শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

সম্মানিত সৈয়দ আশরাফ সমীপে

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
সম্মানিত সৈয়দ আশরাফ সমীপে

মান্যবর জনাব, শুভেচ্ছা। ইচ্ছে ছিল আরবি কায়দায় খুব বড় করে বলি- আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। কিন্তু ভয়ে ওমনতরো শুভেচ্ছা জানালাম না। কারণ আমার শত্রুরা হয়তো বলবে, ছোকরা মনে হয় জামায়াত করে। অন্যদিকে প্রমিত বাংলায় যদি বলতাম দাদাবাবু! নমস্কার তাহলেও বিপদ। সমালোচকরা ধৈর্য হারিয়ে বলে বসত- হারামজাদার তামশা দেখেছেন! আপনার সঙ্গে পর্যন্ত মশকরা করে! আপনাকে হিন্দুয়ানা কায়দায় নমস্কার বলছে। অথচ কাউকে সম্মান জানানোর জন্য বাংলা ভাষায় নমস্কারের চেয়ে উত্তম শব্দ আর দ্বিতীয়টি নেই। আপনি দীর্ঘদিন ইংল্যান্ডে ছিলেন। সেই সুবাদে গুডমর্নিং, গুড আফটারনুন বা গুড ইভিনিংও বলতে পারতাম। কিন্তু আমার লেখা পত্রটি আপনার কাছে দিন-রাতের কোন সময় পৌঁছানো হবে কিংবা আপনার নজরে আসবে তা আমার জানা না থাকার কারণে ইংলিশ স্টাইলও ব্যবহার করা গেল না। ফলে নিতান্ত সাদামাটা শব্দ শুভেচ্ছা দিয়েই শুরু করতে হলো। আপনার মতো এত বিশাল এবং বড়মাপের মানুষ যেন আমার মতো নির্বোধের কথায় কষ্ট না পান সেই জন্যই এত ব্যাখ্যা।

আমার প্রিয় আশরাফ ভাই! আমি মাঝে-মধ্যেই আপনাকে নিয়ে ভাবি। টেলিভিশনের পর্দায় যখন আপনাকে দেখি তখন গভীর মনোযোগসহকারে আপনার মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি। আমার দৃষ্টিতে আপনি হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুদীর্ঘকালের ইতিহাসের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। গত ১/১১'র পর থেকে আজ অবধি আপনি দল ও সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ ও পদবি ধারণ করে আছেন। অথচ এই সুদীর্ঘ সময়ে কোনো মহলের সঙ্গে আপনার শত্রুতা সৃষ্টি হয়নি। সবাই আপনাকে ভালো মানুষ এবং ভদ্রলোক হিসেবেই জানে। ১/১১'র কুশীলব, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের লোকজনও আপনাকে ভালো জানে ঠিক আপনার বাবার মতোন করে। আপনার মরহুম আব্বা তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন এবং নিজের জীবন ও রক্ত দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন জাতির পিতার প্রতি তার সীমাহীন আনুগত্য, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার সীমা-পরিসীমা। আশা করি আপনিও আপনার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জননেত্রীর প্রতি দায়িত্ববান হবেন এবং জীবনের শেষক্ষণ পর্যন্ত নেত্রীর পাশে থাকবেন।

আপনাকে আমার ভীষণ ভালো লাগে আপনার ভদ্রতা, পরিমিত রুচিবোধ এবং তুলনামূলক সততার জন্য। অনেক মন্ত্রী-এমপি কিংবা সরকারদলীয় পান্ডাদের বিরুদ্ধে নানা রকম আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং অনৈতিক জীবনযাপনের নীতিহীন বহু কথা শোনা যায়। কিন্তু মাশাআল্লাহ আপনার বিরুদ্ধে ওসব কথা কেউ বলে না। ২-৪ জন দুষ্টলোক কেবল বলে যে, আপনাকে সরকারি বা দলীয় অফিসে তাদের ইচ্ছেমতো সময়ে দেখা যায় না। এর বাইরে তারা আর একটি কথা বলে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত কৌতুকটির মতো- ছেলে খুব ভালো তবে মাঝে-মধ্যে একটু পিয়াজ খায়, এই আর কি? দুষ্ট লোকেরা যে যাই বলুক তাতে আমি কান দিই না। কারণ গত পাঁচটি বছর আমি আপনাকে একান্ত কাছ থেকে অবলোকন করার সুযোগ পেয়েছি। আমার মনে হয়েছে, মানুষ হিসেবে আপনি সত্যিই চমৎকার, অজাতশত্রু প্রকৃতির এবং সত্যিকার মার্জিত ভদ্র ও কুলীন স্বভাবের অধিকারী।

প্রিয় জনাব, অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বহুদিন ধরে আমি এই মহানগরীতে বাস করে আসছি। যানজটসহ ঢাকার আরও অনেক বিরক্তিকর বিষয়ের সঙ্গে আরও অনেকের মধ্যে আমিও অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। কিন্তু কিছু কিছু বিরক্তি ইদানীংকালে ধৈর্যের প্রান্তসীমায় পৌঁছে গেছে। ঢাকাবাসী আর মেনে নিতে পারছে না। যে কোনো সময় জনদুর্ভোগ জনবিস্ফোরণে পরিণত হতে পারে। সাম্প্রতিককালে বিশেষ করে গত ঈদের পর ঢাকার যানজট স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মানুষ রাস্তাঘাটে যাচ্ছেতাই ভাষায় শাসক দলের বাপ-মা তুলে গালাগালি করছে। ১০-১৫ মিনিটে অতিক্রম করা যায় এমন দূরত্ব পার হতে কখনো কখনো ৪-৫ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। ঢাকার এই যানজটের মূল কারণ কিন্তু আপনার মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগের অদক্ষতা এবং সেই বিভাগের নিয়োগকৃত একটি বিতর্কিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিপনা, ধীরগতির কাজ, অনিয়ম এবং জনগণকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা। এসব বিষয়ে আমার ইতিপূর্বে ধারণা ছিল না। কিন্তু সেদিন হলো। আকাশে তখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আর সময়টা হলো পড়ন্ত বিকাল। হাজার হাজার যানবাহন নিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় লোকজন যানজটের কবলে পড়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ দেখলাম রাস্তার পাশে ২০-২৫ জন মানুষের জটলা। একজন বলছে, আমাদের নায়ক সাররে একটু ফোন করত! আমি কান খাড়া করলাম বাকি কথা শোনার জন্য। অন্যজন বলছে, কোন নায়ক! আরে আমাদের ফাটাকেষ্ট ওবায়দুল কাদেরকে ফোন কর। ব্যাটা সারা দিন শুধু হাঁটাহাঁটি করে কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। আজ গালাগালি করে হাঁটাবাবার বারোটা বাজামু। আমি ভাবতে থাকলাম লোকগুলো যোগাযোগমন্ত্রীর মোবাইল নম্বর কোথায় পাবে? আর সাধারণ মানুষের ফোন সে কেনই বা ধরতে যাবে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রীর মোবাইলে ফোন দেওয়া হলো কিন্তু ওপর পাশে কেউ ধরল না। লোকজন বাজে বাজে শব্দ ব্যবহার করে যেই না গালি দিতে যাবে ওমনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে মন্ত্রী কলব্যাক করলেন। মন্ত্রী ফোন করছে এই কথা শোনামাত্র ২০-২৫ জন মানুষ জড়ো হয়ে গেল। ফোনের মালিক মন্ত্রীর কথা পাবলিককে শোনানোর জন্য ফোনের স্পিকার অন করে দিল।

রীতিমতো অভদ্র ভাষায় লোকজন মন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলল, আরে মিয়া সারা দিন এদিক-ওদিক ঘুইরা বেড়ান। একটু মৌচাকের সামনে আসেন। আমাদের একটু মধু খাওয়াইয়া যান। আপনার তমা কন্সট্রাকশন কী করতাছে দেইখ্যা যান। আরে মিয়া! তমার কাছ থনে মাল খাইয়া ঢাকা শহর হ্যাগো দিয়া দিলেন আর ওরা আপনার আস্কারা পাইয়া পাবলিকের পুন্দে বাঁশ দিতাছে। মন্ত্রী পাবলিকের কথা শুনলেন। তারপর বললেন, ওই রাস্তা, ওই ফ্লাইওভার তো এলজিডি করছে। তমার সঙ্গে আমার কিংবা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজ নেই। আপনারা যদি প্রমাণ করতে পারেন ওই রাস্তা আমার এবং আমার কারণে পাবলিক কষ্ট পাচ্ছে তবে আমি পদত্যাগ করব। তিনি আরও বললেন, ওটা যদি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ হতো তবে ভাঙাচোরা রাস্তা ২-৩ দিনের মধ্যে ঠিক করে দিতাম। আপনারা সৈয়দ আশরাফ সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এ কথা বলে মন্ত্রী ফোন রেখে দিলেন। উপস্থিত জনতা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর বেশ কিছুক্ষণ স্তমিত হয়ে রইল। তারা পঞ্চমুখে যোগাযোগমন্ত্রীর প্রশংসা করতে থাকল এবং আপনার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতে থাকল। আপনাকে গালি দিতে গিয়ে তারা আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী এবং আরও অনেককে নিয়ে অসহিষ্ণু কথা বলল। আপনি যদি সেসব বাতচিৎ শুনতেন তবে নিশ্চয়ই আপনার মন্ত্রীগিরির সাধ মিটে যেত। পাবলিকের গালি শুনলে আপনি হয় পাগল বা মজনু হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেন নতুবা মুনি ঋষি হয়ে লোকালয় ছেড়ে সুন্দরবন চলে যেতেন মারেফাত লাইনে কাজকর্ম করার জন্য। আপনার মরহুম আব্বা যদি সেদিন পাবলিকের কথা শুনতেন তবে নির্ঘাত সংজ্ঞা হারাতেন। বঙ্গবন্ধু যদি জীবিত থাকতেন তবে তিনিও কষ্ট পেতেন।

আশরাফ ভাই! আপনি কি লক্ষ্য করেছেন ইদানীং আপনি অনেকটা শুকিয়ে গেছেন। আপনার চেহারার লাবণ্য অনেকখানি নষ্ট হয়ে গেছে। আপনার ডাক্তার হয়তো ডায়াবেটিস বা অন্য রোগের দোহাই দিয়ে আপনাকে প্রবোধ দিচ্ছে। কিন্তু আমার জ্ঞান বলছে অন্য কথা। জমিনে আল্লাহপাক আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসিয়ে মহাসম্মানিত করেছেন। আপনার উত্তম কর্ম, পরিশুদ্ধ চিন্তা এবং কঠোর পরিশ্রম দ্বারাই কেবল আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা সম্ভব। আপনি নেহায়েত অবজ্ঞা, অবহেলা কিংবা অলসতা করে যে পদ-পদবিটির মর্যাদা ও সৌন্দর্যহানি করছেন তা পাওয়ার জন্য আপনার দলের মধ্যেই অনেক যোগ্যতর লোক বছরের পর বছর ধরে সাধনা করে যাচ্ছেন। আমার ভয় হচ্ছে, আপনি হয়তো মহান আল্লাহপাকের অসন্তুষ্টির শিকার হতে যাচ্ছেন। একথা সবাই জানেন, আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন তাকে জমিনের সবাই ভালোবাসেন। আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তি জমিন দিয়ে হাঁটলে লাখ লাখ রহমতের ফেরেশতা তাকে পাহারা দেয়। জমিনের বৃক্ষলতা, তরুরাজি, পাহাড় পর্বত এমনকি জন্তু জানোয়াররা পর্যন্ত ওই বান্দার জন্য দোয়া করতে থাকে। অন্যদিকে আল্লাহ নারাজ হলে জমিনের সব কিছু বান্দার প্রতিকূলে চলে যায়। এই প্রতিকূলতার প্রথম ধাপ হলো, সাধারণ মানুষ লোকটিকে গালাগাল করতে থাকে।

আপনি হয়তো বলতে পারেন আল্লাহ কেন নারাজ হবেন? উত্তর খুবই সোজা। আল্লাহ আপনাকে যে পদপদবি দিয়েছেন সেটিকে নেয়ামত মনে করে চিন্তাচেতনা ও কর্মে শোকর গুজার হয়ে আপনি কতটুকু আন্তরিকতা নিয়ে পরিশ্রম করছেন সেই প্রশ্নটি আপনি নিজের কাছে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, তাহলেই উত্তর পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে পাবলিকের গালিগালাজের মর্ম বুঝতে হলে আপনি যে কোনো দিনের কর্মব্যস্ত সময়ে চলে আসুন কাকরাইল মোড়ে। সেখান থেকে যেতে থাকুন শান্তিনগর চৌরাস্তার দিকে। এরপর যান মালিবাগ মোড়। সেখান থেকে মৌচাক হয়ে মগবাজার মোড়ে। মগবাজার থেকে বাংলামোটরের দিকে গিয়ে সোহাগ কমিউনিটি সেন্টার পর্যন্ত যান এবং ইউটার্ন নিয়ে পুনরায় মগবাজার ফিরে আসুন। সবশেষে মগবাজার থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তার মোড় হয়ে তিব্বত পর্যন্ত গিয়ে একটু থামুন। মগবাজার-তেজগাঁওয়ের রাস্তায় চলতে চলতে আপনি যখন হাতিরঝিল-সোনারগাঁও রোড ক্রস করবেন তখন দয়া করে একটু ডানে-বামে তাকাবেন। আবার সাতরাস্তার মোড়ে গিয়ে পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ অর্থাৎ চতুর্দিকে তাকাবেন। সাতরাস্তা দিয়ে এগুনোর সময় আপনার বামে থাকবে ভূমি জরিপ অধিদফতর, ওষুধ প্রশাসন, বিজি প্রেস ইত্যাদি। কিন্তু আপনি বামে না তাকিয়ে যদি ডান দিকে তাকান তবে নজরে পড়বে শত শত কভারভ্যান যেগুলো মাঝ রাস্তায় পার্ক করে শহরের নৈসর্গিকতাকে নান্দনিকতায় পরিণত করছে।

তিব্বত মোড়ের কাছাকাছি গিয়ে একটি অন্ধকার গলির মাথায় গাড়ি থেকে নেমে পড়ুন। তারপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখুন কয়টা বাজে? আপনি যদি কাকরাইল মোড় থেকে বিকাল ৩-৪টার সময় রওনা করে থাকেন তবে ইতিমধ্যেই আপনার ঘড়িতে রাত ৮টা বা ৯টা বেজে গেছে। আপনি অন্ধকার গলির কাছে গাড়ি থেকে নামবেন জরুরিভাবে কিছু বিয়োগ করার জন্য। আপনি যখন যোগ-বিয়োগের জায়গা খুঁজছেন ঠিক তখনই আপনার ড্রাইভারটি কিছুক্ষণের জন্য উধাও হয়ে যাবে বিয়োগসংক্রান্ত যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। আপনি যদি সফলতার সঙ্গে রাস্তার পাশের কোনো ড্রেন বা কোনো মিল ফ্যাক্টরির ওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে কর্মটি করার সময় কোনো পাবলিকের ভর্ৎসনা শোনেন তবে ঢাকা মহানগরীতে পাবলিক টয়লেটের গুরুত্ব হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করতে পারবেন। জল বিয়োগের পর আনন্দ আর সুখানুভূতিতে আপনি আকাশে উড়তে চাইবেন। আপনার সেই স্বপ্নাবেশকে আরও বেগবান করার জন্য আপনার মন চাইবে এককাপ গরম চা পান করার জন্য। কোনো চিন্তা নেই, গলির মোড়ের ফুটপাতের চায়ের দোকানে গিয়ে এক কাপ চা নিন এবং একটি সিগারেট ধরান। তারপর চিন্তা করতে চেষ্টা করুন কাকরাইল মোড় থেকে তিব্বত পর্যন্ত রাস্তায় আপনি কী কী করলেন এবং কী কী দেখলেন?

প্রথমেই লক্ষ্য করলেন যে, আপনার নিয়োগকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুব ধীরগতিতে কাজ করছে। তারা ইচ্ছে করেই তাদের যা প্রয়োজন তার তুলনায় অনেক বেশি জায়গা দখল করে দুই পাশের রাস্তাকে ভীষণ সঙ্কুচিত করে ফেলেছে। তারা ইচ্ছে করলেই রাস্তার দুই পাশে আরও ৫-৬ ফিট জায়গা ছেড়ে দিতে পারত। এর বাইরে তারা কয়েকটি জায়গায় একদিকের রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে এবং প্রায় সর্বত্র রড, বালু, পাথর এবং নির্মাণ সামগ্রী এলোমেলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছে। কোনো সাহসী পথচারী যদি তাদের কোনো কথা বলে তবে তারা সঙ্গে সঙ্গে লোকটিকে নাজেহাল করতে ছাড়ে না। তারা এ কথাও বলতে ভুল করে না যে, সরকারের অনেকের সঙ্গেই তাদের দহরম-মহরম সম্পর্ক রয়েছে। কারও যদি সামর্থ্য থাকে তবে সে যেন পারলে কিছু করে দেখায়। আপনি যে রাস্তাটুকু অতিক্রম করলেন তার পুরোটাই ভাঙাচোরা ও খানাখন্দকে ভরা। কোনো কোনো জায়গায় গর্তগুলো এত বড় এবং পানিতে টইটম্বুর হয়ে আছে যে, আপনার সেগুলোকে মনে হতে পারে ছোটখাটো কোনো নালা পুকুর টুকুরের মতো। কোনো প্রাইভেট গাড়ি তো দূরের কথা, বড় বড় ট্রাকও ওইসব গর্ত পার হতে ভয় পাচ্ছে। আপনি আরও লক্ষ্য করলেন যে, গাড়িগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে এবং মাঝে-মধ্যে পিঁপড়ার গতিতে এগুচ্ছে। রাস্তার উভয় পাশের এক লেন দিয়ে গাড়ি চলছে। অথচ তমা যদি একটু সতর্কতার সঙ্গে কাজ করত তবে অনায়াসে দুই লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারত। আপনি আরও লক্ষ্য করলেন, রাস্তার পথচারী, রিকশাওয়ালা, ড্রাইভার, হেলপার, বাসযাত্রী ও আপনার মতো ভদ্রলোকরা প্রায় সবাই ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে। তারা একজন অপরজনকে ইতরজনের ভাষায় অকথ্য গালিগালাজ দিচ্ছে এবং প্রায়ই হাতাহাতি, ঘুষাঘুষি লেগে যাচ্ছে। চারদিকে ধুলা উড়ছে। সঙ্গে গাড়ির বিষাক্ত ধোঁয়া। অন্যদিকে গর্তের মধ্যে জমে থাকা কাদাপানি গাড়ির চাকার আঘাতে ছিটকে আশপাশের লোকজনের পোশাক-আশাক নষ্ট করে দিচ্ছে। আর লোকজন সরকারের বাপ-মা তুলে গালিগালাজ করছে।

আপনি রাস্তার দুই পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, ঘরবাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন সবকিছু কেমন যেন বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। লোকজনের কারও মুখে হাসি নেই। কোনো দোকানপাট, হোটেল রেস্টুরেন্ট কিংবা বিপণি বিতান ঠিকমতো চলছে না। অনেক দোকান ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তার দুই পাশের হাজার হাজার বসতবাড়ির লাখ লাখ বাসিন্দা গত ২-৩ বছর ধরে যে অবর্ণনীয় কষ্ট করছেন তা আপনি অবশ্যই অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন। ওইসব এলাকার স্কুল-কলেজেরও যে বারোটা বেজেছে তা বোঝার জন্য খুব বেশি জ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই। এলাকাবাসী শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ, নিত্যকার যানজট ও ভাঙাচোরা রাস্তার দ্বারা ভুক্তভোগী হয়ে কেমন ডিজিটাল বাংলার স্বপ্ন দেখেন তাও আপনি অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন।

আপনি গাড়িতে বসে মাঝে-মধ্যে নিজের পেটের কথা চিন্তা করবেন এবং আশপাশের কোথায় কোথায় প্রাকৃতিক কর্ম সারা যায় সেদিকে নজর বুলাবেন। মাঝে-মধ্যে এ কথা ভেবে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বেন যদি হঠাৎ করে গাড়ির তেল শেষ হয়ে যায় কিংবা গাড়ি নষ্ট হয়ে যায় তবে কী হবে? এরই মধ্যে অনেকবার আপনি দেখলেন যে আপনার আশপাশে পাবলিক বাসে বসে থাকা মহিলা ও বাচ্চারা ঘন ঘন বমি করছে আর লোকজনের গালি খাচ্ছে। সেসব বমির রং, আকার, আয়তন দেখে আপনারও ইচ্ছে হলো বমি করে দিতে। আপনি ভাবতে থাকলেন দুই পাশের রাস্তা যদি আপনি মেরামত করে দেন তবে প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা করে লাগতে পারে এবং এ কাজ করতে সর্বোচ্চ ৫-৬ দিন সময় হলেই যথেষ্ট। কাকরাইল থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত পুরো রাস্তা ঠিক করতে ৪-৫ কোটি টাকার বেশি লাগবে না। আপনার খুব আফসোস হতে থাকবে আপনার সংবেদনশীল মনের কারণে। এলজিডি এমন একটি বিভাগ যেখানে ৪-৫ কোটি টাকা কোনো টাকাই নয়। অথচ এত অল্প কয়েকটি টাকার জন্য হররোজ ১০-১২ কোটি টাকার তেল পুড়ছে আর কয়েকশ কোটি টাকা মূল্যমানের কয়েক লাখ লোকের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। তিব্বত মোড়ে দাঁড়িয়ে অন্ধকারে চা খেতে খেতে আপনি যখন জনদুর্ভোগ উপশমের জন্য ভালো ভালো চিন্তায় ব্যস্ত ঠিক তখনই মন্দ কিছু শব্দ শুনে আপনার কান ও চোখ সজাগ হয়ে গেল। আপনি শুনলেন রতিক্রিয়ারত পথবধূ ও তাদের খরিদ্দাররা অশ্লীল শব্দে উহঃ আহঃ, কুহু কাহা এবং কুয়া কুয়া করছে। আপনি অবাক হয়ে ভাবলেন, এসব শব্দ কোত্থেকে আসছে? আপনি দেখলেন রাস্তার ওপর পার্ক করা বড় বড় কভারভ্যানের নিচে হারামিদের মেলা বসেছে। আপনার অধীন থাকা সিটি করপোরেশন ওইসব হারামিপনাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য রাস্তার সব লাইট বন্ধ করে দিয়েছে।

সম্মানিত আশরাফ ভাই! আল্লাহর ওয়াস্তে একটু রাস্তায় বের হন। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আপনার ওপর অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ করুন। বঙ্গবন্ধু ও আপনার পিতার দোহাই দিয়ে বলছি, কাকরাইল থেকে মালিবাগ-মগবাজার-সাতরাস্তার মোড় পর্যন্ত পথটুকু মেরামত করে দিন। প্লিজ আশরাফ ভাই! কাজটি করুন এবং জননেত্রী এবং তার দলটিকে গালিগালাজ এবং জনরোষ থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ হাফেজ। ইতি-গোলাম মাওলা রনি, ঢাকা, বাংলাদেশ।

লেখক : রাজনীতিক।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর