কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জরিমানার অর্থ পরিশোধে এখন থেকে আর ফের আদালতের অনুমতি লাগবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকে সরাসরি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করা যাবে।
চলতি বছর ফুলকোর্ট সভায় এই বিষয়টি অনুমোদিত হলেও মঙ্গলবার এই নির্দেশনা জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, “কোনো আদালতে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড একত্রে আরোপ করা হলে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির প্রতিনিধি বা নিকটাত্মীয় আরোপিত অর্থ কারাভোগ শেষ হওয়ার পূর্বে বা পরে যে কোনো সময় সংশ্লিষ্ট আদালতের পূর্বানুমতি ছাড়াই বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা প্রদান করতে পারবেন।”
রায় যে জেলার আদালতের কাছ থেকে আসে, সেই জেলায় বা আসামি যে জেলার কারাগারে রয়েছেন, সেই জেলার ব্যাংকে এই অর্থ জমা দিতে হবে।
সেই চালানের কপি জমা দেওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ চালানটির সঠিকতা ও সাজা পরোয়ানায় উল্লিখিত অর্থের পরিমাণ যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর আসামিকে মুক্তি দেবেন এবং বিষয়টি বিচারিক আদালতকে জানাবে।
এই প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি কারা মহাপরিদর্শকসহ অন্য সব কারা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশের সব বিচারিক আদালত ও ব্যাংকে পাঠানো হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব