এক. বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও ডাকে বাঙালি জাতি এক সুতোয় বাঁধা পড়ে যখন স্বাধীনতার মন্ত্রে উত্তাল তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণের মুখে বিপন্ন মানুষকে মায়ের মতো সাহস ও ভালোবাসা দিয়ে যিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন, সাহায্য দিয়েছিলেন, খাবার দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের গণতন্ত্রের মহান নেত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। রবীন্দ্রনাথের প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা তার দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের মহিমায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মনোভাবের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাঙালি জাতির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অস্ত্র দিয়ে, ট্রেনিং দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। পাকিস্তানে আটক বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য বিশ্বজনমত গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের ভিতর দিয়েই আমাদের শৈশবে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর পাশে যে মহীয়সী নারীর প্রতি হৃদয়ে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা খোদাই হয়েছিল তিনি ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের ভিতরেও রাজনৈতিক শক্তির একাংশ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেননি। তবুও তিনি দমেননি। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসা, বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মহান নেতা শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্বের মাধুর্য ছড়ানো তর্জনির সঙ্গে চিরচেনা পাইপ তুলে ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি মিত্রবাহিনীর চলে যাওয়ার অনুরোধ ইন্দিরাই সম্মান দিয়ে রেখেছিলেন। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে অভুক্ত মানুষদের জন্য খাদ্য সাহায্য পাঠিয়েছিলেন নিজ দেশের ক্ষুধার্ত মানুষদের রেখেও। সেই মুক্তিযুদ্ধের ভিতর দিয়েই ইন্দিরা গান্ধী হৃদয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, ইতিহাসের কলঙ্কিত ’৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভোররাতে জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের ১০ বছরের মধ্যেই ’৮৪ সালে শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তারপর অমন তেজস্বী নেতৃত্ব বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের মসনদে আসেনি। এখনো মনে পড়ে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুসংবাদ শুনে সেই বিকালে রাজশাহী শহরের অলকার মোড় থেকে মতিহার ক্যাম্পাসের ২৩৩ এসএম হলে যখন ফিরছিলাম তখন নিজের অজান্তেই ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু ঝরছিল। ইন্দিরা গান্ধীকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমাদের। ’৭৭ সালে তার পরাজয় ব্যথিত করেছিল। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় আবেগ মাখানো কাঁচা হাতের একখানা চিঠি লিখেছিলাম তাকে। কেউ জেনে গেলে লজ্জা হবে তাই অতি গোপনে পোস্ট অফিসে গিয়ে পোস্টও করেছিলাম। ভুল ঠিকানায় চিঠিখানি না পৌঁছালেও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা, সম্মান ও শ্রদ্ধা হৃদয়ে খোদাই হয়ে আছে। যতবার দিল্লি যাই ততবার আমি ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়ালে প্রবেশ করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তাকে দেখি। এ কাজটি আমি মাঝেমধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে প্রবেশ করে আমাদের মহান নেতাকে, তার সংগ্রামী জীবন, আত্মত্যাগ এবং নিরাভরণ জীবনকে হৃদয় নিঃসৃত অনুভূতি দিয়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। ইন্দিরা গান্ধীর পর বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশের জন্য আমাদের সন্তান ও প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ না করা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু হৃদয় দিয়ে ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের প্রতি তার পূর্বসূরি আরেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় এ স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিখাদ ভালোবাসার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে উঠে আসা বরেণ্য মানুষদের মধ্যে সর্বশেষ যিনি একজন আপাদমস্তক বাঙালি হিসেবে আমাদের মাটি ও মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ রাখেন তিনি হলেন শ্রী প্রণব মুখার্জি। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্নেহসান্নিধ্য পেয়েছি। এই বা কম কীসে। ইন্দিরা গান্ধীকে কাছ থেকে দেখিনি, দেখেছি প্রণব মুখার্জিকে। ইন্দিরা গান্ধী ও প্রণব মুখার্জি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্নেহছায়া দিয়েছিলেন। এ দুজন ছাড়াও ভারতের অনেক রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্নেহসান্নিধ্য কুড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে জ্বলে ওঠা প্রতিরোধ যোদ্ধা দলের নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। কোনো মানুষই পৃথিবীতে ফেরেশতা নন। সব সফল বিপ্লবী বা রাজনীতিবিদ থেকে রাষ্ট্রনায়কদের জীবনেও ভুলত্র“টি থাকে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর প্রতিও ভালোবাসা, শ্রদ্ধা সেই শৈশব-কৈশোরে আপনা-আপনি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছি। একজন জাতীয় বীর দুবার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। একবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে, আরেকবার বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধে। দীর্ঘদিন নির্বাসিত জীবনযাপন করেছেন। ক্ষমতার মোহ নয়, দলীয় নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা লাভের উচ্চাভিলাষও নয়, শুধু তার ভিতরের আদর্শ বিশ্বাস ও দায়িত্ববোধের তাড়নায় এমন নির্মোহ বীরত্বের ঘটনাবহুল বর্ণাঢ্য জীবনের এক গৌরবদীপ্ত পুরুষকে অভিবাদন জানাতেই হয়। তাই তার নানা ভুলত্রুটি থাকলেও আমার কাছে অজানা থেকে যায়। সামরিক শাসকদের খাল কাটায় যোগ দিয়ে, মুজিব উৎখাতের হঠকারী সব আন্ডারগ্রাউন্ড মানুষ হত্যার রাজনীতি করে, বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আসা এবং সামরিক শাসকদের হেরেমে আশ্রয় নেওয়া অনেক রাজনীতিবিদও সাফসুতরো হয়ে যান আজকের ক্ষমতার প্রাসাদে! হয়ে ওঠেন বিশ্বস্ত। অন্যদিকে বার বার জীবন ও যৌবনের সোনালি সময় বীরত্বের পথে উৎসর্গ করা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তার আজন্মের ভালোবাসার দল ছাড়াই নয়, সমালোচনার তীরে ক্ষতবিক্ষত হন। অনেক কিছুই হিসাবে মেলে না। রাজনীতির অঙ্ক দিনে দিনে হয়ে উঠছে দুর্বোধ্য।
দুই. আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় কবি আহসান হাবীবপুত্র সাহিত্যিক সাংবাদিক মইনুল আহসান সাবের স্কুলের গণ্ডি অতিক্রম করার আগেই ইন্দিরা গান্ধীকে চিঠি লিখে উত্তর পেয়েছিলেন। ভাগ্যবান মইনুল আহসান সাবেরের চিঠি বিনিময়ের এ খবরটি অগ্রজ সাংবাদিক কবি এবং একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পথহাঁটা ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক বিজয়ী জাফর ওয়াজেদ ফেসবুক স্ট্যাটাসে দিয়েছেন। জাফর ওয়াজেদ ইদানীং ফেসবুকে অনেক মজার মজার তথ্য দিচ্ছেন। আত্মবিস্মৃত জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন অনেকের পুরনো কীর্তিকলাপ। শ্রী প্রণব মুখার্জির সঙ্গে যতবার দেখা হয়েছে ততবার মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার কথা শুনেছি। ভারতের রাষ্ট্রপতি গণমাধ্যমকে কোনো সাক্ষাৎকার দেন না। গণমাধ্যমে যা বলার তা তার প্রেস সচিবের মাধ্যমে বলেন। এ রেওয়াজটি তিনি আমাকে প্রথম সাক্ষাতেই বলেছিলেন। তার শ্বশুরবাড়ি নড়াইল আমার এক প্রিয় শহর। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই বন্ধুদের সঙ্গে সখ্যে যাওয়ার সুবাদে ওখানকার মানুষ ও মাটির সঙ্গে একটি আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চিত্রা নদীতে সেই তারুণ্যের দিনগুলোয় নড়াইল গেলে অনেক সাঁতার কেটেছি। চিত্রার পাড়ে বসে আসমান ভেঙে নেমে আসা জোছনায় ভিজেছি। আমি নড়াইলের গল্পও বলি। আমি আমার কবিতা ও গানের শহর হাওরের রাজধানী সুনামগঞ্জের জলজোছনার শহরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কথা বলি। তিনি মন দিয়ে শোনেন। আমাকে শোনান ভারতের ইতিহাস। এক চলমান এনসাইক্লোপিডিয়া মনে হয় তাকে। প্রতিবার একটি ঘণ্টা এত দ্রুত চলে যায় আমার মুগ্ধতার রেশ কাটে না। রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের অতৃপ্তি নিয়ে বার বার বেরিয়ে আসি রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে। মুগ্ধতার আরও কারণ রয়েছে। প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হওয়ার কারণে আমাদের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনের দুয়ার খুলে রাখেন। একসময়ের পশ্চিমবঙ্গের যুব কংগ্রেসের দাপুটে নেতা প্রদ্যুত গুহও এত আন্তরিকতার সঙ্গে বরণ করেন মনে হয় কত পুরনো দিনের সম্পর্ক। প্রণব মুখার্জি শেষবার সুনামগঞ্জের গল্প শুনতে শুনতে বলেছিলেন, ছেলেবেলায় রবীন্দ্রনাথের শিশুতোষ সাহিত্যের কাব্যগ্রন্থ চয়নিকা পাঠ করেছিলেন সেটি ছিল আমার শহরের পাবলিক লাইব্রেরির। যে লাইব্রেরিটি এখন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জগৎজ্যোতির নামে নামকরণ হয়েছে। প্রণব মুখার্জি বললেন, তার ছেলেবেলায় সুনামগঞ্জের একজন মানুষ তার বাবার কাছে যেতেন। তাদের বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। আমার আগ্রহ থাকলেও তার নাম বলতে পারেননি। বললেন, উনি বইটি ফেলে যান। সেই বইয়ের মধ্যে সুনামগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরির সিল ছিল। প্রণব মুখার্জির স্ত্রী নড়াইলের কন্যা শুভ্রা মুখার্জিও বাংলাদেশের কেউ গেলে খুব খুশি হন। যত্ন-আত্তি করতে বাঙালির হৃদ্যতার প্রকাশ ঘটে রাষ্ট্রপতি ভবনে।
৩. প্রণব মুখার্জির সঙ্গে আলাপকালে মনে হয়েছে তার হৃদয়ের দুই পাশে বাংলাদেশের দুই ভাইবোনের মুখ গাঁথা রয়েছে। একজন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা, আরেকজন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। প্রণব মুখার্জি বলছিলেন দীর্ঘদিনের পারিবারিক সম্পর্ক। কাদের সিদ্দিকীকে আদর করে বাঘা দা বলেই সম্বোধন করেন বিনয়ী প্রণব মুখার্জি। গল্পে গল্পে জানালেন ’৮৬ সালে কাদের সিদ্দিকী একটি পানির জার তাকে উপহার দিয়েছিলেন। কতটা ভালোবাসা থাকলে বলতে পারেন ভারতবর্ষের শ্রদ্ধার আসনে বসা প্রণব মুখার্জি! আমি ওটি এখনো তুলে রেখেছি। অনেক নির্বাচন ও রাজনৈতিক সফরে বাঘার পানির জার আমার সঙ্গী ছিল। প্রণব মুখার্জির সঙ্গে কথা বললে এতটাই মুগ্ধ হতে হয় যে, যা বোঝা যায়, বোঝানো যায় না। সন-তারিখ উল্লেখ করে ইতিহাসের পাতা থেকে কী সুন্দর বলে যান চুম্বক সব অংশগুলো। ৭৭ বছর বয়সেও কী প্রাণশক্তি তার! বাংলাদেশের প্রতি তার অকৃত্রিম মমত্ববোধ। যতবার তার মুখোমুখি হয়েছি ততবার মনে হয়েছে এই মানুষটি চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশকে হৃদয় দিয়ে আগলে রাখার মতো বন্ধু ও অভিভাবক আর কেউ থাকবে না। দিল্লির রাজনীতিতেও বাংলার নেতৃত্বের আকাল পড়েছে। অনেক রাজনীতিবিদের সন্তানরা উঠে এলেও নেতৃত্বের মহিমায় উঠে আসার মতো আলো জ্বালাতে পারছেন না। সর্বশেষ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলে প্রণব মুখার্জি বলেছেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। ব্যক্তিগতভাবে যারা প্রণব মুখার্জির সান্নিধ্যে গেছেন তারা জানেন এটি তার হৃদয়ের কথা। সবসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব ও মৈত্রীর বন্ধন দীর্ঘ হোক। বাংলাদেশেরও মানুষের উপলব্ধি করা উচিত ভারতের মতো উদার গণতান্ত্রিক বৃহত্তম শক্তিশালী প্রতিবেশীর সঙ্গে উষ্ণ বন্ধুত্বের সম্পর্কের বিকল্প নেই। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির পথ যার যার মতো হলেও আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য বন্ধুত্বের পথেই কূটনৈতিক দূতিয়ালিতে অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধানে যেতে হবে। বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বের প্রভাবশালী এই প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে আমাদের মৈত্রী ও বন্ধুত্ব ঐতিহাসিকভাবে গ্রথিত। মুক্তিযুদ্ধের রক্তে লেখা এ সম্পর্ককে কখনো কোনো পক্ষের রাজনৈতিক সাময়িক ফায়দা নিতে বৈরী মনোভাব দেখিয়ে শীতল করার সুযোগ নেই। প্রণব মুখার্জির মতো বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুর দীর্ঘায়ুই আমাদের কাম্য। অমন হৃদয়বান, বাংলাদেশ-দরদি মানুষটি শতায়ু হোন। আর ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার সরকারকেও ভাবতে হবে দুই দেশের বন্ধুত্ব উষ্ণ রাখতে হলে জনগণের সমস্যা ও মনোভাব বিচারে নিয়েই অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধান দ্রুতই খুঁজতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, দুই দেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ একসূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য সবকিছুই ভারত করবে। দুই নেতারই মনোভাব আমাদের জন্য সুসংবাদ। শারদীয় দুর্গাপূজায় প্রতিবার সাংবিধানিকভাবে হাত-পা বাঁধা এই বাঙালি রাষ্ট্রপতি ভবনের একঘেয়ে জীবন থেকে ছুটে আসেন পশ্চিম বাংলায়। এবারও আসছেন। তার সঙ্গে দুই দেশের সব সংখ্যালঘু বন্ধুদের শারদীয় শুভেচ্ছা।
শিরোনাম
- তাপমাত্রা কমার আভাস দিল আবহাওয়া অফিস
- এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মাইনি নদীতে লাকড়ি সংগ্রহে গিয়ে শিশু নিখোঁজ
- কুষ্টিয়ায় অ্যাম্বুলেন্স-ট্রলি সংঘর্ষে হেলপারের মৃত্যু
- উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত : যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ তদন্তকারী দল ভারতে
- ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা নিয়ে যা বলল হামাস
- দিনাজপুরে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক
- নওগাঁয় একুশে পরিষদের আয়োজনে ফল উৎসব
- লালমনিরহাট সীমান্তে ফের ১২ জনকে পুশইন
- বেনাপোলে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
- একরাতে পাঁচবার বাংকারে আশ্রয় নিলেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত
- যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে ৩০ কিলোমিটার যানজট
- মধ্য ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হানল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, বহু হতাহতের আশঙ্কা
- ইরানের জনগণকে বিদ্রোহ করার আহ্বান নেতানিয়াহুর
- আয়াতুল্লাহ খামেনি ও প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা ইসরায়েলের
- আবারও ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ইরানি ড্রোন
- মার্করামের অনুরোধেই উইকেটে থেকে যান বাভুমা
- ইসরায়েলের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা অর্থহীন: ইরান
- ১৭ দিন পর চক্ষুবিজ্ঞানে চিকিৎসাসেবা পুরোদমে চালু
- ইরান-ইসরায়েল : কার কত সামরিক শক্তি?
ইন্দিরা নয় দেখেছি প্রণব মুখার্জিকে
পীর হাবিবুর রহমান
অনলাইন ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর