বাংলার মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় যা যা করণীয় তাই করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার বিকেল পৌঁনে ৫টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ঠেকাতে প্রয়োজনে সবকিছু করা হবে।’ ক্ষমতায় না যেতে পেরে বিএনপি নেত্রীর (বেগম খালেদা জিয়া) মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত নির্বাচন করতে পারবে না বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। আর ক্ষমতায় না আসতে পেরে বিএনপি নেত্রী জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে দেশে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছেন।
এসময় খালেদা জিয়াকে দুর্নীতি ও জঙ্গীবাদের রাণী মন্তব্য করে তার কথায় মাঠে না নামতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
হরতালে যারা নাশকতা করে, জ্বালাও-পোড়াও করে তাদের রুখে দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি কোথাও নাশকতা করতে চাই তাহলে তাদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিন। নাশকতা রুখতে যা করা লাগে আমরা তাই করব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। হাওয়া ভবন তৈরি করে দেশে লুটপাট চালায়।
তিনি আরও বলেন, ‘জেনারেল জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জাতির জনকের দেওয়া সংবিধান স্থগিত করে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছিল।’
এর আগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দীতে এ সমাবেশ শুরু হয়। পরে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশে যোগ দেন।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বিএনপি একটি অশুভ দল। তারা যেকোনো সময় অঘটন ঘটাতে পারে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আপনারা ঐক্যবদ্ধ, সজাগ ও সতর্ক থাকুন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০১৯ সালের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। ২০১৯ সালের নির্বাচনও জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হয়ে হ্যাট্রিক করবেন।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া আপনি পরাজিত, ব্যর্থ। যে সেনাপতি নিজেই যুদ্ধক্ষেত্রে নামে বুঝতে হবে, তার সৈন্যরা হয় পালিয়েছে, না হয় নিহত হয়েছে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, শেখ সেলিম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউসার, কৃষক লীগের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুন্নেছা মোশাররফ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব