শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০১৫

বালির ট্রাকে কাক- আমি তো অবাক!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
বালির ট্রাকে কাক- আমি তো অবাক!

কয়েকটি অনলাইনে দেখলাম, আরও অনেকের সঙ্গে তিনিও আহত হয়েছেন। পুলিশের পিপার স্প্রে অর্থাৎ গুঁড়ামরিচের স্প্রের আঘাতে তার মুখমণ্ডল ফুলে গেছে, চোখ দুটোও মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এমনটি জানার পর আমি তাকে ফোন করলাম। যদিও তিনি বিএনপির একজন আলোচিত নেত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য এবং একজন বিএনপিদলীয় তিনবারের নির্বাচিত এমপির স্ত্রী তারপরও তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের সম্পর্ক বড়ই চমৎকার। পাপিয়া মানে সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়ার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নিয়ে আপনজনরা প্রায়ই আশ্চর্য হয়ে ভাবে এটা কী করে সম্ভব! কারণ লোকজন পাপিয়াকে মনে করে জীবন্ত আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভার মতো। অন্যদিকে আমি নিতান্তই চুনোপুঁটি প্রকৃতির হাবাগোবা মানুষ। নবম সংসদের সবাই আমাদের বন্ধুত্বের বিষয়টি জানতেন এবং এ নিয়ে আমাকে খুটখাট প্রশ্নও করতেন। আমাদের দলের সিনিয়র নেতারা একাধিকবার আমাকে কাছে ডেকে নিয়ে হাস্যমুখে বলতেন, আচ্ছা রনি! বল তো ব্যাপারখানা কী?

নবম সংসদের পুরোটা সময় ধরে আমাদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। ইদানীংকালে তেমন যোগাযোগ না হলেও আমি এবং আমার পরিবার অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে পাপিয়াকে স্মরণ করি আমার বিপদের দিনে তার অনন্য ভূমিকার জন্য। আমি জেলে যাওয়ার পর তিনি প্রায় প্রতিদিনই আমার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুরা যখন কোনো খোঁজ নিলেন না, আমার দলের কর্তাব্যক্তিরা যখন অজ্ঞাত কারণে আমার প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলালেন সেই সময় সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর লোক হওয়া সত্ত্বেও পাপিয়ার সহানুভূতি এবং সাহায্য আমার পরিবারকে সাহসী এবং আত্মপ্রত্যয়ী হতে সাহায্য করেছিল। আমি সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই ফোন করলাম, হ্যালো পাপিয়া! মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে শোনা গেল, দোস্ত! আমি শেষ! জিজ্ঞাসা করলাম, কী হয়েছে বল তো! উত্তরে সে অনেক কিছু জানাল। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার আগে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার রাজপথের কিছু বাস্তব দৃশ্য বলে নিই।

ঘটনার দিন আমি রিকশা করে অফিসে রওনা দিলাম। আমি থাকি ধানমন্ডিতে। আমার কর্মস্থল তোপখানা রোড। বাসা থেকে অফিসে আসার পথে আমি যেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে যাই সেদিন পথে পড়ে নীলক্ষেত মোড়, টিএসসি, শিক্ষাভবন, হাইকোর্টের সম্মুখভাগ, এর পর প্রেসক্লাব। অফিসে ঢোকার আগে পূর্বদিকে চোখ ফেরালেই দেখে নিতে পারি পুরানা পল্টন চৌরাস্তার অবস্থা। মাঝে-মধ্যে আমি অন্য রাস্তা ধরেও অফিসে আসি। সে ক্ষেত্রে সিটি কলেজ, সাইন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, বাটা সিগন্যাল, শাহবাগ, মৎস্য ভবন এবং প্রেসক্লাব নজরে আসবে। যেদিন অফিস-আদালত খোলা থাকে এবং কোনো হরতাল-অবরোধ থাকে না সেদিন কমপক্ষে পৌনে এক ঘণ্টা এবং কখনো কখনো দুই আড়াই ঘণ্টাও লেগে যায়। অন্যদিকে আমি যখন ফিরি অর্থাৎ বাদ মাগরিব আমার যাত্রাপথের যানজট থাকে তীব্র। গাড়িতে দুই-তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ জন্য আমি রাগ করে প্রায়ই হেঁটে বাসায় ফিরি এবং সময় লাগে মাত্র ৪০ মিনিট।

৫ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে গেলাম নীলক্ষেতের দিকে। পথে বলাকা সিনেমা হলের একটু সামনে দেখলাম জনাপঞ্চাশেক সরকারদলীয় যুবক চেয়ার পেতে বসে খোশগল্প করছে। রাস্তাঘাট বেজায় ফাঁকা। অন্যান্য হরতাল-অবরোধের তুলনায় গাড়িঘোড়া নেই বললেই চলে। লোকজন হেঁটে চলছে। সবার চোখে-মুখে ভয়-উৎকণ্ঠা আর বিরক্তি। আমার রিকশাওয়ালা মধ্যবয়সী মানুষ। বাড়ি দক্ষিণাঞ্চলে। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আজ এমন হলো কেন। তিনি বোধহয় রেগেই ছিলেন। আমার কথা শুনে আরও রেগে গেলেন। বললেন, এমন ওইবে না তো কেমন ওইবে? দেশটা রসাতলে গেল। মোর কোনো কিছু ভালো লাগে না। সারা দিন কাম করি- রাইতে গিয়া জননার (স্ত্রীর) লগে ইতরামি (ঝগড়া) করি। ইতরামি করমু না তো কি করমু। আমার লগে তো কেউ মাইনষের মতো আচরণ করে না। পোলার বয়সী পোলাপান তুই তাকারি কইরা ডাকাডাকি করে। পুলিশ কথায় কথায় গুয়ার ওপর বাড়ি মারে। চাক্কা ফুটা কইরা দেয়। পান থেকে চুন খসলে রাস্তার ওপর রিকশা উল্টাইয়া রাখে। আবার টাহা দিলে সব ঠিক। রিকশার মালিক কথায় কথায় গায়ে হাত তুলে। সারা দিন যা কামাই করি তা আবার মাঝে-মধ্যে হারাইয়া ফেলি। বেশ কয়েকবার হেরওইনচিরা সব কিছু কাইরা নিয়া গেছে। এ্যার পর যদি বাসায় যাইয়া জননার ক্যাট ক্যাটানি শুনি তহন মন চায় কিয়ামত ঘডাইয়া ফেলি।

আমি বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করলাম কী আর তিনি কী বলতে আরম্ভ করলেন। নীলক্ষেত মোড় পার হয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর না ঢুকে রিকশাওয়ালাকে বললাম কাঁটাবন-শাহবাগ হয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি রিকশাটা ব্রেক করে ঘাড় ফিরে আমার দিকে তাকালেন। তারপর অদ্ভুত এক মুখভঙ্গি করে বললেন, ওইদিক দিয়ে যাইতে হলে দশ টাকা বেশি দেওন লাগব। আমি হেসে বললাম ঠিক আছে দেব, আপনি চালান। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা আপনি তো বরিশালের লোক। তা একবার বরিশালের ভাষায় আবার ঢাকাইয়্যা ভাষায় কথা বলছেন কেন। তিনি বললেন, গ্রামের লোকরে সবাই গোমা (বোকা) মনে হরে- তাই মিলাইয়্যা ঝিলাইয়্যা কতা কই। আমাগো যা কপাল-সরকারই তো মোগো গোমা মনে করে-লোকজনকে দোষ দেই ক্যা? গত বছর এই দ্যাশে গণ্ডগোল ওইল আর সরকার কইতেছে ইলেকশন! আমাদের গ্যারামের মওজ্যার মা মাতারীও কয় ইলেকশন অয় নাই। তারে তো কেউ বিড়ি দিয়া যায় নাই- বলে নাই চাচী ভিক্ষা করণ লাগবো না- এই ন্যাও পাঁচশ ট্যাহা-ভোট দিতে যাইও!

আমাদের রিকশা শাহবাগ মোড়ে পৌঁছে গেল। মোড়ের বামদিকে ১০-১২ জন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন। আমাকে দেখে সালাম দিলেন। তারা হাত নেড়ে আমাকে থামতে বললেন। আমি যথারীতি থামলাম। একজন এগিয়ে এসে বললেন, আমরা সবাই ডাক্তার। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম এবং দেশের অবস্থা নিয়ে আলাপ করছিলাম। আপনার সঙ্গে কথা বলার অনেক দিনের ইচ্ছে। আজ আপনাকে পেয়ে আশা পূর্ণ হলো। ইতিমধ্যে অন্যান্য ডাক্তার এগিয়ে এলেন এবং আমার সঙ্গে করমর্দন করতে করতে আমার লেখা, টকশো, এমপিকালীন কর্মকাণ্ড ইত্যাদি নিয়ে প্রশংসাসূচক নানা কথা বললেন। অন্যান্য দিন হলে আমি হয়তো ওসব প্রশংসা শুনে লজ্জা পেতাম কিংবা দাঁড়াতামই না। কিন্তু ঘটনার দিন আমি চাচ্ছিলাম বিভিন্ন স্থানে থেমে লোকজনের বক্তব্য শোনার জন্য। যাতে করে আমি বুঝতে পারি লোকজন আসলে ৫ জানুয়ারি নিয়ে কী ভাবছে!

শাহবাগ মোড়ে আড্ডারত ডাক্তারদের সবাই ছিলেন সরকার সমর্থক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সদস্য। তারা একে একে নিজেদের পরিচয় দিলেন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আমার বক্তব্য জানতে চাইলেন। আমি যথাসম্ভব বিনয় প্রকাশ করে বললাম, আমার মতামত তো আপনারা কমবেশি সবাই শুনেছেন এবং পত্রপত্রিকায় পড়েছেন। ফলে নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। তার চেয়ে আপনারাই বরং বলেন, যাতে করে আমি দু'কলম লিখতে পারি। তারা অনেক কথাই বললেন এবং শেষমেশ অনুরোধ করলেন আমি যেন সব কিছু না লিখি এবং তাদের কারও নাম যেন প্রকাশ না করি। আমি মুচকি হেসে তাদের কথায় সায় দিলাম এবং মনোযোগসহকারে তাদের সব কথা শুনতে লাগলাম। তাদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত তরুণ এক ডাক্তার বললেন, আওয়ামী লীগ কেন যে ৫ তারিখের লোকদেখানো নির্বাচন করতে গেল তা আমার মাথায় ঢুকে না। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন তো আমরা এখনো মেনে নিতে পারি না। বিএনপির কোনো মানুষ একবারও বলতে আসে না যে, আমি ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এমপি হয়েছিলাম। অথবা বিএনপি যখন বক্তৃতা-বিবৃতিতে বলে, খালেদা জিয়া তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী তখন আমরা ঘৃণায় মুখ বাঁকা করে ফেলি। অথচ একটি জাতীয় ঐকমত্য এবং সমঝোতার লক্ষ্যেই বিএনপি ১৫ ফেব্রুয়ারির একক নির্বাচন করেছিল কেবল বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক দাবিটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। অথচ সেই নির্বাচনটিকে যদি আমরা আজ অবধি এতটা ঘৃণার চোখে দেখি তাহলে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন, একতরফা জোরজবরদস্তিমূলক নির্বাচন নাটক নিয়ে জনগণের ঘৃণা যে কতটা প্রবল তা সহজেই অনুমান করা যায়।

তরুণ ডাক্তারের মতে, বর্তমান সরকার বেঁচে আছে রোবোটিকভাবে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে লাইফ সাপোর্ট। পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্য শক্তিসমূহ সরকারের দেহ থেকে সরিয়ে ফেলা হলে পরিস্থিতি যে কী হবে তা রাস্তার পাগলেও বলে দিতে পারে। মানুষের যেমন একটি সুস্থ ও নীরোগ দেহ দরকার এবং সেই দেহকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দরকার সুষম খাদ্য-পানীয় এবং আলো-বাতাস। তেমনি একটি রাজনৈতিক সরকারের জন্য দরকার শক্তিশালী বিরোধী দল, কার্যকর সংসদ, সচেতন সিভিল সোসাইটি, সার্বজনীন ভালোবাসা ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন, সংবাদপত্র এবং বিচার বিভাগের নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বর্তমান সরকারের এসব উপাদানের কয়টি আছে তা খুঁজে দেখতে হবে। সরকার যখন হম্বিতম্বি করে কথায় কথায় প্রতিপক্ষকে হেয় করে এবং অত্যাচারকে আত্মরক্ষার উপাদান মনে করে তখন বুঝতে হবে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়!

তরুণ ডাক্তার কিছুতেই ভেবে পান না, ক্ষমতাসীনরা তারেককে কেন এত গুরুত্ব দিয়ে সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন। কেনইবা তারা প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে ছলেবলে কৌশলে নিজেদের তল্পিবাহক বানাতে চাচ্ছেন অথবা রাজনীতির ময়দান থেকে নির্মূল করতে চাচ্ছেন। কেন তারা গাজীপুরের সমাবেশ বন্ধ করল এবং কেনইবা ৫ জানুয়ারির ঘটনায় ঘৃতাহূতি দিতে গেল? টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র শিল্পের সবাই তো সরকারদলীয় লোক। তাদের কেন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে? কেনইবা অনেক সংবাদ ব্লাক আউট হয়ে যাচ্ছে? এসব কীসের আলামত? একটি সরকার কখন এবং কোন মুহূর্তে এসব করে? এসব করে কারও কি কোনো দিন শেষ রক্ষা হয়েছিল?

আমি বারবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ডাক্তারদের বোঝাতে চাচ্ছিলাম, আমার তাড়া রয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পুনরায় রিকশায় চড়ে বসলাম। প্রেসক্লাব অতিক্রম করতে গিয়ে দেখলাম শত শত পুলিশ সেখানে লাইন ধরে সতর্ক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে, অনেকটা অ্যাটেনশনের কায়দায়। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় শখানেক চেয়ার পেতে সরকার সমর্থক কিছু যুবক মাথায় রঙিন ফিতা পেঁচিয়ে বসে আছে। তাদের ভাবসাব দেখে মনে হলো গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা করার জন্য তারা সেখানে বসে আছে। অফিসে ঢুকে যথারীতি কাজ করছিলাম। দুপুরের সময় হঠাৎ করেই ইত্তেফাক ও ইনকিলাবের দুজন সিনিয়র সাংবাদিক ফোন করে জানালেন, তারা আমার অফিসে আসতে চান একটু সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য। আমি হাঁ বলার ১০-১২ মিনিটের মধ্যেই তারা এসে হাজির হলেন। দুপুরের খাবার খেতে খেতে তারা অনেক দুঃখের কথা বললেন। দুজনই কট্টরপন্থি সরকার সমর্থক এবং কর্মজীবনে বহুবার শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশ-বিদেশের বহু জায়গায় গিয়েছেন। খানারত অবস্থায় তাদের একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম সাহেবের ফোন পেলেন এবং দ্রুত খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রেসক্লাবে চলে গেলেন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর শুনতে পেলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাবে মারামারি হচ্ছে।

সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কোনো কিছু ভালো লাগছিল না। ইন্টারনেট ঘেঁটে অনলাইন পোর্টালগুলোর হালনাগাদ খবরাখবর দেখছিলাম। সারা দেশের মারামারি, ফাটাফাটি, অগ্নিসংযোগ এবং খুনখারাবির সঙ্গে সঙ্গে বেগম জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের ভেতর পুলিশের পিপার স্প্রের কিছু ছবি দেখতে গিয়ে পাপিয়ার ছবি দেখলাম। তাকে ফোন করতেই সে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করল। বলল, দোস্ত এসব কী শুরু করেছ। একটি তালাবদ্ধ বাড়ির মধ্যে ৭০ বছর বয়স্ক একজন সম্মানিত মহিলা এবং আমাদের মতো ৪-৫ জন অসহায় রমণীকে শায়েস্তা করার জন্য পিপার স্প্রে কেউ করে? পাপিয়া আমাকে একজন আওয়ামী লীগার মনে করায় আমি ভারি মজা পেলাম। তাই আমার দলের বড় বড় নেতার মতো উল্টাপাল্টা রংরস শুরু করলাম। বললাম, লোকে যে যাই বলুক! তুমি কিন্তু আওয়ামী লীগকে গালি দিয়ো না। বেগম জিয়ার বাড়িতে তালা না মারলে কিংবা পিপার স্প্রে না করলে তুমি তো লাইমলাইটে আসতে পারতে না। এই সুযোগে ম্যাডামের কাছাকাছি পৌঁছে যাও এবং নম্বর বাড়িয়ে নাও।

আমার কথা শুনে পাপিয়া কী বুঝল বলতে পারব না। সে পাল্টা প্রশ্ন করে বলল, আচ্ছা দোস্ত! ইলি বিলি চিলি শা- ইকি বিকি পিকি শা অর্থ কি? ওরা পিপার স্প্রে করছিল এবং ওইসব দুর্বোধ্য শব্দগুলো বলছিল। কী যে যন্ত্রণা তোমাকে বোঝাতে পারব না। মনে হচ্ছিল মরে যাই। আমরা কয়েকজন মেয়ে তো মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। আমি বললাম শব্দগুলোর অর্থ আমি জানি না। মনে হচ্ছে, জাদুটোনার কোনো মন্ত্রটন্ত্র হবে। তবে তোমাদের কষ্টের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। ভয় হচ্ছে, আগামীদিনে আমরা বিরোধী দলে গেলে তোমরা তো নিজ হাতে আমাদের ওপর পিপার স্প্রে করবে। পাপিয়া বলল, অবশ্যই করব। একদম আসল জায়গায় এক ঘড়া পিপার স্প্রে করে দেব।

আমি বোকার মতো জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা আসল জায়গাটা কী? সে যা উত্তর করল তা আমি লিখতে পারব না। পাপিয়ার কথা শুনে আমার কান গরম হয়ে গেল। কোনো কথা না বলে আমি আমতা আমতা করতে লাগলাম। এমন সময় পাপিয়া হঠাৎ হেসে উঠল এবং বলল, দোস্ত! আমরা যা করতে পারিনি ২-৩টি কাক তা করে দেখিয়েছে। পুলিশ যখন স্প্রে করছিল তখন ২-৩টি কাক ওয়ালের ওপর বসে তামাশা দেখছিল। পিপার তাদের চোখে-মুখে লাগার সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রচণ্ড শব্দে যন্ত্রণায় কুঁকড়ে ওঠে এবং কা কা শুরু করে। তারা উড়ে গিয়ে বালির ট্রাকে বসার আগে কয়েকবার মল ত্যাগ করে গেটের বাইরের অনেকের কাপড়-চোপড় নষ্ট করে দেয়। কাকগুলোর ডাকাডাকিতে আরও কয়েকশ কাক এসে জড়ো হয়। তারা বালির ট্রাকের ওপর বসে তাদের আহত আত্মীয়কে সেবাযত্ন করার পাশাপাশি প্রচণ্ড বেগে কা কা শব্দ করে আমাদের বোঝাচ্ছিল, তোমরা যত সহজে অন্যায়কে মেনে নাও, কাকেরা কিন্তু তা কোনো দিন করে না।

লেখক : কলামিস্ট।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর