তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবীতে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে সকলকে নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, এজন্য আগামী প্রজন্মকে হতে হবে স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে দক্ষ।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের (৮ সেপ্টেম্বর) সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।
‘অতীতকে জানবো, আগামীকে গড়বো’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন,‘আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত: জানাই এবং উদ্যোক্তাদের জানাই অভিনন্দন।’
আবদুল হামিদ বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে গুণগত শিক্ষাকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
একটি জাতিকে শ্রেষ্ঠত্বের সর্বোচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সর্বস্তরে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা পাওয়ার অধিকার বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার জন্যও সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, সাক্ষরতা অর্জনের মাধ্যমে শুধু লেখাপড়া নয়, মানুষের জ্ঞান সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়; যা সুস্থ সমাজ ও উন্নত দেশ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এজন্য সাক্ষরতা বিস্তারে ‘তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান’।
আবদুল হামিদ বাণীতে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তি নির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নে সরকার নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণ কর্মসূচিকেও একটি সামাজিক অভিযান হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়াস চালাতে হবে।
তিনি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এনায়েত করিম