বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার আচরন বিধিভঙ্গের অভিযোগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী বিজিবির মারপিটে আহত আওয়ামী লীগের সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নেয়ামত হোসেন(৫৬) আজ সকাল ৮.১০ মিনিটে ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
এদিকে সরদার নেয়ামত হোসেনের মৃত্যুকে হত্যাকান্ড হিসাবে অবিহিত করে সকালে আওয়ামী লীগ কালোব্যজ ধারন, কালো পতাকা উত্তোলন করে উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের পর সাড়ে এগারোটায় টায়ার জ্বালিয়ে মংলা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। এঘটনায় আগামীকাল উপজেলায় আর্ধদিবস হরতাল আহবান করেছে আওয়ামী লীগ।
২৭ ফেব্রুয়ারী দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত তফসিল অনুয়ায়ী নির্বাচনের দিন ফকিরহাট উপজেলার সাতশিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই মারপিটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের উষ্কানিদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার নেয়ামত হোসেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুর ইসলামকে দায়ী করেছিলেন। এদিকে তিনি এই অভিযোগে বাগেরহাট চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাসিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা ও পরে হাইকোর্টে ওই উপজেলার নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রীট পিটিশন দায়ের করেছিলেন। এ দুটি মামলা আদালত আমলে নেয়নি।
চলতি মাসের ১০ মার্চ ওই উপজেলার স্থগিত সেন্টারের ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। তবে এদিন দুপুরে হাসপাতালে অসুস্থাবস্থায় তিনি ওই নির্বাচন বর্জন করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। ভোট গ্রহন সম্পন্নের পরদিন জেলা রিটানিং অফিসার বিএনপি সমর্থিত শেখ শরিফুল কালাম কারিমকে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত ঘোষনা করেন। এই খবরের পর সরদার নেয়ামত হোসেন ষ্ট্রোক করেন। পরে তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিতৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যান।
এর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হযেছে বলে তার পরিবার থেকে জানানো হয়েছে। এখন তার মরদেহ ঢাকা থেকে বাগেরহাটের ফকিরহাটে নিয়ে আসা হচ্ছে।