দরিদ্র ঘরের মেয়েদের উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে নারী পাচারকারী চক্র। নারী প্রতি ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বাংলাদেশি নারীদের তুলে দেওয়া হয় ভারতীয় দালালদের হাতে। এই চক্রের নেতৃত্ব দেয় নিখিল নামে এক ভারতীয় নাগরিক। সে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করে এসব কাজ করে আসছিল। বুধবার গভীর রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে অভিযান চালিয়ে ২ নারী ও এক ভারতীয় নাগরিকসহ ৮ পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন নিখিল দাস, (৪৫), আব্দুল মজিদ (৩০), মনিকা (২১), চঞ্চলা রানী ( ৩৮), আরিফুল ইসলাম (২৬) , নবী হোসেন ( ৪০), আনোয়ার হোসেন (৩০), গোপাল মণ্ডল (৫৬)।
গ্রেফতারের সময় পাচারের উদ্দেশ্যে আনা তিনজন নারী আমেনা বেগম (২০), শান্তা (১৬) ও রুমা বেগমকে (২৩) উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে অল্প বয়সী বাংলাদেশি নারীদের উচ্চ বেতনে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এ কাজটি করে আসছিল। দলনেতা নিখিলের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
তিনি বলেন, পাচারকারী চক্রটি অবৈধভাবে যশোর ও সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে নারী ও শিশু পাচার করে ভারতে নিয়ে যায়। এর আগে, এই চক্রটি বাংলাদেশ থেকে ২০ জন নারী ও শিশুকে ভারতে পাচার করেছে। পাচারকারী দলের ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার ( মিডিয়া) মাসুদুর রহমান ও উপ-কমিশনার আবু নাসের মো. জনি।