ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন ডিআইজি (হাইকোর্টের রায়) মো. মীজানুর রহমান।
রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবরে করা আবেদনে তিনি পদোন্নতির সঙ্গে বকেয়া পাওনা পরিশোধের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।
প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল এবং উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে ডিআইজিসহ পরবর্তী উচ্চ পদে পদোন্নতি পেতে তার আর কোন বাধা নেই বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মীজানুর রহমানের আইনজীবি ব্যারিস্টার মৌসুমী কবিতা ফাতেমা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পদোন্নতির ফোরাম হচ্ছে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। সেই প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল এবং আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ও ডিআইজি মীজানের পক্ষে আসে। সর্বশেষ আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় যথাযথ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে ডিআইজি মীজানুর রহমানের পরবর্তী পদোন্নতির ক্ষেত্রে আর কোন আইনি বাধা নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায় মীজানুর রহমানের পক্ষে আসলে পুলিশ সদর দফতর থেকে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়। জবাবে আইন মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছিল, ট্রাইব্যুনালের রায় যথেষ্ট আইন ও তথ্য নির্ভর। আপিল করলেও আইনত তা গ্রহণযোগ্য হবার বা ফল লাভের সম্ভাবনা ক্ষীণ। এখানে রাষ্ট্রীয় অর্থ ও সময় অপচয়ের আশংকা রয়েছে।
ডিআইজি মীজানের রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে কিছু ক্লারিক্যাল মিস্টেক রয়েছে। আমরা সংশোধন চেয়ে আবেদন করেছি। এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ২৩ অক্টোবর দিন ঠিক করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
প্রসঙ্গত, মীজানুর রহমান ১৭তম বিসিএস (পুলিশ ক্যাডার) পরীক্ষায় প্রথম স্থানসহ সম্মিলিত মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে ১৯৯৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে এডিশনাল এসপি ও ২০০৬ সালে এসপি হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। সর্বশেষ হাইকোর্টের রায়ে তিনি ২০১৮ সালের ৩ জুলাই ডিআইজি হিসেবে র্যাঙ্ক ব্যাজ পরেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন