শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চাকরিতে ফিরতে পারছেন না ইসির সেই ৮৫ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ সময়ে ২০০৫ সালে নিয়োগ পাওয়া বিতর্কিত ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আর চাকরিতে ফিরতে পারছেন না। তাদের নিয়োগ পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির স্বাক্ষরের পর গতকাল সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত বছর ১ সেপ্টেম্বর চারদলীয় জোট সরকার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিয়োগ পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন আপিল বিভাগ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়। জোট সরকারের সময়ের এ নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠে। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮৫ জনকে একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করেন। ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ মামলা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা আপিল করেন। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল এক রায়ে ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহাল করতে ইসিকে নির্দেশ দেন। রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে পৃথক আপিল করে সরকারপক্ষ। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল আদালতের আদেশ বাতিল করে রায় দেন আপিল বিভাগ। এর ফলে সেই ৮৫ কর্মকর্তার চাকরি ফিরে পাওয়ার সব আশা শেষ হয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর