স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনে আমাদের এতগুলো বাচ্চা, এতগুলো ছেলে চোখ, হাত, পা হারিয়ে ফেলল, সব তো এই দেশের জন্যই করেছে। দেশের জনগণকে মুক্তির বাতাস নেওয়ার জন্য, বৈষম্যকে দূর করার জন্য তাদের এই অপরিমেয় আত্মত্যাগ। এই চেতনাকে ধরে রেখে সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্য খাতে যে সমস্যাগুলো আছে, তা দূর করতে হলে আমাদের সবাইকে মিলে এগিয়ে আসতে হবে।
সোমবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বাংলাদেশ হেলথ ওয়ার্কফোর্স স্ট্রাটেজি-২০২৪ প্রকাশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পরিবারের মত রাষ্ট্রও একটা পরিবার। একটা পরিবারে যেমন মায়া, মমতা, ডিসিপ্লিন, দায়িত্ব, কর্তব্যবোধ আছে, তেমনি একটা রাষ্ট্রের নাগরিকদের ভেতর সেই বৈশিষ্ট্যগুলো থাকা উচিত। আমরা জনবল সংকটের কথা বলি, কিন্তু সেই সঙ্গে যে জনশক্তি বিদ্যমান আছে সেগুলার যথাযথ ব্যবহারের কথাও বলা উচিত। এখন চট্টগ্রামে ও সিলেট অঞ্চলে নার্স পাওয়া যায় না। রংপুরে যার বাড়ি তার সিলেট অথবা চট্টগ্রামে পোস্টিং হলে সে কতদিন সেখানে কাজ করবে? তার ওপর নার্সদের বর্তমানে কোনো ক্যারিয়ার পরিকল্পনা নেই। কাজেই তাদের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা আমাদের ঠিক করতে হবে। জনবল আমরা ডিস্ট্রিবিউট করতে পারব, কিন্তু তার আগে আমাদের প্রয়োজনটা জানা দরকার।
তিনি বলেন, আমাদের কোথায় কী রকম জনবল লাগবে, গাইনোকোলজিস্ট বেশি লাগবে নাকি ফার্মাসিস্ট বেশি লাগবে সেটি আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে। একটা পরিবারে যেমন মায়া থাকে মমতা থাকে জবাবদিহিতাও থাকে। স্বাস্থ্য খাতে সবার জবাবদিহিতা এবং দায়িত্ববোধও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ডব্লিউএইচওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ, ব্রিটিশ হাইকমিশনার ঢাকার ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ডানকান ওভারফিল্ড।
বিডি প্রতিদিন/কেএ