শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০১৫

বালির ট্রাকে কাক- আমি তো অবাক!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
বালির ট্রাকে কাক- আমি তো অবাক!

কয়েকটি অনলাইনে দেখলাম, আরও অনেকের সঙ্গে তিনিও আহত হয়েছেন। পুলিশের পিপার স্প্রে অর্থাৎ গুঁড়ামরিচের স্প্রের আঘাতে তার মুখমণ্ডল ফুলে গেছে, চোখ দুটোও মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এমনটি জানার পর আমি তাকে ফোন করলাম। যদিও তিনি বিএনপির একজন আলোচিত নেত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য এবং একজন বিএনপিদলীয় তিনবারের নির্বাচিত এমপির স্ত্রী তারপরও তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের সম্পর্ক বড়ই চমৎকার। পাপিয়া মানে সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়ার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নিয়ে আপনজনরা প্রায়ই আশ্চর্য হয়ে ভাবে এটা কী করে সম্ভব! কারণ লোকজন পাপিয়াকে মনে করে জীবন্ত আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভার মতো। অন্যদিকে আমি নিতান্তই চুনোপুঁটি প্রকৃতির হাবাগোবা মানুষ। নবম সংসদের সবাই আমাদের বন্ধুত্বের বিষয়টি জানতেন এবং এ নিয়ে আমাকে খুটখাট প্রশ্নও করতেন। আমাদের দলের সিনিয়র নেতারা একাধিকবার আমাকে কাছে ডেকে নিয়ে হাস্যমুখে বলতেন, আচ্ছা রনি! বল তো ব্যাপারখানা কী?

নবম সংসদের পুরোটা সময় ধরে আমাদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। ইদানীংকালে তেমন যোগাযোগ না হলেও আমি এবং আমার পরিবার অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে পাপিয়াকে স্মরণ করি আমার বিপদের দিনে তার অনন্য ভূমিকার জন্য। আমি জেলে যাওয়ার পর তিনি প্রায় প্রতিদিনই আমার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুরা যখন কোনো খোঁজ নিলেন না, আমার দলের কর্তাব্যক্তিরা যখন অজ্ঞাত কারণে আমার প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলালেন সেই সময় সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর লোক হওয়া সত্ত্বেও পাপিয়ার সহানুভূতি এবং সাহায্য আমার পরিবারকে সাহসী এবং আত্মপ্রত্যয়ী হতে সাহায্য করেছিল। আমি সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই ফোন করলাম, হ্যালো পাপিয়া! মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে শোনা গেল, দোস্ত! আমি শেষ! জিজ্ঞাসা করলাম, কী হয়েছে বল তো! উত্তরে সে অনেক কিছু জানাল। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার আগে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার রাজপথের কিছু বাস্তব দৃশ্য বলে নিই।

ঘটনার দিন আমি রিকশা করে অফিসে রওনা দিলাম। আমি থাকি ধানমন্ডিতে। আমার কর্মস্থল তোপখানা রোড। বাসা থেকে অফিসে আসার পথে আমি যেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে যাই সেদিন পথে পড়ে নীলক্ষেত মোড়, টিএসসি, শিক্ষাভবন, হাইকোর্টের সম্মুখভাগ, এর পর প্রেসক্লাব। অফিসে ঢোকার আগে পূর্বদিকে চোখ ফেরালেই দেখে নিতে পারি পুরানা পল্টন চৌরাস্তার অবস্থা। মাঝে-মধ্যে আমি অন্য রাস্তা ধরেও অফিসে আসি। সে ক্ষেত্রে সিটি কলেজ, সাইন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, বাটা সিগন্যাল, শাহবাগ, মৎস্য ভবন এবং প্রেসক্লাব নজরে আসবে। যেদিন অফিস-আদালত খোলা থাকে এবং কোনো হরতাল-অবরোধ থাকে না সেদিন কমপক্ষে পৌনে এক ঘণ্টা এবং কখনো কখনো দুই আড়াই ঘণ্টাও লেগে যায়। অন্যদিকে আমি যখন ফিরি অর্থাৎ বাদ মাগরিব আমার যাত্রাপথের যানজট থাকে তীব্র। গাড়িতে দুই-তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ জন্য আমি রাগ করে প্রায়ই হেঁটে বাসায় ফিরি এবং সময় লাগে মাত্র ৪০ মিনিট।

৫ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে গেলাম নীলক্ষেতের দিকে। পথে বলাকা সিনেমা হলের একটু সামনে দেখলাম জনাপঞ্চাশেক সরকারদলীয় যুবক চেয়ার পেতে বসে খোশগল্প করছে। রাস্তাঘাট বেজায় ফাঁকা। অন্যান্য হরতাল-অবরোধের তুলনায় গাড়িঘোড়া নেই বললেই চলে। লোকজন হেঁটে চলছে। সবার চোখে-মুখে ভয়-উৎকণ্ঠা আর বিরক্তি। আমার রিকশাওয়ালা মধ্যবয়সী মানুষ। বাড়ি দক্ষিণাঞ্চলে। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আজ এমন হলো কেন। তিনি বোধহয় রেগেই ছিলেন। আমার কথা শুনে আরও রেগে গেলেন। বললেন, এমন ওইবে না তো কেমন ওইবে? দেশটা রসাতলে গেল। মোর কোনো কিছু ভালো লাগে না। সারা দিন কাম করি- রাইতে গিয়া জননার (স্ত্রীর) লগে ইতরামি (ঝগড়া) করি। ইতরামি করমু না তো কি করমু। আমার লগে তো কেউ মাইনষের মতো আচরণ করে না। পোলার বয়সী পোলাপান তুই তাকারি কইরা ডাকাডাকি করে। পুলিশ কথায় কথায় গুয়ার ওপর বাড়ি মারে। চাক্কা ফুটা কইরা দেয়। পান থেকে চুন খসলে রাস্তার ওপর রিকশা উল্টাইয়া রাখে। আবার টাহা দিলে সব ঠিক। রিকশার মালিক কথায় কথায় গায়ে হাত তুলে। সারা দিন যা কামাই করি তা আবার মাঝে-মধ্যে হারাইয়া ফেলি। বেশ কয়েকবার হেরওইনচিরা সব কিছু কাইরা নিয়া গেছে। এ্যার পর যদি বাসায় যাইয়া জননার ক্যাট ক্যাটানি শুনি তহন মন চায় কিয়ামত ঘডাইয়া ফেলি।

আমি বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করলাম কী আর তিনি কী বলতে আরম্ভ করলেন। নীলক্ষেত মোড় পার হয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর না ঢুকে রিকশাওয়ালাকে বললাম কাঁটাবন-শাহবাগ হয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি রিকশাটা ব্রেক করে ঘাড় ফিরে আমার দিকে তাকালেন। তারপর অদ্ভুত এক মুখভঙ্গি করে বললেন, ওইদিক দিয়ে যাইতে হলে দশ টাকা বেশি দেওন লাগব। আমি হেসে বললাম ঠিক আছে দেব, আপনি চালান। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা আপনি তো বরিশালের লোক। তা একবার বরিশালের ভাষায় আবার ঢাকাইয়্যা ভাষায় কথা বলছেন কেন। তিনি বললেন, গ্রামের লোকরে সবাই গোমা (বোকা) মনে হরে- তাই মিলাইয়্যা ঝিলাইয়্যা কতা কই। আমাগো যা কপাল-সরকারই তো মোগো গোমা মনে করে-লোকজনকে দোষ দেই ক্যা? গত বছর এই দ্যাশে গণ্ডগোল ওইল আর সরকার কইতেছে ইলেকশন! আমাদের গ্যারামের মওজ্যার মা মাতারীও কয় ইলেকশন অয় নাই। তারে তো কেউ বিড়ি দিয়া যায় নাই- বলে নাই চাচী ভিক্ষা করণ লাগবো না- এই ন্যাও পাঁচশ ট্যাহা-ভোট দিতে যাইও!

আমাদের রিকশা শাহবাগ মোড়ে পৌঁছে গেল। মোড়ের বামদিকে ১০-১২ জন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন। আমাকে দেখে সালাম দিলেন। তারা হাত নেড়ে আমাকে থামতে বললেন। আমি যথারীতি থামলাম। একজন এগিয়ে এসে বললেন, আমরা সবাই ডাক্তার। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম এবং দেশের অবস্থা নিয়ে আলাপ করছিলাম। আপনার সঙ্গে কথা বলার অনেক দিনের ইচ্ছে। আজ আপনাকে পেয়ে আশা পূর্ণ হলো। ইতিমধ্যে অন্যান্য ডাক্তার এগিয়ে এলেন এবং আমার সঙ্গে করমর্দন করতে করতে আমার লেখা, টকশো, এমপিকালীন কর্মকাণ্ড ইত্যাদি নিয়ে প্রশংসাসূচক নানা কথা বললেন। অন্যান্য দিন হলে আমি হয়তো ওসব প্রশংসা শুনে লজ্জা পেতাম কিংবা দাঁড়াতামই না। কিন্তু ঘটনার দিন আমি চাচ্ছিলাম বিভিন্ন স্থানে থেমে লোকজনের বক্তব্য শোনার জন্য। যাতে করে আমি বুঝতে পারি লোকজন আসলে ৫ জানুয়ারি নিয়ে কী ভাবছে!

শাহবাগ মোড়ে আড্ডারত ডাক্তারদের সবাই ছিলেন সরকার সমর্থক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সদস্য। তারা একে একে নিজেদের পরিচয় দিলেন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আমার বক্তব্য জানতে চাইলেন। আমি যথাসম্ভব বিনয় প্রকাশ করে বললাম, আমার মতামত তো আপনারা কমবেশি সবাই শুনেছেন এবং পত্রপত্রিকায় পড়েছেন। ফলে নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। তার চেয়ে আপনারাই বরং বলেন, যাতে করে আমি দু'কলম লিখতে পারি। তারা অনেক কথাই বললেন এবং শেষমেশ অনুরোধ করলেন আমি যেন সব কিছু না লিখি এবং তাদের কারও নাম যেন প্রকাশ না করি। আমি মুচকি হেসে তাদের কথায় সায় দিলাম এবং মনোযোগসহকারে তাদের সব কথা শুনতে লাগলাম। তাদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত তরুণ এক ডাক্তার বললেন, আওয়ামী লীগ কেন যে ৫ তারিখের লোকদেখানো নির্বাচন করতে গেল তা আমার মাথায় ঢুকে না। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন তো আমরা এখনো মেনে নিতে পারি না। বিএনপির কোনো মানুষ একবারও বলতে আসে না যে, আমি ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এমপি হয়েছিলাম। অথবা বিএনপি যখন বক্তৃতা-বিবৃতিতে বলে, খালেদা জিয়া তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী তখন আমরা ঘৃণায় মুখ বাঁকা করে ফেলি। অথচ একটি জাতীয় ঐকমত্য এবং সমঝোতার লক্ষ্যেই বিএনপি ১৫ ফেব্রুয়ারির একক নির্বাচন করেছিল কেবল বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক দাবিটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। অথচ সেই নির্বাচনটিকে যদি আমরা আজ অবধি এতটা ঘৃণার চোখে দেখি তাহলে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন, একতরফা জোরজবরদস্তিমূলক নির্বাচন নাটক নিয়ে জনগণের ঘৃণা যে কতটা প্রবল তা সহজেই অনুমান করা যায়।

তরুণ ডাক্তারের মতে, বর্তমান সরকার বেঁচে আছে রোবোটিকভাবে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে লাইফ সাপোর্ট। পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্য শক্তিসমূহ সরকারের দেহ থেকে সরিয়ে ফেলা হলে পরিস্থিতি যে কী হবে তা রাস্তার পাগলেও বলে দিতে পারে। মানুষের যেমন একটি সুস্থ ও নীরোগ দেহ দরকার এবং সেই দেহকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দরকার সুষম খাদ্য-পানীয় এবং আলো-বাতাস। তেমনি একটি রাজনৈতিক সরকারের জন্য দরকার শক্তিশালী বিরোধী দল, কার্যকর সংসদ, সচেতন সিভিল সোসাইটি, সার্বজনীন ভালোবাসা ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন, সংবাদপত্র এবং বিচার বিভাগের নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বর্তমান সরকারের এসব উপাদানের কয়টি আছে তা খুঁজে দেখতে হবে। সরকার যখন হম্বিতম্বি করে কথায় কথায় প্রতিপক্ষকে হেয় করে এবং অত্যাচারকে আত্মরক্ষার উপাদান মনে করে তখন বুঝতে হবে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়!

তরুণ ডাক্তার কিছুতেই ভেবে পান না, ক্ষমতাসীনরা তারেককে কেন এত গুরুত্ব দিয়ে সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন। কেনইবা তারা প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে ছলেবলে কৌশলে নিজেদের তল্পিবাহক বানাতে চাচ্ছেন অথবা রাজনীতির ময়দান থেকে নির্মূল করতে চাচ্ছেন। কেন তারা গাজীপুরের সমাবেশ বন্ধ করল এবং কেনইবা ৫ জানুয়ারির ঘটনায় ঘৃতাহূতি দিতে গেল? টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র শিল্পের সবাই তো সরকারদলীয় লোক। তাদের কেন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে? কেনইবা অনেক সংবাদ ব্লাক আউট হয়ে যাচ্ছে? এসব কীসের আলামত? একটি সরকার কখন এবং কোন মুহূর্তে এসব করে? এসব করে কারও কি কোনো দিন শেষ রক্ষা হয়েছিল?

আমি বারবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ডাক্তারদের বোঝাতে চাচ্ছিলাম, আমার তাড়া রয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পুনরায় রিকশায় চড়ে বসলাম। প্রেসক্লাব অতিক্রম করতে গিয়ে দেখলাম শত শত পুলিশ সেখানে লাইন ধরে সতর্ক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে, অনেকটা অ্যাটেনশনের কায়দায়। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় শখানেক চেয়ার পেতে সরকার সমর্থক কিছু যুবক মাথায় রঙিন ফিতা পেঁচিয়ে বসে আছে। তাদের ভাবসাব দেখে মনে হলো গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা করার জন্য তারা সেখানে বসে আছে। অফিসে ঢুকে যথারীতি কাজ করছিলাম। দুপুরের সময় হঠাৎ করেই ইত্তেফাক ও ইনকিলাবের দুজন সিনিয়র সাংবাদিক ফোন করে জানালেন, তারা আমার অফিসে আসতে চান একটু সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য। আমি হাঁ বলার ১০-১২ মিনিটের মধ্যেই তারা এসে হাজির হলেন। দুপুরের খাবার খেতে খেতে তারা অনেক দুঃখের কথা বললেন। দুজনই কট্টরপন্থি সরকার সমর্থক এবং কর্মজীবনে বহুবার শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশ-বিদেশের বহু জায়গায় গিয়েছেন। খানারত অবস্থায় তাদের একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম সাহেবের ফোন পেলেন এবং দ্রুত খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রেসক্লাবে চলে গেলেন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর শুনতে পেলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাবে মারামারি হচ্ছে।

সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কোনো কিছু ভালো লাগছিল না। ইন্টারনেট ঘেঁটে অনলাইন পোর্টালগুলোর হালনাগাদ খবরাখবর দেখছিলাম। সারা দেশের মারামারি, ফাটাফাটি, অগ্নিসংযোগ এবং খুনখারাবির সঙ্গে সঙ্গে বেগম জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের ভেতর পুলিশের পিপার স্প্রের কিছু ছবি দেখতে গিয়ে পাপিয়ার ছবি দেখলাম। তাকে ফোন করতেই সে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করল। বলল, দোস্ত এসব কী শুরু করেছ। একটি তালাবদ্ধ বাড়ির মধ্যে ৭০ বছর বয়স্ক একজন সম্মানিত মহিলা এবং আমাদের মতো ৪-৫ জন অসহায় রমণীকে শায়েস্তা করার জন্য পিপার স্প্রে কেউ করে? পাপিয়া আমাকে একজন আওয়ামী লীগার মনে করায় আমি ভারি মজা পেলাম। তাই আমার দলের বড় বড় নেতার মতো উল্টাপাল্টা রংরস শুরু করলাম। বললাম, লোকে যে যাই বলুক! তুমি কিন্তু আওয়ামী লীগকে গালি দিয়ো না। বেগম জিয়ার বাড়িতে তালা না মারলে কিংবা পিপার স্প্রে না করলে তুমি তো লাইমলাইটে আসতে পারতে না। এই সুযোগে ম্যাডামের কাছাকাছি পৌঁছে যাও এবং নম্বর বাড়িয়ে নাও।

আমার কথা শুনে পাপিয়া কী বুঝল বলতে পারব না। সে পাল্টা প্রশ্ন করে বলল, আচ্ছা দোস্ত! ইলি বিলি চিলি শা- ইকি বিকি পিকি শা অর্থ কি? ওরা পিপার স্প্রে করছিল এবং ওইসব দুর্বোধ্য শব্দগুলো বলছিল। কী যে যন্ত্রণা তোমাকে বোঝাতে পারব না। মনে হচ্ছিল মরে যাই। আমরা কয়েকজন মেয়ে তো মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। আমি বললাম শব্দগুলোর অর্থ আমি জানি না। মনে হচ্ছে, জাদুটোনার কোনো মন্ত্রটন্ত্র হবে। তবে তোমাদের কষ্টের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। ভয় হচ্ছে, আগামীদিনে আমরা বিরোধী দলে গেলে তোমরা তো নিজ হাতে আমাদের ওপর পিপার স্প্রে করবে। পাপিয়া বলল, অবশ্যই করব। একদম আসল জায়গায় এক ঘড়া পিপার স্প্রে করে দেব।

আমি বোকার মতো জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা আসল জায়গাটা কী? সে যা উত্তর করল তা আমি লিখতে পারব না। পাপিয়ার কথা শুনে আমার কান গরম হয়ে গেল। কোনো কথা না বলে আমি আমতা আমতা করতে লাগলাম। এমন সময় পাপিয়া হঠাৎ হেসে উঠল এবং বলল, দোস্ত! আমরা যা করতে পারিনি ২-৩টি কাক তা করে দেখিয়েছে। পুলিশ যখন স্প্রে করছিল তখন ২-৩টি কাক ওয়ালের ওপর বসে তামাশা দেখছিল। পিপার তাদের চোখে-মুখে লাগার সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রচণ্ড শব্দে যন্ত্রণায় কুঁকড়ে ওঠে এবং কা কা শুরু করে। তারা উড়ে গিয়ে বালির ট্রাকে বসার আগে কয়েকবার মল ত্যাগ করে গেটের বাইরের অনেকের কাপড়-চোপড় নষ্ট করে দেয়। কাকগুলোর ডাকাডাকিতে আরও কয়েকশ কাক এসে জড়ো হয়। তারা বালির ট্রাকের ওপর বসে তাদের আহত আত্মীয়কে সেবাযত্ন করার পাশাপাশি প্রচণ্ড বেগে কা কা শব্দ করে আমাদের বোঝাচ্ছিল, তোমরা যত সহজে অন্যায়কে মেনে নাও, কাকেরা কিন্তু তা কোনো দিন করে না।

লেখক : কলামিস্ট।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান
‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গণপিটুনিতে যুবক নিহত

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’
‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার

২৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু
বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম
৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

২৮ মিনিট আগে | বাণিজ্য

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯

৩৪ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক

৩৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান
রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান

৩৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই
চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই

৩৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ
সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ
বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা
গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন
বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি
কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কসবায় ভারতীয় চশমা জব্দ
কসবায় ভারতীয় চশমা জব্দ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত
মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে