মেহেরপুর সদরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জামায়াত নেতা রমজান আলী (৪২) নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
সদর থানা পুলিশের একটি দল রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রমজানকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে বন্দর শ্মশানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রমজান আলী (৪২) সদরের পিরোজপুর ইউনিয়নের বারাদী রাজনগর গ্রামের আমির শেখের ছেলে। তার নামে ২০১৩ সালে নাশকতার ঘটনার সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি জামায়াতের রোকন ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলি এবং একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি আহসান হাবিব।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন—সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেজবাহুল, এএসআই আব্দুল হক, কনস্টেবল শাহীন ও আশরাফুল। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি বলেন, ''রমজান জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগে সাতটি মামলা রয়েছে।''
তিনি বলেন, রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের একটি দল অস্ত্র উদ্ধারে রমজানকে নিয়ে বন্দর শ্মশানঘাট এলাকায় যায়। এ সময় তার সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পিছু হঠে। এর মধ্যে রমজান আলী গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ রাতেই মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আনা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় সদর থানায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ