শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বিএনপি-জামায়াত মধুচন্দ্রিমা কী শেষ?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
বিএনপি-জামায়াত মধুচন্দ্রিমা কী শেষ?

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছিল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সেই সাজা কমিয়ে আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার পরপরই সারা দেশে দুটি জোরালো গুঞ্জন ওঠে। এক. সরকার এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে তলে তলে একটা সমঝোতা বা অাঁতাতের ফলেই জনগণ সংঘবদ্ধ হওয়ার মতো একটি রায় হয়েছে এবং দুই. বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বেরিয়ে যাওয়াটা এখন কেবলই সময়ের ব্যাপার। বলে নেওয়া দরকার, ঘোষিত রায় নিয়ে যে পাবলিক পারসেপশন, তাতে অভিযোগের আঙ্গুল কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে- যে বিচারকরা রায় দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে নয়। এ ব্যাপারে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই। কিন্তু সরকারি মহল তেমন একটি ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করে এ সংক্রান্ত মত প্রদানকারীদের সঙ্গে বিচার বিভাগের একটি সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি করে নিজেদের ভূমিকা আড়াল করতে চাচ্ছে বলে মনে হয়। আইন বিশারদ না হয়েও যে কোনো বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন লোক বুঝতে পারেন যে, কোনো মামলার রায় নির্ভর করে বাদী ও আসামি পক্ষের সওয়াল-জওয়াব, যুক্তিতর্ক এবং সরবরাহকৃত তথ্য-উপাত্ত সংবলিত নথির ওপর। যে কোনো পক্ষের আইনি লড়াইয়ের দুর্বলতা, গাফিলতি বা স্বার্থান্বেষী ভূমিকা বা আচরণ কিংবা চতুরতায় মামলার রায় এদিক-সেদিক হয়ে যেতে পারে। বিচারকের তাতে কিছু করার থাকে না। বিচারক মামলা শুনে-বুঝে রায় দেন, বাদী-বিবাদীর কারও পক্ষে লড়াই করেন না, কোনো বিচারকের তা করার কথা নয়।

সরকার-জামায়াত অাঁতাতের যে কথাটা বাইরে চাউর হয়েছে সরকার পক্ষকে কেউ তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান দেয়নি। আলোচিত মামলাটি ঘিরে এই গুঞ্জনটা পত্রপত্রিকায় এসেছে পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর। ইলেকট্রনিক মিড়িয়ায় জনমত প্রকাশ হতে থাকে সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন টকশোতে। কিন্তু তার আগেই 'অাঁতাত হয়নি, অাঁতাত হয়নি' কথাটা অনেকটা প্রলাপের মতো উচ্চারিত হতে থাকে সরকারি তরফ থেকে। রায় ঘোষণার পরপরই তাৎক্ষণিক সভায় বসে ক্ষমতাসীন ১৪-দলীয় জোট। জোটের মুখপাত্র ও সভার সভাপতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম 'ঠাকুর ঘরে কে রে- আমি কলা খাই না'র মতো আওয়াজ দিয়ে উঠলেন যে, 'যারা অাঁতাতের কথা বলে তারা জ্ঞানপাপী।' তিনি বলেছেন, আদালতের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল, তারা রায় মেনে নিয়েছেন। রায় অমান্য করার কথা কিন্তু কেউ বলেননি। যারা রায়ে সন্তুষ্ট হননি, সংক্ষুব্ধ হয়েছেন, ক্ষুব্ধ মনোভাবও প্রকাশ করেছেন মিডিয়ায়, তারা কেউ কিন্তু এ কথা বলেননি যে, এ রায় আমরা মানি না। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলমও মন্ত্রী মো. নাসিমের সুরেই কথা বলেছেন রায় প্রকাশের পর সারা দিন। হ্যাঁ, অাঁতাতের অভিযোগ তার কাছে যাওয়ার পর তিনি তা নাকচ করতে পারেন। কিন্তু একজন প্রবীণ আইনজীবী হিসেবে তিনি এ কথা কী করে বলতে পারছেন যে, এই সন্দেহ, পাবলিক পারসেপশন বা অভিযোগের পেছনে বিচার বিভাগকে হেয়প্রতিপন্ন করার দুরভিসন্ধি আছে।

সরকার ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে গোপন অাঁতাত বা তলে তলে সমঝোতার বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা চলছে। খোদ বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ভিতরও জামায়াত নিয়ে নানা ধরনের সন্দেহ-সংশয় ও কানাঘুষা চলছে। পাঠক, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, বছরখানেক আগে বরিশালের এক জনসভায় স্বয়ং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তলে তলে সরকার-জামায়াত অাঁতাতের প্রতি ইঙ্গিত করেছিলেন। অতি সম্প্রতি জোটের এক সভায় বেগম জিয়া জামায়াতের প্রতিনিধির কাছে 'অাঁতাতের' ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলেন। যে খবর মিডিয়ায়ও প্রচার হয়েছে ব্যাপকভাবে। বেগম খালেদা জিয়া কিংবা তার দলের পক্ষ থেকে কখনো সেই খবরের সত্যতা অস্বীকার করা হয়নি। জামায়াতে ইসলামী মাঝে মাঝে মৃদুকণ্ঠে বলেছে- না, সরকারের সঙ্গে তাদের কোনো অাঁতাত হয়নি। কিন্তু মানুষ তা আস্থায় নেয়নি। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজে শ্লথগতি এবং জামায়াতের নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়ার পর দীর্ঘদিন অন্যদের ঘোষিত দণ্ড কার্যকর করার ব্যাপারে প্রলম্বিত প্রক্রিয়া জনমনে এই সন্দেহ বাড়িয়ে দেয় যে, এটা বোধহয় সরকারের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর একটা অর্থপূর্ণ সমঝোতারই ফল। জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মামলার বিচারক পরিবর্তনের কারণে একই মামলার দ্বিতীয় শুনানির ব্যবস্থার ফলে অনেক সময়ক্ষেপণ, অসুস্থতার কারণে আদালতের কার্যক্রম স্থগিতকরণ তথা রায় প্রদান কার্যক্রম প্রলম্বিতকরণ এবং কারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার সুস্থতার বার্তা পৌঁছানোর পরও তার মামলায় জট লেগে থাকা এবং পাশাপাশি জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীর জামিন লাভের ঘটনাসমূহ সাধারণ্যে এই বার্তাই তো দেয় যে, ভিতরে ভিতরে অবশ্যই একটা 'খেলা' চলছে এবং এসব খেলার পেছনে সরকারের একটা হাত অবশ্যই আছে। শোনা যাচ্ছে যে, জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়, তা খুবই দুর্বল এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি উকিলরা যথাযথভাবে মামলা লড়েন না। ফলে জামায়াত নেতা-কর্মীদের জামিন পেতে কোনো অসুবিধা হয় না। এ জন্য বিচারককে দায়ী করা যাবে কী করে? সন্দেহ করা হয়, সরকারি ইচ্ছাতেই এসব হয়ে চলেছে। তো, জনগণ অাঁতাত বা সমঝোতার কথা বলবে না কেন?

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার ব্যাপারেও একই ধরনের সমালোচনাই উঠে আসছে। অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দণ্ড কমে যাওয়ায় তার মনোবেদনার কথা বলে এর কারণ হিসেবে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা রীতিমতো অাঁতকে ওঠার মতো। তা সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধেই যায়। ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি একাত্তর টেলিভিশন চ্যানেলের 'একাত্তর জার্নাল' টকশোতে ছিলেন। সেই টকশোতে আমিও ছিলাম। আরও ছিলেন ঢাকা ট্রিবিউনের বিশেষ সংবাদদাতা জুলফিকার আলী মানিক এবং দেশের নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। অ্যাটর্নি জেনারেলের নিরুত্তাপ কণ্ঠেও প্রকাশ পেয়েছে যে, রায়ে তিনিও সন্তুষ্ট নন। তবে রায়টি এমন হওয়ার জন্য তদন্ত টিমের গাফিলতিই দায়ী। জুলফিকার আলী মানিক তাকে সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্ন করেছিলেন, 'সমগ্র মামলাটি পরিচালনা করতে গিয়ে কোন কোন বিষয়ে তদন্ত টিমের গাফিলতি আপনার চোখে ধরা পড়েছে?' তিনি স্পষ্ট করেই একটি উদাহরণ তুলে ধরেন। পিরোজপুরের ইব্রাহীম কুট্টি হত্যা মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিহতের স্ত্রী একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আসামি পক্ষ এফআইআরের কপি দেখিয়ে বলেছে, তাতে সাঈদীর নাম নেই। তদন্ত টিম এই মামলার চার্জশিট হয়েছিল কিনা, পরে নতুন কোনো মামলা হয়েছিল কিনা কিছুই তদন্ত করে বের করতে পারেনি। এটা গাফিলতি। ফলে এই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়ে যায় সাঈদী। এটা তদন্ত টিমের দোষ। আদালত তাকে মামলার এসব দুর্বলতার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তদন্ত টিম কোনো প্রকার ইনপুট দিতে পারেনি। সব গায়েব হয়ে গেছে। তার চেষ্টাও সফল হয়নি। প্রসিকিউশন সম্পর্কেও তিনি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, কারও কারও সম্পর্কে শুনলে শিউরে উঠতে হবে। এমন ব্যক্তিও আছেন যার ফৌজদারি মামলা করারও অভিজ্ঞতা নেই। একজনের পারফরম্যান্সে বিরক্ত হয়ে আদালত থেকে তাকে বের করে দিয়েছিলেন বিচারক।

অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়েছে যে, তদন্ত টিম এবং প্রসিকিউশনের দুর্বলতা ও গাফিলতির কারণেই মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায় গণপ্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। এখানেই তো মামলার রায় প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে সরকারি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। ইনভেস্টিগেটিং টিম বা তদন্ত টিম এবং প্রসিকিউশনের আইনজীবী প্যানেল তো বিচারকরা ঠিক করেননি, করেছে সরকার, সরকারের পক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর সময়ই এই বিচারের ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। চিফ ইনভেস্টিগেটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল একজন জামায়াতে ইসলামীর লোককে। এ নিয়ে চারদিকে বেশ হৈচৈ হয়। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ কেউ কেউ এ নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তোলে। প্রথমে সরকার তা কানে তোলেনি। পরে লীগ নেতা আমির হোসেন আমু যখন চেঁচিয়ে ওঠেন যে, নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ইসলামী ছাত্র সংঘের (শিবিরের পূর্বসূরি সংগঠন) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, তখনই সরকারের টনক নড়ে এবং তাকে পরিবর্তন করা হয়। তখনই সন্দেহ জেগেছিল, সরকার বিষয়টি নিয়ে হয়তো রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের মতলবে আছে। জামায়াতকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে সরিয়ে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপিকে ঘায়েল করার ব্লুপ্রিন্ট নিয়ে কাজ করছে সরকার। জামায়াতকে ভয়-ভীতি ও চাপের মধ্যে রাখার এটা হয়তো সরকারের একটা কৌশল। রাজনীতিতে কত কিছুই তো হয়। জামায়াত এর আগেও আওয়ামী লীগের সমগামী হয়েছিল। স্বৈরাচার এরশাদের ১৯৮৬ সালের পাতানো নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছিল। কিন্তু 'এরশাদের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা হবে জাতীয় বেঈমান'- এই প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তিনি নিজেই ওয়াদা ভঙ্গ করেন এবং তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এরশাদের ক্ষমতা দখলকে বৈধতা প্রদান করে। জামায়াতে ইসলামী তখন বিএনপির সঙ্গে না থেকে আওয়ামী লীগের সমগামী হয়। তারাও সেই পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। পঞ্চম জাতীয় সংসদে খালেদা সরকারের বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা প্রস্তাবে জামায়াত আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট দিয়ে সরকারকে পরাস্ত করে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে এরশাদের জাতীয় পার্টিসহ জামায়াতে ইসলামীও ছিল আওয়ামী লীগের সঙ্গে। তারা অসহযোগসহ যুগপৎ একই কর্মসূচিতে লড়াই করেছে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে। কাজেই বিএনপিকে কুপোকাৎ করার জন্য আবারও আওয়ামী লীগ-জামায়াত একটা অাঁতাতের বিষয় মানুষ উড়িয়ে দিচ্ছে না। মানুষ সন্দেহ করছে সরকার ইচ্ছা করেই প্রসিকিউশনের আইনজীবী প্যানেল এবং ইনভেস্টিগেটিং টিম দুর্বল করে গঠন করেছে। প্রশ্ন উঠেছিল, সরকার যদি যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যাপারে আন্তরিক ও সিরিয়াস হতো তাহলে সরকার সমর্থক ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনের মতো বাঘা বাঘা আইনজীবী প্রসিকিউশনের আইনজীবী প্যানেলে নেই কেন? মনে হয়, শুরু থেকেই 'লড়ব কিন্তু হারব' এমন একটা শুভঙ্করের ফাঁকি ছিল সরকারের পরিকল্পনায়। তদন্ত টিম এবং প্রসিকিউশনের আইনজীবী প্যানেল সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলমের অভিযোগ এবং সরল স্বীকারোক্তি জনগণের ধারণা ও সন্দেহকেই প্রতিষ্ঠিত করে। এই অভিযোগ এখন উঠতেই পারে যে, সরকারের হস্তক্ষেপে বা পরামর্শেই তদন্ত টিম তাদের কাজে গাফিলতি করে মামলায় অভিযোগ প্রমাণ করা অসম্ভব করে দিয়েছে এবং আসামি পক্ষের ঝানু ঝানু আইনজীবীদের বিপক্ষে লড়ার জন্য জজ কোর্টে মামলা করারও অভিজ্ঞতা নেই তেমন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে প্রসিকিউশনে। সত্যিকারের লড়াইয়ের প্রত্যয় থাকলে যোগ্য ও অভিজ্ঞ লোক থাকা সত্ত্বেও অযোগ্যদের কেন নিয়োগ দিল সরকার? অ্যাটর্নি জেনারেল অবশ্য এ ব্যাপারে সব দায় চাপিয়ে দিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদের ওপর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়া বা তাদের 'তালিকার' বাইরে সাবেক আইনমন্ত্রী সবকিছু সাজিয়েছেন এটা কী বিশ্বাসযোগ্য? জুলফিকার আলী মানিক অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন জামায়াতের মূল নেতা-অপরাধীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলাই তো চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায়। এখন তো নতুন করে কোনো তথ্য-উপাত্ত ও অনুসন্ধান রিপোর্ট যোগ করার সুযোগ নেই। সব ক্ষেত্রেই যদি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার মতো গাফিলতি ও দুর্বলতা থেকে যায় তা হলে সব ক্ষেত্রেই কী আমাদের বলতে হবে 'বেদনাহত হৃদয়ে রায় মেনে নিলাম'। এর কোনো সঠিক জবাব অবশ্য দেননি অ্যাটর্নি জেনারেল। টিভি পর্দায় তার অসহায় অভিব্যক্তিই দেখা গেছে শুধু। লক্ষণীয় ব্যাপার, এর আগে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে প্রথমে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ায় সরকার পক্ষের যে সব বুদ্ধিজীবী ফেটে পড়েছিলেন, গণজাগরণ মঞ্চ ও এর আশপাশ কাঁপিয়ে তুলেছিলেন, রায় ঘোষণার সময় সারাক্ষণ আদালতে বসে থাকতেন তাদের মধ্যে একমাত্র কর্নেল (অব.) তাহেরের ভাই আনোয়ার হোসেন ছাড়া শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু কাউকে দেখা যায়নি। আনোয়ার হোসেনও যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তা হাস্যকর। একমাত্র সাংবাদিক আবেদ খানকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেছে। বাকি সবাই জানিয়েছেন 'হোমিওপ্যাথিক' প্রতিক্রিয়া। রায় নিয়ে পাবলিক পারসেপশন এতে আরও দৃঢ় হচ্ছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, তা হলে জামায়াত দুই দিন হরতাল ডাকল কেন? আজকের হরতাল কেমন হবে জানি না। তবে বৃহস্পতিবার কোনো হরতাল হয়েছে বলে মনে হয়নি। মানুষ বলছে হওয়ার জন্য বা সরকারকে বিব্রত করার জন্য জামায়াত হরতাল ডাকেনি, হরতাল ডেকেছে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থা থেকে রক্ষার জন্য। মানুষের এই ধারণা যদি সত্য হয়, তা হলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণে পরিবর্তন বোধহয় সহসাই লক্ষ্য করা যাবে।

জামায়াতের সঙ্গে সরকারের অাঁতাতের ব্যাপারে বিএনপিতে সন্দেহের বিষয়টা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। জামায়াতও বিভিন্ন সময় বিএনপির আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং তা মিডিয়ায়ও এসেছে। গতকালও এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে খবরের কাগজে। বিভিন্ন স্থানে শিবির-ছাত্রদল দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়ছে। উপজেলা নির্বাচনে বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদ নিয়ে সমঝোতা করেছে। যার ফলে তারা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অস্বাভাবিক ফল করেছে। তারা যে সব উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান জিতেছে তার অধিকাংশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জিতেছে আওয়ামী লীগ। অতি সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ধর্মকে ভিত্তি করে কোনো রাজনৈতিক দল হয় না। তার এই বক্তব্য সরাসরি জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যায়। জামায়াতের সঙ্গে 'মধুচন্দ্রিমা' শেষ হওয়ার ইঙ্গিত বলেই অনেকে তারেক রহমানের এই উক্তিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। মনে হচ্ছে ২০-দলীয় জোটে সহসাই ভাঙনের শানাই বাজবে। জামায়াতের ২০-দলীয় জোট ত্যাগ এখন কী তবে সময়ের ব্যাপার? বিএনপি-জামায়াত মধুচন্দ্রিমা কী শেষ হয়ে যাচ্ছে?

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর