গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীতে ২ সে.মিটার পানি কমলেও বিপদ সীমার ৩৪ সে.মিটার উপরে প্রবাহিত হচ্চে।
গত কয়েকদিনে পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদের অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে পদ্মা নদী বুকের শিবচরের বিচ্ছিন্ন চরজানাজাত, সন্ন্যাসিরচর ও বহেরাতলা ইউনিয়নের সাড়ে ৭ শতাধিক ঘর বাড়ি, বিস্তৃর্ন ফসলের মাঠ, রাস্তা ঘাট, মাদ্রাসাসহ ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীনসহ ১৭ টি গ্রাম আক্রান্ত হয়েছে।
এছাড়াও পদ্মার নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসন ও শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চরাঞ্চলের বন্যার্ত ও নদী ভাঙ্গনের শিকার মানুষের মধ্যে ত্রান বিতরণ শুরু করেছে। এপর্যন্ত প্রায় ৪শ পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন করা হবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ও এলাকাসি জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় শিবচরের বহেরাতলায় ১০২ নং চরবহেরাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরজানাজাতে এমএস দাখিল মাদ্রাসা, ২ ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িসহ আরো ২০ টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনো অন্তত ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে।
এনিয়ে গত কয়েকদিনে এ পর্যন্ত ৩ টি ইউনিয়নে সাড়ে ৭ শতাধিক ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হলো। ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে শত শত ঘর বাড়ি রাস্তা ঘাট। মারাত্মক ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছে ৪টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪০ টি দুঃস্থ পরিবারের সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্প। ক্ষতিগ্রস্তরা মাথা গোজার জায়গা না পেয়ে চরাঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ। পদ্মার নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
অপর দিকে আড়িয়াল খা নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে একই উপজেলার বহেরাতলা ও সন্ন্যাসীচরের অর্ধশত ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় চরজানাজাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান সরকার বলেন, তীব্র নদী ভাঙ্গণ ও ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়ে এলাকার মানুষ এখন দিশেহারা।
এসব এলাকায় দেখা দিয়ে খাবার, খাবার পানি ও চিকিত্সা সংকট। সরকারের কাছে সাহায্যর আবেদন ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের। মাদারীপুর জেলা প্রশাসক জি এস এম জাফরউল্লাহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হবে।