জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের মধ্যে ছয়জনের রায় এখনো কার্যকর হয়নি। তারা এখনও বহাল তবিয়তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছয়জনের মধ্যে দু'জনের খোঁজ পাওয়া গেলেও চারজনের অবস্থান এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে পাঁচজনের দণ্ড কার্যকর হয়েছে। অপর সাতজনের মধ্যে ছয়জন এখনো বিদেশে পালাতক। এরা হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও আবদুল মাজেদ।
সরকারের তথ্য মতে, রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় রয়েছেন। খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, আব্দুল মাজেদ ও মোসলেম উদ্দিন খান সম্পর্কে সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য নেই।
তবে খন্দকার আবদুর রশিদ কোনো সময় পাকিস্তানে, কখনো লিবিয়ায়, শরিফুল হক ডালিম পাকিস্তানে, আবদুল মাজেদ সেনেগালে রয়েছেন বলে বিভিন্ন সময়ে খবরে উঠে এসেছে। রিসালদার মোসলে উদ্দিনকে নাকি জার্মানিতে দেখা গেছে।
তাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা জারি অব্যাহত রয়েছে। দণ্ডিত অপরজন আবদুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা গেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জাতি ১৫ আগস্ট ৪১তম জাতীয় শোক দিবস পালন করছে। জামার্নিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা রিসালদার মোসলে উদ্দিনকে সে দেশে দেখেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ১২ খুনির মধ্যে পলাতক ছয়জনকে দেশে আনতে কূটনৈতিক ও আইনি প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাদের কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, যদিও তারা কোথায় লুকিয়ে আছে সে ব্যাপারে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হতে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে আইজিপি একেএম শহীদুল হক জানান, মোসলে উদ্দিনকে শনাক্ত করতে এবং দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের কাছে ছবি পাঠানো হয়েছে। ইন্টারপোল বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অবস্থান জানতে আরও তথ্য চেয়েছে। মোসলে উদ্দিনকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ