শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

সবজিও চলে যাচ্ছে দরিদ্রের ধরাছোঁয়ার বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিয়ন্ত্রণহীন বাজারে সবজিও চলে যাচ্ছে দরিদ্রের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সস্তা সবজি বলে বাজারে এখন কোনো পণ্যই নেই। প্রতি কেজি ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব কাঁচা সবজি।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে গ্রীষ্মের সবজি। এর মধ্যে তুলনামূলক বেশি চাহিদার সবজি পটোল। বাজারে আসা এ সবজিটি কোথাও কোথাও ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। শুধু এ পণ্যটিই নয়, ব্যবসায়ীরা বেশির ভাগ পণ্যই এ রকম দরে বিক্রি করছেন। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। ঢেঁড়স ৮০ থেকে ১০০ টাকা। করলাও কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। অন্যান্য সবজির মধ্যে পাকা টমেটো ৩০-৪০, ফুলকপি ৫০-৬০, শিম ৪০-৬০, শালগম ৩০-৪০, গাজর ২০-৩০, মুলা ৩০-৪০ টাকা। লাউয়ের পিস ৫০-৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা। পালংশাক ১০-১৫ টাকা। সবজির দর প্রতিদিন বাড়ছে। কেন বাড়ছে তার সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারছেন না ব্যবসায়ী বা ভোক্তার কেউ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে নতুন আসার কারণে পটোল, ঢেঁড়স, বরবটির দাম এখন একটু বেশি। নতুন সবজিগুলোর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। সে কারণে দাম বেশি। আবার করলার সরবরাহ এখন কম তাই দাম বেশি। এ ব্যাখ্যা মানতে চান না ভোক্তারা। তাদের বক্তব্য- চাহিদা বেশি হোক বা কম হোক একসঙ্গে সব সবজির দর বাড়বে কেন? নতুন এসেছে কিছু সবজি। তবে যেসব সবজি বাজারে আগে থেকেই আছে সেগুলোও বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। পুরো বাজারে কেউ নজর রাখছে এমনটি মনে হয় না। বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। যাত্রাবাড়ীর এমন একজন ক্রেতা শাহিন হোসেন বললেন, ‘ভাই, আমি একজন ড্রাইভার। যে বেতন পাই তা দিয়ে যখন স্বাভাবিক দাম ছিল তখনই চলতে কষ্ট হতো। এখন সবজি কিনতেই পারছি না। সবজি কেনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। এভাবে কত দিন চলতে পারব জানি না।’

তবে সম্প্রতি ৬০-৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পিঁয়াজের দর কিছুটা কমেছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশির ভাগ পিঁয়াজ জমি থেকে কৃষক তুলে ফেলেছেন। এখন সরবরাহ অনেক বেশি। তাই দর কিছুটা কমে এসেছে। বাজারে সাদা মুরগি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে পরিবর্তন আসেনি। গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছ ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতলা। শিং ও টাকির কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।

সর্বশেষ খবর