মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা হত্যার ২০তম বার্ষিকী আজ। ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞের এ ঘটনায় ৩ ঘাতককে ফাঁসি দেওয়া হলেও মৃত্যুদ প্রাপ্ত ৫ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ ছাড়া আজও শনাক্ত করা যায়নি ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীদের। ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালীদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নির্মমভাবে নিহত হন কাজী আরেফ আহমেদ, জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, ইসরাইল হোসেন ও সমশের মণ্ডল। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ বছর পর ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট জেলা জজ আদালত ১০ জনের ফাঁসি, ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদ দেয়। তবে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ৯ আসামির মধ্যে তিনজনের রায় কার্যকর ও একজন কারাগারে মারা গেলেও বাকি ৫ আসামি আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জাসদ নেতারা পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা কাজী আরেফের স্মৃতি রক্ষায় কালীদাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণেরও দাবি জানিয়েছেন।
