প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যার ‘অন্যতম হোতা’ আবদুস সবুরকে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন আসামি সবুরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ব্লগার, প্রগতিশীল লেখক ও প্রকাশক হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে যে ৬ জনকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল সবুর তাদের একজন। তার নামে ২ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
এর আগে, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শনিবার সকাল ৯টার দিকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সবুরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার সবুর বিভিন্ন সময়ে সামাদ, সুজন, রাজু ও সাদ নামও ব্যবহার করেছেন বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে, টুটুল হত্যাচেষ্টায় জড়িত আনাসারুল্লাহ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, ঘটনাস্থল রেকি করা এবং হামলা পরিকল্পনা তৈরি করা ছাড়াও ওই ঘটনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করার মধ্যে সে একজন।”
সবুর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে আনাসারুল্লাহ বাংলা টিমের একটি বোমা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে বাড্ডার সাঁতারকুলে ওই সংগঠনের নতুন এক আস্তানায় নিজেও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর বিকালে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেদিনই ধানমন্ডিতে আরেক প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে এর কর্ণধার আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। ওই দুই প্রকাশনা থেকেই বিজ্ঞান মনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশিত হয়েছে, যিনি গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব