মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ফসলি জমির মাটি কাটা, সন্ত্রাস আর দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তরপাড়ার শত শত বিঘা তিন ফসলি জমি কেটে পুকুরে পরিণত করেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়ের ক্যাডার বাহিনী।
একইভাবে বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামের তিন ফসলি জমি কেটে নিয়ে যাচ্ছে সংসদ সদস্যের ক্যাডার বাহিনী। স্থানীয় যুবলীগ নেতা ইফতে আরিফসহ তাদের ক্যাডার বাহিনী জোরপূর্বক ফসলি জমি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিসহ মানববন্ধন করলেও তাদের তাণ্ডব থামেনি।
এই চক্রের তাণ্ডবে মহাদেবপুর উত্তরপাড়ার শত শত মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। শুধু মহাদেবপুর ও খালিয়াখোড়া ইউনিয়নে নয়; ধুলন্ডী, মৌহালী, করজোনা, আঙ্গারপাড়া, ভালকুটিয়া, বাষ্টিয়ার, পুরান গ্রাম, শ্রীবাড়ি, বড়টিয়া, সিংজড়ি ইউনিয়নের চরবাইলজুড়ি, বানিয়াজুরি, শোলধারা, নয়াচরসহ উপজেলার অর্ধশত গ্রাম থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে সংসদ সদস্য দুর্জয় সিন্ডিকেট।
এ বিষয়ে পুখুরিয়া গ্রামে কৃষক কামাল হোসেন বলেন, ‘যারা মাটি কাটছে হেরা এমপির লোকজন। কিছু কইলে আমাদের ওপর নির্যাতন করবে। বিকালে জমি ঠিক থাকলেও সকালে দেখি পুকুর করে রেখেছে।’
মহাদেবপুরের উত্তরপাড়ার সত্তরোর্ধ্ব মজিবুর রহমান গ্রামের চলাচলের রাস্তাটি দেখিয়ে বলেন, ‘ইটের সলিং করা রাস্তাটি এখন খাল বানাইছে ওরা। এমপির লোকজন আমাদের ওপর জুলুম করতেছে।’
কুলসুম বেগম নামের স্থানীয় এক নারী বলেন, “জমির মাটি কাটায় বাধা দেওয়ায় এমপির লোকজন আমার স্বামী-সন্তানকে খুন করার হুমকি দেয়-‘তোরা বাঁইচ্যা না থাকলে জমি দিয়া কী করবি?’ ওদের ভয়ে মুখ বুজে আছি।”
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন