নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সেভেন মার্ডার মামলার অন্যতম আসামি হাসমত আলী হাসুকে গ্রেফতার নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজালের। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, যশোর থেকে হাসুকে গ্রেফতার করা হয়। তবে যশোরের কোনো বাহিনী এই গ্রেফতারের খবর জানে না আজ বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত।
এ প্রসঙ্গে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, 'হাসু নামে কাউকে যশোর পুলিশের কোনো শাখা গ্রেফতার করেনি। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের সঙ্গেও আমার আলাপ হয়েছে। সেখানকার পুলিশও তাকে গ্রেফতার করেনি বলে আমাকে জানিয়েছেন ওই জেলার এসপি।'
গতকাল মঙ্গলবার রাতে হাসুকে যশোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তবে পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদের কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, ''মঙ্গলবার রাতে যশোরের সীমান্ত এলাকা থেকে হাসুকে গ্রেফতার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।' নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সাত খুনের মামলা তদন্তে গঠিত জিজ্ঞাসাবাদ কমিটির আহ্বায়ক মো. জাকারিয়া এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বলে রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে যশোর বিজিবির ( ২৬ ব্যাটালিয়নের) অধিনায়ক লে. কর্নেল মতিউর রহমান জানিয়েছেন, হাসু নামে কাউকে তার ব্যাটালিয়ন আটক করেনি।
বিজিবির সাউথ-ওয়েস্ট রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল করিম বলেন, 'আমরা যদি এমন কাউকে আটক করতাম তাহলে সাংবাদিকদের আমি নিজে ফোন করে তথ্য দিতাম। কারণ এক ট্রাক অবৈধ মালামাল উদ্ধারের চেয়ে হাসুকে আটক করতে পারা অনেক বেশি কৃতিত্বের।'
উল্লেখ্য, বিজিবি সাউথ-ওয়েস্ট রিজিওনের অধীনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গোটা সীমান্ত। কুষ্টিয়া থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত এই সীমান্তের দুটি সেক্টর ও ছয়টি ব্যাটালিয়ন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হলো বিজিবি সাউথ-ওয়েস্ট রিজিওন।
হাসমত আলী হাসুকে গ্রেফতার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত যশোর পুলিশের বিভিন্ন শাখার পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা হয়। তারা কেউ এ ব্যাপারে কোনো তথ্যই দিতে পারেননি।
সর্বশেষ আজ বুধবার বেলা সোয়া ১২টায় কথা হয় র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মাসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'আমরা হাসুকে গ্রেফতার করিনি।'