বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছনোর কথা ছিল রাত ৮টা ৪০মিনিটে। কিন্তু ৪১৯ জন হাজি নিয়ে বিমানটি যখন হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তখন শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টা। অর্থাৎ বিলম্ব প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শাহজালালে অবতরণ করা বিমানের চারটি ফিরতি হজ ফ্লাইটের সবগুলোই পৌঁছেছে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা বিলম্বে। এরপর বিমানবন্দর থেকে বের হতে নানা প্রক্রিয়ায় ধীরগতির কারণে লেগে যাচ্ছে আরও কয়েক ঘণ্টা। এতে ব্যাপক ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন হাজিরা।
বিমানবন্দর থেকে জানা যায়, মিনা থেকে জেদ্দায় পৌঁছাতে অনেক যাত্রী সময় বেশি নিচ্ছেন। এ কারণে শিডিউল পেছানো ও নির্ধারিত সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে।
বিমানবন্দর হজ কন্ট্রোল রুম থেকে জানা যায়, রবিবার বিকেল পৌনে ৬টা পর্যন্ত বিমানের চারটি এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের ১০টি নিয়মিত ও হজ ফ্লাইট হাজিদের নিয়ে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসব এয়ারলাইন্সে দেশে ফিরেছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার হাজি।
হাজিরা জানান, সৌদি থেকে দেশে ফিরতে তাদের ১৫-১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে। ফ্লাইট বিলম্বের কারণে জেদ্দা বিমানবন্দরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে হাজিদের। এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
তারা জানান, জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে নির্ধারিত সিডিউলের প্রায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পর ছাড়ছে বিমানের হজ ফ্লাইটগুলো। ফলে বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে হাজিদের। মোয়াল্লেমের গাফিলতি ও সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে দেরিতে লাগেজ পৌঁছানোর কারণে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হাজিরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এমনকি হোটেল থেকে বিমানবন্দরে যেতে তাদের যানবাহনের সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হাজিরা।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া ফিরতি হজ কার্যক্রম চলবে এক মাসব্যাপী। বিমানের সর্বশেষ ফ্লাইটটি ঢাকায় আসবে ১৭ অক্টোবর।
এসব ফ্লাইটে মোট ৪৯ হাজার ৫৪৫ জন হাজি ফিরবেন। মাসব্যাপী কার্যক্রমে ডেডিকেটেড ও শিডিউল মিলিয়ে মোট ১৩৭টি ফ্লাইট চালাবে বিমান।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ