১৭ জুলাই, ২০১৯ ১৫:৪৮

আদালতের ভেতর ছুরি নিয়ে যায় কীভাবে, পুলিশ কী করে: হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক

আদালতের ভেতর ছুরি নিয়ে যায় কীভাবে, পুলিশ কী করে: হাইকোর্ট

কুমিল্লায় বিচারকের খাস কামরায় এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সারাদেশের আদালতে আইনজীবী, বিচারক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

কুমিল্লার ওই ঘটনার পর বিচারকদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত চেয়ে করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে বুধবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিদের গত সোমবার হাজিরার দিন ধার্য ছিল। মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ৪নং আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৬নং আসামি হাসান। এ সময় জীবন বাঁচাতে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় প্রবেশ করেন। সেখানে প্রবেশ করে টেবিলের উপর ফেলে ফারুককে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে হাসান। পরে আহত ফারুক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।   

বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ বাদী হয়ে ফারুকের হত্যাকারী হাসানকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরবর্তীতে তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিবির পরিদর্শক প্রদীপ মন্ডলকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সারাদেশের বিচারকদের নিরাপত্তা চেয়ে রিট করেন এক বিচারকের স্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আদালত বলেন, কুমিল্লার পর গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বারেও ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় কোর্টে আইনজীবী, জাজ ও কর্মকর্তাদের সিকিউরিটির জন্য কী পদক্ষেপ নিলেন।

তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, কুমিল্লা এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের ২টি ঘটনাই ব্যক্তিগত।

এ সময় আদালত বলেন, ব্যক্তিগত হোক, যাই হোক। কোর্টের ভেতরে ছুরি নিয়ে কিভাবে যায়? পুলিশ কী করে? ডেফিনেটলি এটা পুলিশের নেগলিজেন্স।

তখন আবেদনকারী আইনজীবী বলেন, নিরাপত্তাতো সবার জন্য। উনিও (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) এমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। তাই আইনজীবী, বিচারকসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এরপর আদালত ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সারা দেশের আদালতে আইনজীবী, বিচারক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা এবং কুমিল্লার ঘটনায় যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলো তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। সে পর্যন্ত রিট আবেদনটি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখেন।

রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাব মহা পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। 

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর