শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০১৫

বালির ট্রাকে কাক- আমি তো অবাক!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
বালির ট্রাকে কাক- আমি তো অবাক!

কয়েকটি অনলাইনে দেখলাম, আরও অনেকের সঙ্গে তিনিও আহত হয়েছেন। পুলিশের পিপার স্প্রে অর্থাৎ গুঁড়ামরিচের স্প্রের আঘাতে তার মুখমণ্ডল ফুলে গেছে, চোখ দুটোও মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এমনটি জানার পর আমি তাকে ফোন করলাম। যদিও তিনি বিএনপির একজন আলোচিত নেত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য এবং একজন বিএনপিদলীয় তিনবারের নির্বাচিত এমপির স্ত্রী তারপরও তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের সম্পর্ক বড়ই চমৎকার। পাপিয়া মানে সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়ার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নিয়ে আপনজনরা প্রায়ই আশ্চর্য হয়ে ভাবে এটা কী করে সম্ভব! কারণ লোকজন পাপিয়াকে মনে করে জীবন্ত আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভার মতো। অন্যদিকে আমি নিতান্তই চুনোপুঁটি প্রকৃতির হাবাগোবা মানুষ। নবম সংসদের সবাই আমাদের বন্ধুত্বের বিষয়টি জানতেন এবং এ নিয়ে আমাকে খুটখাট প্রশ্নও করতেন। আমাদের দলের সিনিয়র নেতারা একাধিকবার আমাকে কাছে ডেকে নিয়ে হাস্যমুখে বলতেন, আচ্ছা রনি! বল তো ব্যাপারখানা কী?

নবম সংসদের পুরোটা সময় ধরে আমাদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। ইদানীংকালে তেমন যোগাযোগ না হলেও আমি এবং আমার পরিবার অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে পাপিয়াকে স্মরণ করি আমার বিপদের দিনে তার অনন্য ভূমিকার জন্য। আমি জেলে যাওয়ার পর তিনি প্রায় প্রতিদিনই আমার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুরা যখন কোনো খোঁজ নিলেন না, আমার দলের কর্তাব্যক্তিরা যখন অজ্ঞাত কারণে আমার প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলালেন সেই সময় সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর লোক হওয়া সত্ত্বেও পাপিয়ার সহানুভূতি এবং সাহায্য আমার পরিবারকে সাহসী এবং আত্মপ্রত্যয়ী হতে সাহায্য করেছিল। আমি সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই ফোন করলাম, হ্যালো পাপিয়া! মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে শোনা গেল, দোস্ত! আমি শেষ! জিজ্ঞাসা করলাম, কী হয়েছে বল তো! উত্তরে সে অনেক কিছু জানাল। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার আগে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার রাজপথের কিছু বাস্তব দৃশ্য বলে নিই।

ঘটনার দিন আমি রিকশা করে অফিসে রওনা দিলাম। আমি থাকি ধানমন্ডিতে। আমার কর্মস্থল তোপখানা রোড। বাসা থেকে অফিসে আসার পথে আমি যেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে যাই সেদিন পথে পড়ে নীলক্ষেত মোড়, টিএসসি, শিক্ষাভবন, হাইকোর্টের সম্মুখভাগ, এর পর প্রেসক্লাব। অফিসে ঢোকার আগে পূর্বদিকে চোখ ফেরালেই দেখে নিতে পারি পুরানা পল্টন চৌরাস্তার অবস্থা। মাঝে-মধ্যে আমি অন্য রাস্তা ধরেও অফিসে আসি। সে ক্ষেত্রে সিটি কলেজ, সাইন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, বাটা সিগন্যাল, শাহবাগ, মৎস্য ভবন এবং প্রেসক্লাব নজরে আসবে। যেদিন অফিস-আদালত খোলা থাকে এবং কোনো হরতাল-অবরোধ থাকে না সেদিন কমপক্ষে পৌনে এক ঘণ্টা এবং কখনো কখনো দুই আড়াই ঘণ্টাও লেগে যায়। অন্যদিকে আমি যখন ফিরি অর্থাৎ বাদ মাগরিব আমার যাত্রাপথের যানজট থাকে তীব্র। গাড়িতে দুই-তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ জন্য আমি রাগ করে প্রায়ই হেঁটে বাসায় ফিরি এবং সময় লাগে মাত্র ৪০ মিনিট।

৫ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে গেলাম নীলক্ষেতের দিকে। পথে বলাকা সিনেমা হলের একটু সামনে দেখলাম জনাপঞ্চাশেক সরকারদলীয় যুবক চেয়ার পেতে বসে খোশগল্প করছে। রাস্তাঘাট বেজায় ফাঁকা। অন্যান্য হরতাল-অবরোধের তুলনায় গাড়িঘোড়া নেই বললেই চলে। লোকজন হেঁটে চলছে। সবার চোখে-মুখে ভয়-উৎকণ্ঠা আর বিরক্তি। আমার রিকশাওয়ালা মধ্যবয়সী মানুষ। বাড়ি দক্ষিণাঞ্চলে। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আজ এমন হলো কেন। তিনি বোধহয় রেগেই ছিলেন। আমার কথা শুনে আরও রেগে গেলেন। বললেন, এমন ওইবে না তো কেমন ওইবে? দেশটা রসাতলে গেল। মোর কোনো কিছু ভালো লাগে না। সারা দিন কাম করি- রাইতে গিয়া জননার (স্ত্রীর) লগে ইতরামি (ঝগড়া) করি। ইতরামি করমু না তো কি করমু। আমার লগে তো কেউ মাইনষের মতো আচরণ করে না। পোলার বয়সী পোলাপান তুই তাকারি কইরা ডাকাডাকি করে। পুলিশ কথায় কথায় গুয়ার ওপর বাড়ি মারে। চাক্কা ফুটা কইরা দেয়। পান থেকে চুন খসলে রাস্তার ওপর রিকশা উল্টাইয়া রাখে। আবার টাহা দিলে সব ঠিক। রিকশার মালিক কথায় কথায় গায়ে হাত তুলে। সারা দিন যা কামাই করি তা আবার মাঝে-মধ্যে হারাইয়া ফেলি। বেশ কয়েকবার হেরওইনচিরা সব কিছু কাইরা নিয়া গেছে। এ্যার পর যদি বাসায় যাইয়া জননার ক্যাট ক্যাটানি শুনি তহন মন চায় কিয়ামত ঘডাইয়া ফেলি।

আমি বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করলাম কী আর তিনি কী বলতে আরম্ভ করলেন। নীলক্ষেত মোড় পার হয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর না ঢুকে রিকশাওয়ালাকে বললাম কাঁটাবন-শাহবাগ হয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি রিকশাটা ব্রেক করে ঘাড় ফিরে আমার দিকে তাকালেন। তারপর অদ্ভুত এক মুখভঙ্গি করে বললেন, ওইদিক দিয়ে যাইতে হলে দশ টাকা বেশি দেওন লাগব। আমি হেসে বললাম ঠিক আছে দেব, আপনি চালান। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা আপনি তো বরিশালের লোক। তা একবার বরিশালের ভাষায় আবার ঢাকাইয়্যা ভাষায় কথা বলছেন কেন। তিনি বললেন, গ্রামের লোকরে সবাই গোমা (বোকা) মনে হরে- তাই মিলাইয়্যা ঝিলাইয়্যা কতা কই। আমাগো যা কপাল-সরকারই তো মোগো গোমা মনে করে-লোকজনকে দোষ দেই ক্যা? গত বছর এই দ্যাশে গণ্ডগোল ওইল আর সরকার কইতেছে ইলেকশন! আমাদের গ্যারামের মওজ্যার মা মাতারীও কয় ইলেকশন অয় নাই। তারে তো কেউ বিড়ি দিয়া যায় নাই- বলে নাই চাচী ভিক্ষা করণ লাগবো না- এই ন্যাও পাঁচশ ট্যাহা-ভোট দিতে যাইও!

আমাদের রিকশা শাহবাগ মোড়ে পৌঁছে গেল। মোড়ের বামদিকে ১০-১২ জন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন। আমাকে দেখে সালাম দিলেন। তারা হাত নেড়ে আমাকে থামতে বললেন। আমি যথারীতি থামলাম। একজন এগিয়ে এসে বললেন, আমরা সবাই ডাক্তার। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম এবং দেশের অবস্থা নিয়ে আলাপ করছিলাম। আপনার সঙ্গে কথা বলার অনেক দিনের ইচ্ছে। আজ আপনাকে পেয়ে আশা পূর্ণ হলো। ইতিমধ্যে অন্যান্য ডাক্তার এগিয়ে এলেন এবং আমার সঙ্গে করমর্দন করতে করতে আমার লেখা, টকশো, এমপিকালীন কর্মকাণ্ড ইত্যাদি নিয়ে প্রশংসাসূচক নানা কথা বললেন। অন্যান্য দিন হলে আমি হয়তো ওসব প্রশংসা শুনে লজ্জা পেতাম কিংবা দাঁড়াতামই না। কিন্তু ঘটনার দিন আমি চাচ্ছিলাম বিভিন্ন স্থানে থেমে লোকজনের বক্তব্য শোনার জন্য। যাতে করে আমি বুঝতে পারি লোকজন আসলে ৫ জানুয়ারি নিয়ে কী ভাবছে!

শাহবাগ মোড়ে আড্ডারত ডাক্তারদের সবাই ছিলেন সরকার সমর্থক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সদস্য। তারা একে একে নিজেদের পরিচয় দিলেন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আমার বক্তব্য জানতে চাইলেন। আমি যথাসম্ভব বিনয় প্রকাশ করে বললাম, আমার মতামত তো আপনারা কমবেশি সবাই শুনেছেন এবং পত্রপত্রিকায় পড়েছেন। ফলে নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। তার চেয়ে আপনারাই বরং বলেন, যাতে করে আমি দু'কলম লিখতে পারি। তারা অনেক কথাই বললেন এবং শেষমেশ অনুরোধ করলেন আমি যেন সব কিছু না লিখি এবং তাদের কারও নাম যেন প্রকাশ না করি। আমি মুচকি হেসে তাদের কথায় সায় দিলাম এবং মনোযোগসহকারে তাদের সব কথা শুনতে লাগলাম। তাদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত তরুণ এক ডাক্তার বললেন, আওয়ামী লীগ কেন যে ৫ তারিখের লোকদেখানো নির্বাচন করতে গেল তা আমার মাথায় ঢুকে না। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন তো আমরা এখনো মেনে নিতে পারি না। বিএনপির কোনো মানুষ একবারও বলতে আসে না যে, আমি ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এমপি হয়েছিলাম। অথবা বিএনপি যখন বক্তৃতা-বিবৃতিতে বলে, খালেদা জিয়া তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী তখন আমরা ঘৃণায় মুখ বাঁকা করে ফেলি। অথচ একটি জাতীয় ঐকমত্য এবং সমঝোতার লক্ষ্যেই বিএনপি ১৫ ফেব্রুয়ারির একক নির্বাচন করেছিল কেবল বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক দাবিটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। অথচ সেই নির্বাচনটিকে যদি আমরা আজ অবধি এতটা ঘৃণার চোখে দেখি তাহলে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন, একতরফা জোরজবরদস্তিমূলক নির্বাচন নাটক নিয়ে জনগণের ঘৃণা যে কতটা প্রবল তা সহজেই অনুমান করা যায়।

তরুণ ডাক্তারের মতে, বর্তমান সরকার বেঁচে আছে রোবোটিকভাবে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে লাইফ সাপোর্ট। পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্য শক্তিসমূহ সরকারের দেহ থেকে সরিয়ে ফেলা হলে পরিস্থিতি যে কী হবে তা রাস্তার পাগলেও বলে দিতে পারে। মানুষের যেমন একটি সুস্থ ও নীরোগ দেহ দরকার এবং সেই দেহকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দরকার সুষম খাদ্য-পানীয় এবং আলো-বাতাস। তেমনি একটি রাজনৈতিক সরকারের জন্য দরকার শক্তিশালী বিরোধী দল, কার্যকর সংসদ, সচেতন সিভিল সোসাইটি, সার্বজনীন ভালোবাসা ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন, সংবাদপত্র এবং বিচার বিভাগের নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বর্তমান সরকারের এসব উপাদানের কয়টি আছে তা খুঁজে দেখতে হবে। সরকার যখন হম্বিতম্বি করে কথায় কথায় প্রতিপক্ষকে হেয় করে এবং অত্যাচারকে আত্মরক্ষার উপাদান মনে করে তখন বুঝতে হবে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়!

তরুণ ডাক্তার কিছুতেই ভেবে পান না, ক্ষমতাসীনরা তারেককে কেন এত গুরুত্ব দিয়ে সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন। কেনইবা তারা প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে ছলেবলে কৌশলে নিজেদের তল্পিবাহক বানাতে চাচ্ছেন অথবা রাজনীতির ময়দান থেকে নির্মূল করতে চাচ্ছেন। কেন তারা গাজীপুরের সমাবেশ বন্ধ করল এবং কেনইবা ৫ জানুয়ারির ঘটনায় ঘৃতাহূতি দিতে গেল? টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র শিল্পের সবাই তো সরকারদলীয় লোক। তাদের কেন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে? কেনইবা অনেক সংবাদ ব্লাক আউট হয়ে যাচ্ছে? এসব কীসের আলামত? একটি সরকার কখন এবং কোন মুহূর্তে এসব করে? এসব করে কারও কি কোনো দিন শেষ রক্ষা হয়েছিল?

আমি বারবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ডাক্তারদের বোঝাতে চাচ্ছিলাম, আমার তাড়া রয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পুনরায় রিকশায় চড়ে বসলাম। প্রেসক্লাব অতিক্রম করতে গিয়ে দেখলাম শত শত পুলিশ সেখানে লাইন ধরে সতর্ক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে, অনেকটা অ্যাটেনশনের কায়দায়। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় শখানেক চেয়ার পেতে সরকার সমর্থক কিছু যুবক মাথায় রঙিন ফিতা পেঁচিয়ে বসে আছে। তাদের ভাবসাব দেখে মনে হলো গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা করার জন্য তারা সেখানে বসে আছে। অফিসে ঢুকে যথারীতি কাজ করছিলাম। দুপুরের সময় হঠাৎ করেই ইত্তেফাক ও ইনকিলাবের দুজন সিনিয়র সাংবাদিক ফোন করে জানালেন, তারা আমার অফিসে আসতে চান একটু সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য। আমি হাঁ বলার ১০-১২ মিনিটের মধ্যেই তারা এসে হাজির হলেন। দুপুরের খাবার খেতে খেতে তারা অনেক দুঃখের কথা বললেন। দুজনই কট্টরপন্থি সরকার সমর্থক এবং কর্মজীবনে বহুবার শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশ-বিদেশের বহু জায়গায় গিয়েছেন। খানারত অবস্থায় তাদের একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম সাহেবের ফোন পেলেন এবং দ্রুত খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রেসক্লাবে চলে গেলেন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর শুনতে পেলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাবে মারামারি হচ্ছে।

সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কোনো কিছু ভালো লাগছিল না। ইন্টারনেট ঘেঁটে অনলাইন পোর্টালগুলোর হালনাগাদ খবরাখবর দেখছিলাম। সারা দেশের মারামারি, ফাটাফাটি, অগ্নিসংযোগ এবং খুনখারাবির সঙ্গে সঙ্গে বেগম জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের ভেতর পুলিশের পিপার স্প্রের কিছু ছবি দেখতে গিয়ে পাপিয়ার ছবি দেখলাম। তাকে ফোন করতেই সে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করল। বলল, দোস্ত এসব কী শুরু করেছ। একটি তালাবদ্ধ বাড়ির মধ্যে ৭০ বছর বয়স্ক একজন সম্মানিত মহিলা এবং আমাদের মতো ৪-৫ জন অসহায় রমণীকে শায়েস্তা করার জন্য পিপার স্প্রে কেউ করে? পাপিয়া আমাকে একজন আওয়ামী লীগার মনে করায় আমি ভারি মজা পেলাম। তাই আমার দলের বড় বড় নেতার মতো উল্টাপাল্টা রংরস শুরু করলাম। বললাম, লোকে যে যাই বলুক! তুমি কিন্তু আওয়ামী লীগকে গালি দিয়ো না। বেগম জিয়ার বাড়িতে তালা না মারলে কিংবা পিপার স্প্রে না করলে তুমি তো লাইমলাইটে আসতে পারতে না। এই সুযোগে ম্যাডামের কাছাকাছি পৌঁছে যাও এবং নম্বর বাড়িয়ে নাও।

আমার কথা শুনে পাপিয়া কী বুঝল বলতে পারব না। সে পাল্টা প্রশ্ন করে বলল, আচ্ছা দোস্ত! ইলি বিলি চিলি শা- ইকি বিকি পিকি শা অর্থ কি? ওরা পিপার স্প্রে করছিল এবং ওইসব দুর্বোধ্য শব্দগুলো বলছিল। কী যে যন্ত্রণা তোমাকে বোঝাতে পারব না। মনে হচ্ছিল মরে যাই। আমরা কয়েকজন মেয়ে তো মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। আমি বললাম শব্দগুলোর অর্থ আমি জানি না। মনে হচ্ছে, জাদুটোনার কোনো মন্ত্রটন্ত্র হবে। তবে তোমাদের কষ্টের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। ভয় হচ্ছে, আগামীদিনে আমরা বিরোধী দলে গেলে তোমরা তো নিজ হাতে আমাদের ওপর পিপার স্প্রে করবে। পাপিয়া বলল, অবশ্যই করব। একদম আসল জায়গায় এক ঘড়া পিপার স্প্রে করে দেব।

আমি বোকার মতো জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা আসল জায়গাটা কী? সে যা উত্তর করল তা আমি লিখতে পারব না। পাপিয়ার কথা শুনে আমার কান গরম হয়ে গেল। কোনো কথা না বলে আমি আমতা আমতা করতে লাগলাম। এমন সময় পাপিয়া হঠাৎ হেসে উঠল এবং বলল, দোস্ত! আমরা যা করতে পারিনি ২-৩টি কাক তা করে দেখিয়েছে। পুলিশ যখন স্প্রে করছিল তখন ২-৩টি কাক ওয়ালের ওপর বসে তামাশা দেখছিল। পিপার তাদের চোখে-মুখে লাগার সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রচণ্ড শব্দে যন্ত্রণায় কুঁকড়ে ওঠে এবং কা কা শুরু করে। তারা উড়ে গিয়ে বালির ট্রাকে বসার আগে কয়েকবার মল ত্যাগ করে গেটের বাইরের অনেকের কাপড়-চোপড় নষ্ট করে দেয়। কাকগুলোর ডাকাডাকিতে আরও কয়েকশ কাক এসে জড়ো হয়। তারা বালির ট্রাকের ওপর বসে তাদের আহত আত্মীয়কে সেবাযত্ন করার পাশাপাশি প্রচণ্ড বেগে কা কা শব্দ করে আমাদের বোঝাচ্ছিল, তোমরা যত সহজে অন্যায়কে মেনে নাও, কাকেরা কিন্তু তা কোনো দিন করে না।

লেখক : কলামিস্ট।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
গরিবি হটাও, গরিব নয়
গরিবি হটাও, গরিব নয়
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক হুমকিতে পড়বে
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক হুমকিতে পড়বে
স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে অর্থপাচার বন্ধ হবে না
স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে অর্থপাচার বন্ধ হবে না
বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক
বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক
যেসব কারণে সেনায় জন-আস্থা ও নির্ভরতা
যেসব কারণে সেনায় জন-আস্থা ও নির্ভরতা
সর্বশেষ খবর
মব সন্ত্রাসে কঠোর বিএনপি
মব সন্ত্রাসে কঠোর বিএনপি

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ভিনিসিয়ুসের নৈপুণ্যে জিতল রিয়াল
ভিনিসিয়ুসের নৈপুণ্যে জিতল রিয়াল

২২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হিজরি নববর্ষ উদযাপনে নানা আয়োজন
হিজরি নববর্ষ উদযাপনে নানা আয়োজন

২৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা শুরু করার কোনো সিদ্ধান্ত নেই: ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা শুরু করার কোনো সিদ্ধান্ত নেই: ইরান

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মসজিদগুলোতে সামাজিক সহযোগিতা বাড়ানো দরকার
মসজিদগুলোতে সামাজিক সহযোগিতা বাড়ানো দরকার

৩৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রাজধানীতে ট্রেনিং সেন্টারের ছাদ থেকে পড়ে তরুণীর মৃত্যু
রাজধানীতে ট্রেনিং সেন্টারের ছাদ থেকে পড়ে তরুণীর মৃত্যু

৪৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

করোনা আক্রান্ত শিক্ষার্থীর বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা
করোনা আক্রান্ত শিক্ষার্থীর বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রমেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত
রমেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইউক্রেনে আরও একটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার
ইউক্রেনে আরও একটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটক
৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘৭৩ থেকে যত নির্বাচন হয়েছে, একটিও গ্রহণযোগ্য ছিলো না’
‘৭৩ থেকে যত নির্বাচন হয়েছে, একটিও গ্রহণযোগ্য ছিলো না’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে লক্ষ্মীপুরে বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা
আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে লক্ষ্মীপুরে বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচ দেশে ইসরায়েলের ৩৫ হাজার হামলা
২০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচ দেশে ইসরায়েলের ৩৫ হাজার হামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় নারীসহ নিহত ২
গোপালগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় নারীসহ নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭১
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭১

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ
শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৭ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৭ জুন)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিককে ছাড়িয়ে শীর্ষে লিটন
মুশফিককে ছাড়িয়ে শীর্ষে লিটন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দর রেল গেটে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের
বিমানবন্দর রেল গেটে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ধনকুবের বেজোসের বিয়েতে যোগ দিতে ভেনিসে বিল গেটস, কিম কার্দাশিয়ানরা
ধনকুবের বেজোসের বিয়েতে যোগ দিতে ভেনিসে বিল গেটস, কিম কার্দাশিয়ানরা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই ছাত্রী
পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই ছাত্রী

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাতিয়ায় গুইসাপ ভাসছিল পুকুরে, কুমির গুজবে তোলপাড়
হাতিয়ায় গুইসাপ ভাসছিল পুকুরে, কুমির গুজবে তোলপাড়

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক গভর্নর আতিউরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
সাবেক গভর্নর আতিউরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ৩৩ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ৩৩ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গ্যাসসংকটে খেলাপি হবেন ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী
গ্যাসসংকটে খেলাপি হবেন ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাবিতে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’র চেষ্টা বহিরাগত তরুণীর
ঢাবিতে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’র চেষ্টা বহিরাগত তরুণীর

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিকুল আলম
হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিকুল আলম

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'

১৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পরমাণুর জন্য নয়, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ভিন্ন কারণ জানালেন খামেনি
পরমাণুর জন্য নয়, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ভিন্ন কারণ জানালেন খামেনি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই ছাত্রী
পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই ছাত্রী

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে
ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমেরিকার মুখে ‘কঠিন থাপ্পড়’ মেরেছে ইরান : খামেনি
আমেরিকার মুখে ‘কঠিন থাপ্পড়’ মেরেছে ইরান : খামেনি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ গেল ভারতীয় পাইলটকে আটক করা সেই পাকিস্তানি মেজরের
সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ গেল ভারতীয় পাইলটকে আটক করা সেই পাকিস্তানি মেজরের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে ১১ দিন ধরে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে রহস্য
ভারতে ১১ দিন ধরে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে রহস্য

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ, ক্রেতা খুশি হলেও হতাশ আড়তদাররা
ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ, ক্রেতা খুশি হলেও হতাশ আড়তদাররা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানি ড্রোন প্রতিহত করতে ইসরায়েলকে সাহায্য করেছে ফ্রান্স
ইরানি ড্রোন প্রতিহত করতে ইসরায়েলকে সাহায্য করেছে ফ্রান্স

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-রাশিয়া-ইরানের বিশেষ বৈঠক
চীন-রাশিয়া-ইরানের বিশেষ বৈঠক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতির পরেও চাপা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক ইস্যুতে ফের উত্তেজনা
যুদ্ধবিরতির পরেও চাপা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক ইস্যুতে ফের উত্তেজনা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, নিহত ২
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, নিহত ২

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হানা, নিজের পায়েই কুঠার মারল আমেরিকা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হানা, নিজের পায়েই কুঠার মারল আমেরিকা?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর অবরুদ্ধ
এনবিআর অবরুদ্ধ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারাই গেলেন সেই ইরানি কমান্ডার
মারাই গেলেন সেই ইরানি কমান্ডার

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচ্ছেদের ঘোষণা কণার, স্বামী বললেন ‘বিচ্ছেদ হয়নি’
বিচ্ছেদের ঘোষণা কণার, স্বামী বললেন ‘বিচ্ছেদ হয়নি’

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে, আদালতে স্বীকারোক্তি হাবিবুল আউয়ালের
২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে, আদালতে স্বীকারোক্তি হাবিবুল আউয়ালের

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর দুটি নিউজ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন আইন উপদেষ্টা
ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর দুটি নিউজ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ১৫ বছরের পরিকল্পনার ‘চূড়ান্ত পরিণতি’ : মার্কিন জেনারেল
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ১৫ বছরের পরিকল্পনার ‘চূড়ান্ত পরিণতি’ : মার্কিন জেনারেল

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিকুল আলম
হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিকুল আলম

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাঁকরোল খেলে পাওয়া যাবে যেসব উপকার
কাঁকরোল খেলে পাওয়া যাবে যেসব উপকার

২২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নারী নিপীড়ন: এনসিপির দলীয় চেতনা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নীলা ইসরাফিল
নারী নিপীড়ন: এনসিপির দলীয় চেতনা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নীলা ইসরাফিল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশি ভিসাপ্রত্যাশীদের সোশ্যাল মিডিয়া ‘পাবলিক’ করার অনুরোধ মার্কিন দূতাবাসের
বাংলাদেশি ভিসাপ্রত্যাশীদের সোশ্যাল মিডিয়া ‘পাবলিক’ করার অনুরোধ মার্কিন দূতাবাসের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোহরান মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রকে কি বার্তা দিচ্ছে?
জোহরান মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রকে কি বার্তা দিচ্ছে?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন দক্ষিণের প্রশাসক, সব বিভাগের কার্যক্রম শুরু
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন দক্ষিণের প্রশাসক, সব বিভাগের কার্যক্রম শুরু

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইরানের ইউরেনিয়াম সরানো নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় মার্কিন গোয়েন্দারা
ইরানের ইউরেনিয়াম সরানো নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় মার্কিন গোয়েন্দারা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ নিষিদ্ধ হাজারো ফেসবুক গ্রুপ, ক্ষুব্ধ ব্যবহারকারীরা
হঠাৎ নিষিদ্ধ হাজারো ফেসবুক গ্রুপ, ক্ষুব্ধ ব্যবহারকারীরা

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

শিবির সভাপতি-সেক্রেটারির ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছাত্রদল সভাপতির
শিবির সভাপতি-সেক্রেটারির ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছাত্রদল সভাপতির

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারকাদের প্রেমের সংসারে ভাঙন
তারকাদের প্রেমের সংসারে ভাঙন

শোবিজ

রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষোভ
রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
রড সিমেন্টের দামে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

আম রপ্তানিতে হতাশা
আম রপ্তানিতে হতাশা

নগর জীবন

প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে কাদেরের নিলাম প্রথা
প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে কাদেরের নিলাম প্রথা

প্রথম পৃষ্ঠা

সভায় বিএনপি নেতার অস্ত্র প্রদর্শন ভিডিও ভাইরাল
সভায় বিএনপি নেতার অস্ত্র প্রদর্শন ভিডিও ভাইরাল

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মুখ খুলছেন সাবেক সিইসিরা
মুখ খুলছেন সাবেক সিইসিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমতার দাপটের ফল ভোগ
ক্ষমতার দাপটের ফল ভোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার রজতজয়ন্তী উদযাপন
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার রজতজয়ন্তী উদযাপন

মাঠে ময়দানে

চীনের স্মার্ট গ্রামে মির্জা ফখরুলরা
চীনের স্মার্ট গ্রামে মির্জা ফখরুলরা

নগর জীবন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন আসিফ নজরুল
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন আসিফ নজরুল

প্রথম পৃষ্ঠা

ফারিণের শনির দশা
ফারিণের শনির দশা

শোবিজ

আলোচনার চেয়ে খাওয়া দাওয়া বেশি
আলোচনার চেয়ে খাওয়া দাওয়া বেশি

প্রথম পৃষ্ঠা

কেএমপি কমিশনারকে অপসারণে আলটিমেটাম
কেএমপি কমিশনারকে অপসারণে আলটিমেটাম

পেছনের পৃষ্ঠা

আরও জটিল এনবিআর পরিস্থিতি
আরও জটিল এনবিআর পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

অবৈধ পুশইন নয় শেখ হাসিনাকে পুশব্যাক করেন
অবৈধ পুশইন নয় শেখ হাসিনাকে পুশব্যাক করেন

নগর জীবন

গণতন্ত্র বনাম মবতন্ত্র ও ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্য
গণতন্ত্র বনাম মবতন্ত্র ও ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্য

সম্পাদকীয়

রমেশের উইকেটের বেলস ভেঙে ফেলেছিলাম’
রমেশের উইকেটের বেলস ভেঙে ফেলেছিলাম’

মাঠে ময়দানে

বর্ষার ফুলে মুগ্ধতা
বর্ষার ফুলে মুগ্ধতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আর শোনা যাবে না অমিতাভের কণ্ঠ
আর শোনা যাবে না অমিতাভের কণ্ঠ

শোবিজ

জন্মদিনে ফেরদৌসী রহমান
জন্মদিনে ফেরদৌসী রহমান

শোবিজ

নাবিলার পছন্দের নায়ক
নাবিলার পছন্দের নায়ক

শোবিজ

মিশা সওদাগরের চাওয়া
মিশা সওদাগরের চাওয়া

শোবিজ

বাতিল হচ্ছে ৪১৫ হজ এজেন্সির লাইসেন্স
বাতিল হচ্ছে ৪১৫ হজ এজেন্সির লাইসেন্স

নগর জীবন

হাসিনা পরিবারের নামে ৯৭৭ প্রতিষ্ঠান অবশেষে পরিবর্তন
হাসিনা পরিবারের নামে ৯৭৭ প্রতিষ্ঠান অবশেষে পরিবর্তন

প্রথম পৃষ্ঠা

কলম্বো টেস্টে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা
কলম্বো টেস্টে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকতে জি এম কাদেরকে আহ্বান
প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকতে জি এম কাদেরকে আহ্বান

নগর জীবন

শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিবকে কুপিয়ে জখম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিবকে কুপিয়ে জখম

নগর জীবন