বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চরম মিথ্যাচার আওয়ামী লীগ ও সরকারে পদোন্নতির একমাত্র মাপকাঠি। আওয়ামী লীগে ব্যক্তির যোগ্যতা ও মেধার ইন্টিগ্রেটির কোনো বালাই নেই।
আজ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাদের মনস্তত্ব বিশ্লেষণে যেটি পাওয়া যায় তা হলো ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড, চরম মিথ্যাচার, অপরাধ করেও অনুশোচনাহীন, অগভীরতা, পরজীবীর মতো আচরণ এবং ব্যর্থতার দায়িত্ব নিতে অপারগতা।’
তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ (পিজি) একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ওই এলাকায় তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ গোয়েন্দাদের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকার কথা। যেখানে সরকারি অনুমোদন ছাড়া কাকপক্ষিও ঢুকতে পারে না; সেই বিএসএমএমইউতে বোমাসদৃশ্য বোতল উদ্ধারের ঘটনায় তথ্যমন্ত্রী এখন বিএনপির যোগসূত্র খুঁজছেন।
রিজভী বলেন, এ জন্যই বলেছি যে, আওয়ামী নেতারা চরম মিথ্যাচার দিয়ে নিজেদের ষড়যন্ত্র ঢাকতে পারঙ্গম। তথ্যমন্ত্রীর তো ভুলে যাওয়ার কথা নয়, শেরাটনের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে সারা দেশে গাড়িতে পেট্রল বোমা হামলা কারা করেছিল, বিহঙ্গ গাড়িতে পেট্রল হামলা কারা করেছিল, যা পরবর্তী সময় আওয়ামী নেতারাই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ স্বীকারোক্তির কথাটি তথ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করলেন না কেন?
বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএসএমএমইউতে পেট্রল বোমাসদৃশ্য বোতলও ক্ষমতাসীন মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ এবং এটি কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, এটিও দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল