ট্রুডি বেকার বলেন, 'আমি বিটিএসের ভক্ত। জায়গাটি এমনিই অনেক সুন্দর আর বিটিএসের সঙ্গে অনেক কিছুতে মিল থাকায় ভক্ত হিসেবে এটা আমার কাছে আরও স্পেশাল হয়ে উঠেছে।'
চারপাশে বেগুনি রঙের ছড়াছড়ি। পোশাক থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট এমনকি খাবার-দাবার পর্যন্ত বেগুনি রঙের। এমনই পরিস্থিতি দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যানোল ও বাকজি দ্বীপে।
বেশিরভাগ বাসিন্দা শহরে ছেড়ে চলে যাওয়ায় এখন অনেকটাই পরিত্যক্ত দ্বীপগুলো। তবে স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের উদ্যোগে এসব দ্বীপ এখন পরিণত হয়েছে আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রে। দ্বীপদুটি আবারো প্রাণ ফিরে পাওয়ায় আনন্দিত বাসিন্দারাও।
পার্পল আইল্যান্ডের বাসিন্দা শিন দ্যুক ইম বলেন, 'সবাই চলে যাওয়ার পর জীবনটা অনেক নিরস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অপরাজিতা ফুল চাষ শুরুর পর এখানে আবারো তরুণ তরুণী এবং বাচ্চারা আসতে শুরু করেছে। ওদের দেখে খুব ভালো লাগছে।'
উল্লেখ্য, দ. কোরিয়ার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্যানোল আর বাকজি দ্বীপের কথা এতদিন অজানাই ছিল অনেকের কাছে। তবে অভিনব কায়দার কারণেই দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে দ্বীপ দুটির সুনাম। তরুণ বাসিন্দারা শহর ছেড়ে দেওয়ার পর একশোর বেশি বয়স্ক বাসিন্দা নিয়ে পরিণত হয় দ্বীপে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির