ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে না পেরে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ টিকা কেন্দ্রের সামনে তারা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। প্রবাসী নাইম ইসলাম বলেন, ‘দুই মাস আগে আমি টিকার জন্য নিবন্ধন করেছি। ৬ সেপ্টেম্বর আমার মেসেজ এসেছে। এর পরদিন আমি টিকাদান কেন্দ্রে গেলে আমাকে টিকা দেওয়া হয়নি। তখন আমাকে শনিবার আসার কথা বলে দেয়। সে অনুযায়ী আজ (শনিবার) ফজরের পর আমি এ টিকা কেন্দ্রে এসে লাইনে দাঁড়াই। এরপর বলছে আমাদের আজকেও টিকা দেওয়া হবে না। বেশির ভাগ প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ চলে যাচ্ছে। সবাই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক। তারা সবাই এজেন্সিতে টাকা দিয়ে রাখছে। আমাদের সেভাবে কোনো আশ্বস্তও করছে না যে কবে টিকা পেতে পারি। আমরা দাবি জানাচ্ছি প্রবাসীদের যেন দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’ প্রবাসী কামরুজ্জামান বলেন, ‘শনিবার টিকা নেওয়ার তারিখ উল্লেখ করে সোমবার আমার মেসেজ এসেছে। আজ (শনিবার) সকালে এখানে এসে লাইনে দাঁড়াই। সাড়ে ৯টার দিকে আমাদের বলা হয় আজ টিকা নেই। এর আগে যেদিন টিকার জন্য আসি তখন তারা বলে দেয় যে আজ এলে আমরা টিকা পাব। কিন্তু আজকে আমরা আসার পর তারা আমাদের বলে টিকা নাই।’ কামরুজ্জামানের মতো অনেকেই দাবি করেন, তাদের শনিবার টিকা গ্রহণের তারিখ দিয়ে এসএমএস এসেছে।

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘কোনো প্রবাসীকেই আজকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য এসএমএস দিইনি। আজ যারা এসেছেন তাদের আগের তারিখে টিকা নেওয়ার দিন ছিল। তখন তারা বিভিন্ন কারণে আসতে পারেননি, এখন তারা এসে টিকা নিতে চাচ্ছেন। আমাদের এখানে প্রথম ডোজ সিনোফার্ম চালু আছে। আমরা তাদের সিনোফার্মের টিকা নিতে অফার করেছি যে সিনোফার্ম আমাদের এখানে চলমান, আপনারা এটা নিতে পারেন। আর যাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার ও মডার্না না নিলে চলবে না তাদের আমরা বলছি আপনারা খবর রাখেন যখন সরকার এগুলো চালু করবে তখন আপনারা আসবেন।’