শিক্ষক ও চিকিৎসকদের মর্যাদার বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের ক্যাডার সার্ভিস থেকে বের করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এ দুই ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মতো আলাদা কমিশন গঠনের প্রস্তাব করবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, শিক্ষা ক্যাডারটা অযৌক্তিক। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা আলাদা। আমরা সুপারিশ করেছি এটা ক্যাডার করে রাখা যাবে না। একজন চোখের ডাক্তার, একজন দাঁতের ডাক্তার, একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান; তারা কি পদোন্নতি একসঙ্গে পাচ্ছে? সেজন্য আমরা বলছি এটা ক্যাডার রাখা যাবে না, এটা আমাদের চিন্তা। এটা ক্যাডার করা অযৌক্তিক হয়েছে। এগুলোকে আলাদা করতে হবে। বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হবে। এই দুই বিভাগ ছাড়া বাকি সবাই ক্যাডার থাকবে। এটা আমাদের ধারণা।
উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির বিষয়ে মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘পরীক্ষা ছাড়া আর কেউ পদোন্নতি পাবেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নেবে। ৭০ নম্বর না পেলে পদোন্নতি পাবেন না। প্রতিটি স্তরে (উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত) এটি হবে না। উপসচিব ও যুগ্ম সচিব এই দুই পর্যায়ে হবে। এরপরের পর্যায়ে সরকার পদোন্নতি দিতে পারবে।’
কমিশন প্রধান আরও বলেন, ‘আর যে পরীক্ষা হবে, সেখানে যদি একজন কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা সবচেয়ে বেশি নম্বর পান, তিনি তালিকায় এক নম্বরে চলে আসবেন। উপসচিবের তালিকায় তিনি এক নম্বরে আসবেন।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আপনাদেরকে একটা খবর দিতে চাই, পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে সরে যেয়ে আমাদের জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন আলাদা হয়েছে। ঠিক এরকম আমরা স্বাস্থ্য ক্যাডারকে আলাদা করার পরামর্শ দিয়েছি এবং শিক্ষা ক্যাডারকে আলাদা করার পরামর্শ দিয়েছি। এটা হয়ে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত