নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট চন্দনসহ ৭ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান শুরুর কথা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এনডিসি আবুল কাশেম শাহীনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম এ ক্রোক অভিযান চালাবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ট্রাক স্ট্যান্ডের পাশে নূর হোসেনের বাসা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘিরে রেখেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিন নূর হোসেনের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিল একসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। পরদিন ২৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান করে মামলায় আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে।
এরপর ৩০ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সবারই হাত-পা বাঁধা ছিল। পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন। প্রতিটি মৃতদেহ ইটভর্তি দুটি করে বস্তা বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। গত ৩ মে নূর হোসেনের সিদ্ধিরগঞ্জের বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেফতার এবং রক্তমাখা মাইক্রোবাস জব্দ করে। এরপর গ্রেফতার করা হয় আরও ৭ জনকে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাব-১১ এর কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন নিহত নজরুলের পরিবার। নজরুল ইসলামের শ্বশুর অভিযোগ করেন, ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাবকে দিয়ে ওই সাতজনকে হত্যা করিয়েছেন নূর হোসেন।