শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

সম্মানিত সৈয়দ আশরাফ সমীপে

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
সম্মানিত সৈয়দ আশরাফ সমীপে

মান্যবর জনাব, শুভেচ্ছা। ইচ্ছে ছিল আরবি কায়দায় খুব বড় করে বলি- আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। কিন্তু ভয়ে ওমনতরো শুভেচ্ছা জানালাম না। কারণ আমার শত্রুরা হয়তো বলবে, ছোকরা মনে হয় জামায়াত করে। অন্যদিকে প্রমিত বাংলায় যদি বলতাম দাদাবাবু! নমস্কার তাহলেও বিপদ। সমালোচকরা ধৈর্য হারিয়ে বলে বসত- হারামজাদার তামশা দেখেছেন! আপনার সঙ্গে পর্যন্ত মশকরা করে! আপনাকে হিন্দুয়ানা কায়দায় নমস্কার বলছে। অথচ কাউকে সম্মান জানানোর জন্য বাংলা ভাষায় নমস্কারের চেয়ে উত্তম শব্দ আর দ্বিতীয়টি নেই। আপনি দীর্ঘদিন ইংল্যান্ডে ছিলেন। সেই সুবাদে গুডমর্নিং, গুড আফটারনুন বা গুড ইভিনিংও বলতে পারতাম। কিন্তু আমার লেখা পত্রটি আপনার কাছে দিন-রাতের কোন সময় পৌঁছানো হবে কিংবা আপনার নজরে আসবে তা আমার জানা না থাকার কারণে ইংলিশ স্টাইলও ব্যবহার করা গেল না। ফলে নিতান্ত সাদামাটা শব্দ শুভেচ্ছা দিয়েই শুরু করতে হলো। আপনার মতো এত বিশাল এবং বড়মাপের মানুষ যেন আমার মতো নির্বোধের কথায় কষ্ট না পান সেই জন্যই এত ব্যাখ্যা।

আমার প্রিয় আশরাফ ভাই! আমি মাঝে-মধ্যেই আপনাকে নিয়ে ভাবি। টেলিভিশনের পর্দায় যখন আপনাকে দেখি তখন গভীর মনোযোগসহকারে আপনার মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি। আমার দৃষ্টিতে আপনি হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুদীর্ঘকালের ইতিহাসের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। গত ১/১১'র পর থেকে আজ অবধি আপনি দল ও সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ ও পদবি ধারণ করে আছেন। অথচ এই সুদীর্ঘ সময়ে কোনো মহলের সঙ্গে আপনার শত্রুতা সৃষ্টি হয়নি। সবাই আপনাকে ভালো মানুষ এবং ভদ্রলোক হিসেবেই জানে। ১/১১'র কুশীলব, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের লোকজনও আপনাকে ভালো জানে ঠিক আপনার বাবার মতোন করে। আপনার মরহুম আব্বা তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন এবং নিজের জীবন ও রক্ত দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন জাতির পিতার প্রতি তার সীমাহীন আনুগত্য, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার সীমা-পরিসীমা। আশা করি আপনিও আপনার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জননেত্রীর প্রতি দায়িত্ববান হবেন এবং জীবনের শেষক্ষণ পর্যন্ত নেত্রীর পাশে থাকবেন।

আপনাকে আমার ভীষণ ভালো লাগে আপনার ভদ্রতা, পরিমিত রুচিবোধ এবং তুলনামূলক সততার জন্য। অনেক মন্ত্রী-এমপি কিংবা সরকারদলীয় পান্ডাদের বিরুদ্ধে নানা রকম আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং অনৈতিক জীবনযাপনের নীতিহীন বহু কথা শোনা যায়। কিন্তু মাশাআল্লাহ আপনার বিরুদ্ধে ওসব কথা কেউ বলে না। ২-৪ জন দুষ্টলোক কেবল বলে যে, আপনাকে সরকারি বা দলীয় অফিসে তাদের ইচ্ছেমতো সময়ে দেখা যায় না। এর বাইরে তারা আর একটি কথা বলে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত কৌতুকটির মতো- ছেলে খুব ভালো তবে মাঝে-মধ্যে একটু পিয়াজ খায়, এই আর কি? দুষ্ট লোকেরা যে যাই বলুক তাতে আমি কান দিই না। কারণ গত পাঁচটি বছর আমি আপনাকে একান্ত কাছ থেকে অবলোকন করার সুযোগ পেয়েছি। আমার মনে হয়েছে, মানুষ হিসেবে আপনি সত্যিই চমৎকার, অজাতশত্রু প্রকৃতির এবং সত্যিকার মার্জিত ভদ্র ও কুলীন স্বভাবের অধিকারী।

প্রিয় জনাব, অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বহুদিন ধরে আমি এই মহানগরীতে বাস করে আসছি। যানজটসহ ঢাকার আরও অনেক বিরক্তিকর বিষয়ের সঙ্গে আরও অনেকের মধ্যে আমিও অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। কিন্তু কিছু কিছু বিরক্তি ইদানীংকালে ধৈর্যের প্রান্তসীমায় পৌঁছে গেছে। ঢাকাবাসী আর মেনে নিতে পারছে না। যে কোনো সময় জনদুর্ভোগ জনবিস্ফোরণে পরিণত হতে পারে। সাম্প্রতিককালে বিশেষ করে গত ঈদের পর ঢাকার যানজট স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মানুষ রাস্তাঘাটে যাচ্ছেতাই ভাষায় শাসক দলের বাপ-মা তুলে গালাগালি করছে। ১০-১৫ মিনিটে অতিক্রম করা যায় এমন দূরত্ব পার হতে কখনো কখনো ৪-৫ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। ঢাকার এই যানজটের মূল কারণ কিন্তু আপনার মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগের অদক্ষতা এবং সেই বিভাগের নিয়োগকৃত একটি বিতর্কিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিপনা, ধীরগতির কাজ, অনিয়ম এবং জনগণকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা। এসব বিষয়ে আমার ইতিপূর্বে ধারণা ছিল না। কিন্তু সেদিন হলো। আকাশে তখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আর সময়টা হলো পড়ন্ত বিকাল। হাজার হাজার যানবাহন নিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় লোকজন যানজটের কবলে পড়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ দেখলাম রাস্তার পাশে ২০-২৫ জন মানুষের জটলা। একজন বলছে, আমাদের নায়ক সাররে একটু ফোন করত! আমি কান খাড়া করলাম বাকি কথা শোনার জন্য। অন্যজন বলছে, কোন নায়ক! আরে আমাদের ফাটাকেষ্ট ওবায়দুল কাদেরকে ফোন কর। ব্যাটা সারা দিন শুধু হাঁটাহাঁটি করে কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। আজ গালাগালি করে হাঁটাবাবার বারোটা বাজামু। আমি ভাবতে থাকলাম লোকগুলো যোগাযোগমন্ত্রীর মোবাইল নম্বর কোথায় পাবে? আর সাধারণ মানুষের ফোন সে কেনই বা ধরতে যাবে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রীর মোবাইলে ফোন দেওয়া হলো কিন্তু ওপর পাশে কেউ ধরল না। লোকজন বাজে বাজে শব্দ ব্যবহার করে যেই না গালি দিতে যাবে ওমনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে মন্ত্রী কলব্যাক করলেন। মন্ত্রী ফোন করছে এই কথা শোনামাত্র ২০-২৫ জন মানুষ জড়ো হয়ে গেল। ফোনের মালিক মন্ত্রীর কথা পাবলিককে শোনানোর জন্য ফোনের স্পিকার অন করে দিল।

রীতিমতো অভদ্র ভাষায় লোকজন মন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলল, আরে মিয়া সারা দিন এদিক-ওদিক ঘুইরা বেড়ান। একটু মৌচাকের সামনে আসেন। আমাদের একটু মধু খাওয়াইয়া যান। আপনার তমা কন্সট্রাকশন কী করতাছে দেইখ্যা যান। আরে মিয়া! তমার কাছ থনে মাল খাইয়া ঢাকা শহর হ্যাগো দিয়া দিলেন আর ওরা আপনার আস্কারা পাইয়া পাবলিকের পুন্দে বাঁশ দিতাছে। মন্ত্রী পাবলিকের কথা শুনলেন। তারপর বললেন, ওই রাস্তা, ওই ফ্লাইওভার তো এলজিডি করছে। তমার সঙ্গে আমার কিংবা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজ নেই। আপনারা যদি প্রমাণ করতে পারেন ওই রাস্তা আমার এবং আমার কারণে পাবলিক কষ্ট পাচ্ছে তবে আমি পদত্যাগ করব। তিনি আরও বললেন, ওটা যদি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ হতো তবে ভাঙাচোরা রাস্তা ২-৩ দিনের মধ্যে ঠিক করে দিতাম। আপনারা সৈয়দ আশরাফ সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এ কথা বলে মন্ত্রী ফোন রেখে দিলেন। উপস্থিত জনতা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর বেশ কিছুক্ষণ স্তমিত হয়ে রইল। তারা পঞ্চমুখে যোগাযোগমন্ত্রীর প্রশংসা করতে থাকল এবং আপনার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতে থাকল। আপনাকে গালি দিতে গিয়ে তারা আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী এবং আরও অনেককে নিয়ে অসহিষ্ণু কথা বলল। আপনি যদি সেসব বাতচিৎ শুনতেন তবে নিশ্চয়ই আপনার মন্ত্রীগিরির সাধ মিটে যেত। পাবলিকের গালি শুনলে আপনি হয় পাগল বা মজনু হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেন নতুবা মুনি ঋষি হয়ে লোকালয় ছেড়ে সুন্দরবন চলে যেতেন মারেফাত লাইনে কাজকর্ম করার জন্য। আপনার মরহুম আব্বা যদি সেদিন পাবলিকের কথা শুনতেন তবে নির্ঘাত সংজ্ঞা হারাতেন। বঙ্গবন্ধু যদি জীবিত থাকতেন তবে তিনিও কষ্ট পেতেন।

আশরাফ ভাই! আপনি কি লক্ষ্য করেছেন ইদানীং আপনি অনেকটা শুকিয়ে গেছেন। আপনার চেহারার লাবণ্য অনেকখানি নষ্ট হয়ে গেছে। আপনার ডাক্তার হয়তো ডায়াবেটিস বা অন্য রোগের দোহাই দিয়ে আপনাকে প্রবোধ দিচ্ছে। কিন্তু আমার জ্ঞান বলছে অন্য কথা। জমিনে আল্লাহপাক আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসিয়ে মহাসম্মানিত করেছেন। আপনার উত্তম কর্ম, পরিশুদ্ধ চিন্তা এবং কঠোর পরিশ্রম দ্বারাই কেবল আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা সম্ভব। আপনি নেহায়েত অবজ্ঞা, অবহেলা কিংবা অলসতা করে যে পদ-পদবিটির মর্যাদা ও সৌন্দর্যহানি করছেন তা পাওয়ার জন্য আপনার দলের মধ্যেই অনেক যোগ্যতর লোক বছরের পর বছর ধরে সাধনা করে যাচ্ছেন। আমার ভয় হচ্ছে, আপনি হয়তো মহান আল্লাহপাকের অসন্তুষ্টির শিকার হতে যাচ্ছেন। একথা সবাই জানেন, আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন তাকে জমিনের সবাই ভালোবাসেন। আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তি জমিন দিয়ে হাঁটলে লাখ লাখ রহমতের ফেরেশতা তাকে পাহারা দেয়। জমিনের বৃক্ষলতা, তরুরাজি, পাহাড় পর্বত এমনকি জন্তু জানোয়াররা পর্যন্ত ওই বান্দার জন্য দোয়া করতে থাকে। অন্যদিকে আল্লাহ নারাজ হলে জমিনের সব কিছু বান্দার প্রতিকূলে চলে যায়। এই প্রতিকূলতার প্রথম ধাপ হলো, সাধারণ মানুষ লোকটিকে গালাগাল করতে থাকে।

আপনি হয়তো বলতে পারেন আল্লাহ কেন নারাজ হবেন? উত্তর খুবই সোজা। আল্লাহ আপনাকে যে পদপদবি দিয়েছেন সেটিকে নেয়ামত মনে করে চিন্তাচেতনা ও কর্মে শোকর গুজার হয়ে আপনি কতটুকু আন্তরিকতা নিয়ে পরিশ্রম করছেন সেই প্রশ্নটি আপনি নিজের কাছে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, তাহলেই উত্তর পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে পাবলিকের গালিগালাজের মর্ম বুঝতে হলে আপনি যে কোনো দিনের কর্মব্যস্ত সময়ে চলে আসুন কাকরাইল মোড়ে। সেখান থেকে যেতে থাকুন শান্তিনগর চৌরাস্তার দিকে। এরপর যান মালিবাগ মোড়। সেখান থেকে মৌচাক হয়ে মগবাজার মোড়ে। মগবাজার থেকে বাংলামোটরের দিকে গিয়ে সোহাগ কমিউনিটি সেন্টার পর্যন্ত যান এবং ইউটার্ন নিয়ে পুনরায় মগবাজার ফিরে আসুন। সবশেষে মগবাজার থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তার মোড় হয়ে তিব্বত পর্যন্ত গিয়ে একটু থামুন। মগবাজার-তেজগাঁওয়ের রাস্তায় চলতে চলতে আপনি যখন হাতিরঝিল-সোনারগাঁও রোড ক্রস করবেন তখন দয়া করে একটু ডানে-বামে তাকাবেন। আবার সাতরাস্তার মোড়ে গিয়ে পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ অর্থাৎ চতুর্দিকে তাকাবেন। সাতরাস্তা দিয়ে এগুনোর সময় আপনার বামে থাকবে ভূমি জরিপ অধিদফতর, ওষুধ প্রশাসন, বিজি প্রেস ইত্যাদি। কিন্তু আপনি বামে না তাকিয়ে যদি ডান দিকে তাকান তবে নজরে পড়বে শত শত কভারভ্যান যেগুলো মাঝ রাস্তায় পার্ক করে শহরের নৈসর্গিকতাকে নান্দনিকতায় পরিণত করছে।

তিব্বত মোড়ের কাছাকাছি গিয়ে একটি অন্ধকার গলির মাথায় গাড়ি থেকে নেমে পড়ুন। তারপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখুন কয়টা বাজে? আপনি যদি কাকরাইল মোড় থেকে বিকাল ৩-৪টার সময় রওনা করে থাকেন তবে ইতিমধ্যেই আপনার ঘড়িতে রাত ৮টা বা ৯টা বেজে গেছে। আপনি অন্ধকার গলির কাছে গাড়ি থেকে নামবেন জরুরিভাবে কিছু বিয়োগ করার জন্য। আপনি যখন যোগ-বিয়োগের জায়গা খুঁজছেন ঠিক তখনই আপনার ড্রাইভারটি কিছুক্ষণের জন্য উধাও হয়ে যাবে বিয়োগসংক্রান্ত যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। আপনি যদি সফলতার সঙ্গে রাস্তার পাশের কোনো ড্রেন বা কোনো মিল ফ্যাক্টরির ওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে কর্মটি করার সময় কোনো পাবলিকের ভর্ৎসনা শোনেন তবে ঢাকা মহানগরীতে পাবলিক টয়লেটের গুরুত্ব হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করতে পারবেন। জল বিয়োগের পর আনন্দ আর সুখানুভূতিতে আপনি আকাশে উড়তে চাইবেন। আপনার সেই স্বপ্নাবেশকে আরও বেগবান করার জন্য আপনার মন চাইবে এককাপ গরম চা পান করার জন্য। কোনো চিন্তা নেই, গলির মোড়ের ফুটপাতের চায়ের দোকানে গিয়ে এক কাপ চা নিন এবং একটি সিগারেট ধরান। তারপর চিন্তা করতে চেষ্টা করুন কাকরাইল মোড় থেকে তিব্বত পর্যন্ত রাস্তায় আপনি কী কী করলেন এবং কী কী দেখলেন?

প্রথমেই লক্ষ্য করলেন যে, আপনার নিয়োগকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুব ধীরগতিতে কাজ করছে। তারা ইচ্ছে করেই তাদের যা প্রয়োজন তার তুলনায় অনেক বেশি জায়গা দখল করে দুই পাশের রাস্তাকে ভীষণ সঙ্কুচিত করে ফেলেছে। তারা ইচ্ছে করলেই রাস্তার দুই পাশে আরও ৫-৬ ফিট জায়গা ছেড়ে দিতে পারত। এর বাইরে তারা কয়েকটি জায়গায় একদিকের রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে এবং প্রায় সর্বত্র রড, বালু, পাথর এবং নির্মাণ সামগ্রী এলোমেলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছে। কোনো সাহসী পথচারী যদি তাদের কোনো কথা বলে তবে তারা সঙ্গে সঙ্গে লোকটিকে নাজেহাল করতে ছাড়ে না। তারা এ কথাও বলতে ভুল করে না যে, সরকারের অনেকের সঙ্গেই তাদের দহরম-মহরম সম্পর্ক রয়েছে। কারও যদি সামর্থ্য থাকে তবে সে যেন পারলে কিছু করে দেখায়। আপনি যে রাস্তাটুকু অতিক্রম করলেন তার পুরোটাই ভাঙাচোরা ও খানাখন্দকে ভরা। কোনো কোনো জায়গায় গর্তগুলো এত বড় এবং পানিতে টইটম্বুর হয়ে আছে যে, আপনার সেগুলোকে মনে হতে পারে ছোটখাটো কোনো নালা পুকুর টুকুরের মতো। কোনো প্রাইভেট গাড়ি তো দূরের কথা, বড় বড় ট্রাকও ওইসব গর্ত পার হতে ভয় পাচ্ছে। আপনি আরও লক্ষ্য করলেন যে, গাড়িগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে এবং মাঝে-মধ্যে পিঁপড়ার গতিতে এগুচ্ছে। রাস্তার উভয় পাশের এক লেন দিয়ে গাড়ি চলছে। অথচ তমা যদি একটু সতর্কতার সঙ্গে কাজ করত তবে অনায়াসে দুই লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারত। আপনি আরও লক্ষ্য করলেন, রাস্তার পথচারী, রিকশাওয়ালা, ড্রাইভার, হেলপার, বাসযাত্রী ও আপনার মতো ভদ্রলোকরা প্রায় সবাই ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে। তারা একজন অপরজনকে ইতরজনের ভাষায় অকথ্য গালিগালাজ দিচ্ছে এবং প্রায়ই হাতাহাতি, ঘুষাঘুষি লেগে যাচ্ছে। চারদিকে ধুলা উড়ছে। সঙ্গে গাড়ির বিষাক্ত ধোঁয়া। অন্যদিকে গর্তের মধ্যে জমে থাকা কাদাপানি গাড়ির চাকার আঘাতে ছিটকে আশপাশের লোকজনের পোশাক-আশাক নষ্ট করে দিচ্ছে। আর লোকজন সরকারের বাপ-মা তুলে গালিগালাজ করছে।

আপনি রাস্তার দুই পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, ঘরবাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন সবকিছু কেমন যেন বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। লোকজনের কারও মুখে হাসি নেই। কোনো দোকানপাট, হোটেল রেস্টুরেন্ট কিংবা বিপণি বিতান ঠিকমতো চলছে না। অনেক দোকান ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তার দুই পাশের হাজার হাজার বসতবাড়ির লাখ লাখ বাসিন্দা গত ২-৩ বছর ধরে যে অবর্ণনীয় কষ্ট করছেন তা আপনি অবশ্যই অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন। ওইসব এলাকার স্কুল-কলেজেরও যে বারোটা বেজেছে তা বোঝার জন্য খুব বেশি জ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই। এলাকাবাসী শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ, নিত্যকার যানজট ও ভাঙাচোরা রাস্তার দ্বারা ভুক্তভোগী হয়ে কেমন ডিজিটাল বাংলার স্বপ্ন দেখেন তাও আপনি অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন।

আপনি গাড়িতে বসে মাঝে-মধ্যে নিজের পেটের কথা চিন্তা করবেন এবং আশপাশের কোথায় কোথায় প্রাকৃতিক কর্ম সারা যায় সেদিকে নজর বুলাবেন। মাঝে-মধ্যে এ কথা ভেবে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বেন যদি হঠাৎ করে গাড়ির তেল শেষ হয়ে যায় কিংবা গাড়ি নষ্ট হয়ে যায় তবে কী হবে? এরই মধ্যে অনেকবার আপনি দেখলেন যে আপনার আশপাশে পাবলিক বাসে বসে থাকা মহিলা ও বাচ্চারা ঘন ঘন বমি করছে আর লোকজনের গালি খাচ্ছে। সেসব বমির রং, আকার, আয়তন দেখে আপনারও ইচ্ছে হলো বমি করে দিতে। আপনি ভাবতে থাকলেন দুই পাশের রাস্তা যদি আপনি মেরামত করে দেন তবে প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা করে লাগতে পারে এবং এ কাজ করতে সর্বোচ্চ ৫-৬ দিন সময় হলেই যথেষ্ট। কাকরাইল থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত পুরো রাস্তা ঠিক করতে ৪-৫ কোটি টাকার বেশি লাগবে না। আপনার খুব আফসোস হতে থাকবে আপনার সংবেদনশীল মনের কারণে। এলজিডি এমন একটি বিভাগ যেখানে ৪-৫ কোটি টাকা কোনো টাকাই নয়। অথচ এত অল্প কয়েকটি টাকার জন্য হররোজ ১০-১২ কোটি টাকার তেল পুড়ছে আর কয়েকশ কোটি টাকা মূল্যমানের কয়েক লাখ লোকের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। তিব্বত মোড়ে দাঁড়িয়ে অন্ধকারে চা খেতে খেতে আপনি যখন জনদুর্ভোগ উপশমের জন্য ভালো ভালো চিন্তায় ব্যস্ত ঠিক তখনই মন্দ কিছু শব্দ শুনে আপনার কান ও চোখ সজাগ হয়ে গেল। আপনি শুনলেন রতিক্রিয়ারত পথবধূ ও তাদের খরিদ্দাররা অশ্লীল শব্দে উহঃ আহঃ, কুহু কাহা এবং কুয়া কুয়া করছে। আপনি অবাক হয়ে ভাবলেন, এসব শব্দ কোত্থেকে আসছে? আপনি দেখলেন রাস্তার ওপর পার্ক করা বড় বড় কভারভ্যানের নিচে হারামিদের মেলা বসেছে। আপনার অধীন থাকা সিটি করপোরেশন ওইসব হারামিপনাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য রাস্তার সব লাইট বন্ধ করে দিয়েছে।

সম্মানিত আশরাফ ভাই! আল্লাহর ওয়াস্তে একটু রাস্তায় বের হন। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আপনার ওপর অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ করুন। বঙ্গবন্ধু ও আপনার পিতার দোহাই দিয়ে বলছি, কাকরাইল থেকে মালিবাগ-মগবাজার-সাতরাস্তার মোড় পর্যন্ত পথটুকু মেরামত করে দিন। প্লিজ আশরাফ ভাই! কাজটি করুন এবং জননেত্রী এবং তার দলটিকে গালিগালাজ এবং জনরোষ থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ হাফেজ। ইতি-গোলাম মাওলা রনি, ঢাকা, বাংলাদেশ।

লেখক : রাজনীতিক।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

১ সেকেন্ড আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

১৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৪৬ মিনিট আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে