রেলওয়ের সম্পত্তি চুরি, অবৈধভাবে দখল করলে তাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারসহ সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং এ অপরাধে সহায়তার জন্য ৫ বছরের দণ্ডের বিধান রেখে ‘রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল উদ্ধার) বিল- ২০১৬’ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
সংসদের বাজেট অধিবেশনে বৃহস্পতিবার বিলটি উত্থাপন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। পরে বিলটি একমাসের মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, উচ্চ আদালতের রায়ে সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল হয়ে গেলে ১৯৭৯ সালে জারি করা দ্যা রেলওয়ে প্রোপারটি (আনলফুল পজেশন) অর্ডিন্যান্সটির কার্যকারতা লোপ পায়। পরে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরণ বিশেষ বিধান আইন প্রণয়ন করা হয়। তারই আলোকে রেলওয়ে সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্যের কাছে যদি মনে হয় কোনো ব্যক্তি এই আইনের আওতায় অপরাধ করছেন, তবে বিনা পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করতে পারবেন। এ ছাড়া তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাহিনীর কর্মকর্তারা কোনো ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া, দলিল দাখিল বা উপস্থিতি নিশ্চিতে সমন জারি করতে পারবেন।
কোন স্থানে রেলওয়ের চুরিকৃত বা অবৈধভাবে অর্জিত রেল সম্পত্তি জমা বা বিক্রির জন্য ব্যবহৃত হওয়ার খবর থাকলে নিরাপত্তা বাহিনী আদালতের অনুমোদন নিয়ে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা ও মালামাল জব্ধ করতে পারবেন। এছাড়া অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, প্রাণী, যানবাহন বাজেয়াপ্ত এবং তা রেলওয়ের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ জুন, ২০১৬/রেজা/মাহবুব