ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী প্রায় ১ কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল, ৫ কোটি ৫০ লাখ লিটার ভোজ্য তেল এবং ১৫ হাজার টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ১৯৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে জানায়, পৃথক তিন স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ৫ কোটি ৫০ লাখ লিটার ভোজ্য তেল কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ৯২৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সোনারগাঁও সিডস ক্রাশিং মিলস লিমিটেড থেকে প্রতি লিটার ১৭১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৭৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড থেকে প্রতি লিটার ১৭১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং শবনম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড থেকে প্রতি লিটার ১৬২ টাকা ৯৫ পয়সা করে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার পাম অয়েল কেনা হবে।
এ ছাড়া দুটি স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ১৫ হাজার টন চিনি কিনতে ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড থেকে প্রতি কেজি ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা দরে ১০ হাজার টন চিনি কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। বাকি ৫ হাজার টন চিনি কেনা হবে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে। এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি কেজি চিনি ১১৭ টাকা ৯০ পয়সা দরে সরবরাহ করবে। এ ৫ হাজার টন চিনির জন্য ব্যয় হবে ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। স্থানীয়ভাবে ১০ হাজার টন চিনি কেনার প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড প্রতি কেজি চিনির দর ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা হিসাবে মোট ব্যয় হবে ১১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
আরও ৫ হাজার টন চিনি কেনার জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দরপত্রে প্রতি কেজি চিনির দাম ১১৭ টাকা ৯০ পয়সা হিসাবে মোট ব্যয় হবে ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বিনিময়ে এ চিনি সরবরাহ করবে।
আরও ১০ হাজার টন মসুর ডাল স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এ কাজের জন্য শবনাম ভেজিটেবল অয়েল, নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড এবং ইজি জেনারেল ট্রেডিং-এর মাধ্যমে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরে ৯৯ টাকা ৪৮ পয়সা দরে কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গতকাল।