রাজধানীর রমনা পার্ক কেন এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে আদালতকে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এই রিট মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে রমনা পার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন। গণপূর্ত সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, সেই মোঘল আমল থেকে রমনা পার্ক জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে রমনা পার্ক রাখা হয়। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় অফিস-আদালতসহ সব কিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রমনা পার্ক এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে জনগণের চলাফেরার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। জনগণের চলাফেরার স্বাধীনতার কথা সংবিধানে ৩৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। রমনা পার্ককে বন্ধ রাখার ফলে জনগণের চলাফেরা করার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। শত শত ডায়েবেটিকস রোগী এ পার্কে হাঁটা চলাফেরা করতে না পারায় অনেকে মৃত্যুর মুখে ঝুঁকে পড়ছেন। তাই জণগণের জন্য রমনা পার্ক খুলে দেওয়ার নির্দেশনা চেয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ