প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল নিয়ে এতো কথা হয়। যদি আপনারা বলেন তাহলে আজকেই এগুলো বন্ধ করে দিতে পারি।
তিনি আজ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরদানকালে এ কথা বলেন।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এক সম্পূরক প্রশ্ন করে বলেন, সরকার জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভাড়াভিত্তক রেন্টাল-কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে গিয়েছিলো। এখন তো বিদ্যুৎতের একটি স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসছে তাই ভাড়াভিত্তিক এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র কমিয়ে আনা যায় কি না?। একই সঙ্গে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আলাদা কোনো নীতিমালা করার চিন্তা সরকারের আছে কি না জানতে চান বাহাউদ্দিন নাসিম।
তার প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় বার আমরা যখন ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করি তখন বিএনপি বিদ্যুৎ উৎপাদন আমাদের আগের মেয়াদের ৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াট থেকে নামিয়ে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে রেখে গিয়েছিলো। এ অবস্থায় আমারা ২০০৯ সালে ক্ষমতা নিয়ে দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভাড়াভিত্তিক রেন্টাল-কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে যাই। আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন কুইক রেন্টাল ছাড়া উপায় ছিলো না। বাড়তি বিদ্যুৎ কি মানুষের কাজে লাগছে না। আসলে সুখ পেলে মানুষ দুঃখের কথা ভুলে যায়। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন যে হারে বেড়েছে তা অতীতের কোনো সময়ে ছিলো না। সর্বশেষ ১৮ মার্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় ১১ হাজার ৮৮৪ মেগাওয়াট।
বর্তমানে মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে ৬২ থেকে ৬৪ শতাংশ। আজ যেসকল মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে না তারা কি পাবে না। তাতো হতে পারে না। তাই আপনারা যারা রেন্টাল-কুইক রেন্টাল নিয়ে এতো কথা বলছেন, এতো কথা কেন হয় আমি বুঝি না। যারা রেন্টাল-কুইক রেন্টাল নিয়ে কথা বলছেন তারাতো এসি রুমে বসেই সরকারের সমালোচনা করছেন। যদি বলেন আমি এখনই বন্ধ করে দিতে পারি। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কী অবস্থা হবে?