সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাইলেন ১১১ জন সংসদ সদস্য। ২৬ মার্চকে সামনে রেখে আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জাতীয় সঙ্গীতের মহড়ায় অংশ নিয়ে গান গাইলেন তারা।
বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হকের নির্দেশনায় একবার নয়, কয়েকবার করে গাওয়া হয়েছে পুরো গানটি। প্রথমে তিনি নিজ কণ্ঠে গানটির বিভিন্ন অংশ গেয়ে শোনান। এরপর সুরের তালে তালে সে গানে কণ্ঠ মেলান সংসদ সদস্যরা।
সংসদস সদস্য মোট ৩০০ জন হলেও মহড়া শুরু হয় মাত্র ৯০ জন এমপিকে নিয়ে। মহড়া চলাকালীন একে একে এসে যুক্ত হন আরও ১১ জন। ২৫ মিনিট ধরে চলে এ মহড়া। এর মাঝেই কয়েক দফায় খণ্ড খণ্ড করে পুরো সঙ্গীত গাওয়া হয়।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। মহড়ার শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানান সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর।
মহড়া শেষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ২৬ মার্চ জাতীয় সঙ্গীতের রেকর্ড করার অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ৩ লাখ বা তার চাইতেও বেশি মানুষ সেদিন জাতীয় সঙ্গীত গাইবে। আজকের এ সুন্দর বিকেলকে সংসদের সদস্যদের কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের অনুশীলন আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সঙ্গীতশিল্পী মিতা হক তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিক সারাজীবন জাতীয় সঙ্গীত অন্তরে-বাইরে গাইবে। গানের টেকনিক্যাল বিষয়, সুর-তাল- লয় না মিললে গান গানের মতো হয় না। এ মহড়া অনেক সুন্দর এক আয়োজন। সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আমরা দেশের কল্যাণের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে সংসদ সদস্যদের জাতীয় সঙ্গীত শুদ্ধিকরণের এ উদ্যোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মিতা হক বলেন, এমন উদ্যোগ আরে আগে হওয়া উচিত ছিল। এতোদিন না হওয়ায় কিছুটা কষ্ট তো লাগেই। তবুও আমরা আনন্দিত।