বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আব্দুস সালামের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা সরকারের চরম প্রতিহিংসামূলক জুলুম নির্যাতনের বহিঃপ্রকাশ।
দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী রবিবার নিম্ন আদালতে হাজির হলে তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। দেশবাসীর গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের পক্ষে এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলার অপরাধেই দলের মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এক অদ্ভুত হীরক রাজার দেশে বাস করছি যেখানে এক ব্যক্তির খেয়ালখুশীতেই দেশ চলছে, যেখানে সত্যের পক্ষে কথা বলার কোনও অধিকার কারও নেই। বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে বেছে বেছে গুম, খুন ও পাইকারি হারে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে গোটা দেশকেই ভয়ংকর বন্দীশালায় পরিণত করেছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে পালাক্রমে আটকে রেখে তারা সিংহাসনকে অবৈধভাবে আঁকড়ে থাকতে চাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ কখনোই মানুষের মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করেনি উল্লেখ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যই হচ্ছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি সবসময়ই অবজ্ঞা প্রদর্শন। স্বৈরাচারী নীতির কারণেই অতীতে তাদের পরিণতি ভালো হয়নি, আগামীতেও হবে না। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ন্যাক্কারজনক মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে চলমান আন্দোলনকে দুর্বল করা যাবে না। সংগ্রামী জনগণ অবৈধ সরকারের সকল অনাচারের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত হচ্ছে।
অবিলম্বে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও আবদুস সালামকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জোর দাবিও জানান তিনি।