বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত শাহ উত্তরপ্রদেশে ফের নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালাতে পারবেন। তার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শেষ পর্যন্ত তুলে নিল দেশটির নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি আদেশনামা জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে প্রচারাভিযানে গিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী অমিত শাহ। এ মন্তব্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন কমিশন সেই ভাষণের ভিডিও ফুটেজ দেখে উত্তরপ্রদেশে আর কোনো জনসভা করতে অমিত শাহের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর পরই সুর নরম করেন এই বিজেপি নেতা।
অমিত শাহ তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে চিঠি লেখেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পতকে। কথা দেন, আর উস্কানিমূলক মন্তব্য করবেন না। এই চিঠি পেয়ে জরুরি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করা হয়। ফলে ওই রাজ্যে ভোটের প্রচারে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না অমিত শাহের। তবে আদেশ দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি কমিশন। তারা জানিয়েছে, অমিত শাহের নির্বাচনী জনসভাগুলির ভিডিও ফুটেজের ওপর এর পর নজর রাখা হবে। প্রতিশ্রুতি পালন না করলে তার বিরুদ্ধে ফের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, একই অভিযোগে অভিযুক্ত সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানকে ক্ষমা করেনি নির্বাচন কমিশন। অমিত শাহের মতো তিনিও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাতে অবশ্য ক্ষমা চাননি। শুধু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। অবশ্য এটা প্রত্যাশিত ছিল বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ, অমিত শাহ দুঃখপ্রকাশ করে মার্জনা ভিক্ষা করলেও তার ধারেকাছে যাননি আজম খান। বরং নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের শ্রাদ্ধ করেছেন।
সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদবও আজম খানকে সমর্থন করেছেন। এমনকি,অমিত শাহের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় আজম খান নির্বাচন কমিশনকে 'বিজেপি-র এজেন্ট' বলেও গালি দিয়েছিলেন!