শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

বর্ণ, ধর্ম ও সংখ্যালঘুু

অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত
অনলাইন ভার্সন
বর্ণ, ধর্ম ও সংখ্যালঘুু

ভারতবর্ষের বিভক্তি দেখিনি কিন্তু পাকিস্তান বিভক্তিই শুধু দেখিনি, গর্বের বাংলাদেশ নামক দেশটির জন্মের সঙ্গে আমার দুর্দান্ত অংশগ্রহণও ছিল। এই তো দুই দিন আগেই ছাত্রলীগের এককালীন সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সভাপতি মনিরুল হক চৌধুরী (মনির ভাই) এসেছিলেন। বললেন, আমার হাতের লেখা সব কাগজ নাকি শহীদ মণি ভাই (শেখ ফজলুল হক মণি) Mountain ব্রিগেডের সঙ্গে বাংলাদেশে যুদ্ধের জন্য প্রবেশের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর সুরত সিংয়ের মাধ্যমে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের Archive এ পাঠিয়েছেন। খুব ইচ্ছা হচ্ছে নিজের লেখা চিঠিপত্র এবং দলিলাদি দেখার জন্য। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের অনেক গল্প শুনেছি বাপ-দাদার কাছ থেকে। এমন কি ঠাকুরমার মুখে। স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে। কিন্তু ভারতবর্ষের সঠিক বিভাজন উপমহাদেশের নেতারা করতে পারেননি। ব্রিটিশ কূটনীতির বেড়াজালে এখনো এই উপমহাদেশ জ্বলছে। জ্বলার পেছনের কারণ শুধু ধর্মভিত্তিক বিভাজন। তৎকালীন নেতৃত্বের ব্যর্থতা।

ভারতীয় ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারটির দাবি হিন্দু ধর্মের যতখানি, ততখানিই বৌদ্ধ ধর্মের। তাছাড়া দীর্ঘ শাসনের সুবাদে ইসলাম ধর্মের দাবিও অনেকখানি। ভারতে জৈন ধর্মেরও দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং এখনো তা আছে। খ্রিস্টান, ইহুদি ও পার্সিরা এ উপমহাদেশে বসবাস করেছে। এমনকি এক শক্তিশালী মতবাদ হিসেবে শিখ ধর্মের উদ্ভব হয়। শিখ ধর্ম বিকশিত হয় হিন্দু ও ইসলাম এই উভয় ধর্ম থেকে উপাদান সংগ্রহ করে। (সূত্র : তর্কপ্রিয় ভারতীয়, পৃ. ৫৪) বঞ্চনা, শাসন, শোষণ, নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ধর্মকেই এই উপমহাদেশে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে ধর্মনিরপেক্ষতার ভিতটি যেমন ভারতে দুর্বল হয়েছে তেমনি বাংলাদেশে '৭৫ থেকে '৯৬ ধর্মীয় আবেগে বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষতা নিঃশেষ হয়ে গেছে।

১৯৪৮-এর পর তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্রদের ন্যায্য আন্দোলনেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ধর্মকে টেনে এনেছে। যে কোনো ন্যায্য দাবির আওয়াজ উঠলেই বলা হতো ভারতের চর বা হিন্দুদের দালালরা এসব সংঘটিত করছে। এই জিকির কিন্তু বেশি দিন টেকেনি। জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগসহ কট্টরপন্থি ইসলামী দলগুলো পাকিস্তানের বিভাজন আটকিয়ে রাখতে পারেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকেও তারা ভারতের দালাল বলে বারবার আখ্যায়িত করতে ভুল করেনি। কিন্তু তিনি ছিলেন রাজনীতির দার্শনিক। তার দর্শনকে বাস্তবায়ন করতে সময় লেগেছিল ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত।

আসলে ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তির কার্যকলাপ, সমাজতান্ত্রিক শক্তির চেয়েও আরও অধিক মহাপরাক্রম শক্তি হতে পারে বিধায় সুবিধাভোগী শক্তি সবসময়ই ধর্মের লেবাসকে লেলিয়ে দেয়। সাধারণভাবে বাংলাদেশে ১৯৭০ সালেও যে ধর্মীয় অনুপাতে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের বিন্যাস নিয়ে চলছিল সে হিসেবে এদেশে কখনো কোনো কল-কারখানা, অফিস-আদালত বন্ধ রাখার প্রয়োজন হতো না। ইচ্ছা করলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরা কাজ করলে ঈদপর্বে মুসলিমদের এক মাসের ছুটিও দিতে পারতেন। তেমনি মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরা একসঙ্গে কাজ করলে পূজায় হিন্দুদের এক মাস ছুটি দেওয়া কোনো ব্যাপার হতো না। এরকম অন্য ধর্মের বেলায়। রাজনীতিতে ধর্মের অনুপ্রবেশে সবসময় সংখ্যালঘুরাই নিষ্পেষিত ও দেশান্তরিত হয়। উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলিম সংখ্যালঘু। ইউরোপ-আমেরিকায় আমরা সবাই এশীয় বা কৃষ্ণ বর্ণীয়। সেখানে দুইপক্ষই সংখ্যালঘু।

১৯৭১ সালের নির্বাচনী প্রচারণায়, বঙ্গবন্ধুর এই ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে, (অবশ্যই এর আগে দুই স্বৈরশাসক সংবিধানকে হিংস্র নখের ছোবল দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছিলেন) খালেদা জিয়া মিরেরসরাইয়ের এক জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, 'আপনারা কি সন্ধ্যায় মসজিদে আজানের ধ্বনি শুনতে চান, না উলুধ্বনি শুনতে চান, যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দেন তাহলে উলুধ্বনি শুনতে হবে, মসজিদে আজান এবং নামাজ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।' আঠারোর্ধ্ব বয়সের কারও এই বক্তব্যে মানসিক বিকৃতি ঘটবে কিনা জানি না, তবে যাদের বয়স (Teen age) ১৩ থেকে ১৭ বা ১৩ বয়সের নিচে, তাদের মনে কি আঘাত পড়বে, ধর্মীয় বিশ্বাস তখন তাদের বিদ্রোহে রূপ নেবে এটা শতভাগ নিশ্চিত। একটা শিশু হয়তো ভাববে, মসজিদটা কি হিন্দুরা দখল করে নেবে। একই সঙ্গে ওই শিশুটির হিন্দুদের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা জমবে, যা তার মনে দীর্ঘদিন স্থায়ীভাবে থাকবে। এরকম অনেক বক্তব্য, যাতে শুধু সাম্প্রদায়িক উসকানিই ছিল, যা তখন তার মুখ থেকে নিঃসরিত হয়েছিল। সত্যিকার মানুষ কখনো ধর্ম নিয়ে এরকম কথা বলতে পারেন না, অথচ তাকে রাষ্ট্রনায়ক হতে হয়েছে।

ষাটের দশকে আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, তখন আমাদের আরবির শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম পড়াতেন) যিনি আমাদের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদির মজুমদার স্যারের বড় ভাই জনাব এলাহী বঙ্ মজুমদার বাংলার শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে মাঝে মাঝে বাংলাও পড়াতেন। আমাদের বাংলার শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের কবিতা পড়াতে গিয়ে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে কী পার্থক্য তা বুঝাতে গিয়ে এক চমৎকার উদাহরণ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, প্রাণ গোপাল দত্ত আর খালেক মজুমদার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আসলেও আমরা ছিলাম হরিহর আত্মা। তার উদাহরণটা হলো, প্রাণ গোপাল যদি মজুমদার বাড়িতে জন্ম নিত তাহলে তার নাম হতো খালেক বা মালেক এ জাতীয় কিছু, আর খালেক যদি ডাক্তার বাড়িতে (দত্তবাড়িতে) জন্ম নিত তাহলে তার নাম হতো গোপাল বা রাখাল এমন কিছু। আসলে সবাইকে এক স্রষ্টাই সৃষ্টি করেছেন। হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসী মায়ের পেট থেকে আসা ছেলেটার নাম হয়ে থাকে হিন্দু সংস্কৃতিতে, তেমনি মুসলিম মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসা ছেলেটির নাম হয় মুসলিম সংস্কৃতির। সব শিশুর উৎপত্তি এক মায়ের গর্ভ থেকে। এ ছাড়া আর কোনো পার্থক্য নেই। সব ধর্মের মূল কথা একই। কোনো ধর্ম মিথ্যা বলতে দেয়নি, অন্যের অপকারও প্রশ্রয় দেয়নি। শারীরিক গঠনেও কোনো পার্থক্য নেই। আমার এখনো মনে হয় কী সুন্দর ব্যাখ্যা। আসলে এভাবেই ব্যাখ্যা হওয়া উচিত।

অনুরূপ আরেকটি ঘটনা ঘটল ১৯৮৮ সালে ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি ময়দানে শেখ হাসিনার জনসভায় পুলিশ এবং তৎকালীন সরকারের লালিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৪ জনের মতো যুবককে প্রাণ দিতে হয় যাদের মধ্যে বেশ কিছু ছিল হিন্দু যুবক, যারা ছাত্রলীগ করতেন। সেটা এরশাদ আমলের ঘটনা। অধ্যাপক এম এ মতিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন চিকিৎসাবিদ্যার, বিলেত থেকে এফআরসিএস করে প্রতিষ্ঠিত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ হয়েছিলেন। মেধাবী ছিলেন বলেই, জিয়া-এরশাদ দুই আমলেই দাপটের সঙ্গে চালিয়েছিলেন। এর আগে কখনো কোনো ডাক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো স্পর্শকাতর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাননি। ভবিষ্যতে কোনো ডাক্তার পাবেন কিনা, সন্দেহ। ২৪ জানুয়ারি যেহেতু অধিকাংশ শহীদ ছিলেন হিন্দু, তখন তিনি তার বন্ধুমহলে বললেন, এরা ইন্ডিয়ান অনুপ্রবেশকারী। সঙ্গে সঙ্গেই তার এক বন্ধু বললেন, তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। চালাক-চতুর মানুষটি কেন জিজ্ঞাসা করতেই, জবাব হলো বর্ডার বা সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। যেহেতু সীমান্ত অতিক্রম করে অনুপ্রবেশকারী এখানে প্রবেশ করেছে, তাই তুমি ব্যর্থ। লজ্জায় তখন কালো মানুষটার মুখটা ছাই বর্ণের হয়ে গেল।

আরেকটি মজার ঘটনা ঘটল ১৯৮৯ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময়। তখনো লে. জে. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাহেবের শাসনকাল। প্রশাসন বা সরকার যে এখানে প্রত্যক্ষভাবে মদদ দিয়ে ঘটিয়েছিল, তার প্রমাণ হলো : দাঙ্গা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে পুলিশ চট্টগ্রামের বড় বড় মন্দিরের পুরোহিতদের নিরাপত্তা দিয়েছিলেন বা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছিলেন। যেমনটি হলো পাহাড়তলীস্থ কৈবল্যধামের ধর্মগুরুকে দামি জিপে করে সরিয়ে নিয়ে পাঁচলাইশ থানায় কর্মরত একজন হিন্দু পুলিশ সেকেন্ড অফিসারের বাসায় নিরাপদে জামাই আদরে রাখা। হয়তোবা এরশাদ সাহেব তা জানতেন না! যখন আমরা প্রার্থনা করি, আমরা আমাদের মানবিক অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস এবং বর্ণনাতীত ক্ষমতা (Transcend) দিয়ে বিশ্বাস করি সর্বোপরি এক ঐশ্বরিক শক্তি আছে (divine power) সেটা হতে পারে ঈশ্বর, আল্লাহ বা গড, যে কোনো নামেই থাকতে পারে। এবং এই শক্তিই আমাদের সন্দেহ এবং দুর্দশা দূর করতে পারে। ব্যর্থতা ঘুচাতে পারে, এমন কি সত্যের পথে চালাতে পারে। সুতরাং স্রষ্টা এক এবং অদ্বিতীয় এই মন্ত্র মনে ধারণ করেই ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আবদুল কালাম তার Wings of Fire গ্রন্থের ২৪ পৃষ্ঠায় অসাম্প্রদায়িকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। যেখানে 'শিক্ষাজীবন সমাপনান্তে সুফি সাধক হজরত নিজামুদ্দীনের শহর দিলি্লতে একটা ইন্টারভিউ দিয়ে দেরাদুনে Air force-এর পাইলট অফিসার চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে যান। ৮টি পদের জন্য ২৫ জন প্রার্থী। বোর্ড সেখানে বুদ্ধিমত্তার চেয়েও ব্যক্তিত্বকে বেশি গুরুত্ব দেন। ফলশ্রুতিতে তিনি নবম স্থান দখল করে চাকরি থেকে ছিটকে পড়েন। তাছাড়াও ওই ইন্টারভিউতে দৈহিক ফিটনেস এবং কথা বলার চাতুর্যতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তার ভাষায় “I was excited but nervous, determined but anxious, confident but tense” নবম স্থান দখল করে চাকরি না পেয়ে তিনি খুবই হতাশ হয়ে পড়েন। সেখানে তিনি, কাঠের খড়ম ও সাদাধুতি পরা গৌতমবুদ্ধের মতো দেখতে স্বামীজি সিভানন্দের সাক্ষাৎ নিলেন। জলপাই এবং কালো রংয়ের সৌম্য চেহারার হৃদয়ভেদী দৃষ্টি, শিশুসুলভ হাসি, করুণাময় বাক্য এবং ব্যবহার তাকে বিমোহিত করেছিল। তার ভাষায় মুসলিম নাম তার মনে কোনো রেখাপাত করেনি, কালাম জী কিছু বলার আগেই, স্বামীজি তাকে তার ব্যাখ্যার কারণ জানতে চাইলেন। যখন তিনি বললেন তার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন এয়ারফোর্সের পাইলট হওয়ার স্বপ্নভঙ্গের কথা।

এবার আমি সত্যিকার একজন ধার্মিক, স্বল্প শিক্ষিত মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন একজন মুসলিম প্রাথমিক শিক্ষকের উদাহরণ তুলে ধরছি। তিনি আমার বন্ধু ওমর ফারুকের বাবা। ফারুক পাঁচ ভাই ও এক বোনের সর্বকনিষ্ঠ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় ১৯৬৮-৭০ সালের দিকে সেই-ই ছিল আমার জানি দোস্ত। যদিও সে ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের ছাত্র ‘A’ section। আর আমি ছিলাম প্রি মেডিকেল ‘B’ section এ। আমরা বায়োলজি। তার ছিল GTD (Geometrical & Technical Drawing)। অত্যন্ত সুন্দর অাঁকত সে। তার ভীষণ শখ ছিল স্থাপত্য প্রকৌশলী হবে। দুর্ভাগ্যক্রমে সে ১৯৭০ সালে বুয়েটে ভর্তি হতে না পেরে খুবই হতাশ। রাগ করে আর কিছুতেই ভর্তি হয়নি। অনেক অনুরোধ করে বললাম, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হতে। কিছুতেই সে রাজি হয়নি।

'৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭২ সালে সে ভারতে IITতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেল। মজার ব্যাপার হলো আমি তখন ডাক্তার ১৯৭৭ সালে সে পাস করার পর হঠাৎ করে একদিন আমার হাসপাতালে এসে হাজির। সঙ্গে সুদর্শনা সমবয়সী বা বছর দুয়েকের ছোট দেবযানী শর্মা। পরিচয় পর্বে জানলাম সেও একজন আর্কিটেক্ট। বাবা একই প্রতিষ্ঠানের আর্কিটেক্টের অধ্যাপক। উদ্দেশ্য বাংলাদেশে দুজন বিয়ে করবে। দায়দায়িত্ব আমার ওপর। এবং একই সঙ্গে শুভকাজ সম্পন্ন করার পর কুমিল্লায় তার বাবার কাছে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বও আমার। যেরকম ভয় পেয়েছিলাম, সেরকম কোনো বিপত্তি ঘটল না। বরং চাচা-চাচী সহজভাবে মেনে নিলেন। দুপুরে খেতে বসে চাচা, চাচিকে বললেন টেবিলে যেন গরুর মাংস না দেওয়া হয়। দেবযানী বলল, আমি ভেজিটেরিয়ান। টেবিলে মাংস থাকলে কোনো আপত্তি নেই। চাচা জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার আর কয় ভাইবোন আছে? জবাব, আমি একা। তিনি স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। সপ্তাহখানেকের মধ্যে তিনি প্রফেসর শর্মাকে টেলিফোন করে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন। যোগাযোগের মাধ্যম আমি। প্রফেসর শর্মা আমার কাছে জানতে চাইলেন তার নিরাপত্তার ব্যাপার। আমি সব দায়িত্ব নিলাম। তিনি সপরিবারে এলেন, পরে কুমিল্লায় নিয়ে আসলাম। খাবার টেবিলে কোনো মাছ-মাংস নেই। শুধু সবজি। চাচা প্রস্তাব দিলেন, আমার ছয়টি সন্তান। ওমর সবার ছোট, জেদি এবং অনেক আদরের আমাদের সবার। আপনার একমাত্র সন্তান দেবযানী। আমার ছেলেকে যদি দেবযানীসহ আপনাকে দিয়ে দেই, আপনি নিতে রাজি আছেন। ওমরের জন্য কোনো আইনি জটিলতা হবে কিনা? ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন। চাচার প্রশ্নগুলো শুনে মনে হচ্ছিল, তার হৃদয়টা খান খান হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তিনি তাই করলেন। ওমর দেবযানীরা আহমেদাবাদে সতীশ শর্মার নেতৃত্বে বিরাট স্থাপত্যকর্ম করেছেন। চাচা যতদিন বেঁচেছিলেন প্রায়ই যেতেন। চাচিমা শুরুতে কষ্ট পেয়েছিলেন। চাচার একটা জবাব, তোমার আরও পাঁচজন আছে। তাদের সবেধন নীলমণি এখানে থাকলে কেউ খুশি হতো না।

ধর্মের রাজনীতির সবসময় উদ্দেশ্য ছিল অভিন্ন। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি। এসব আগ্রাসনের মূলনীতি ছিল লুটপাট, ধ্বংস এবং ধর্ষণ বা নির্যাতন। সর্বশেষ এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল ক্ষমতায় টিকে থাকা। উদ্দেশ্য ছিল জনগণের দৃষ্টি সমস্যা থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া। কবিগুরু ১৯০২ সালে এক প্রবন্ধে লিখেছিলেন, 'ভারতবর্ষের যে ইতিহাস আমরা পড়ি এবং মুখস্থ করিয়া পরীক্ষা দিই, তাহা ভারতবর্ষের নিশীথকালের একটা দুঃস্বপ্ন কাহিনী মাত্র। কোথা হইতে কাহারা আসিল, কাটাকাটি মারামারি পড়িয়া গেল, বাপে-ছেলে, ভাইয়ে-ভাইয়ে সিংহাসন লইয়া টানাটানি চলিতে লাগিল, এক দল যদি বা যায়, কোথা হইতে আর একদল উঠিয়া পড়ে। পাঠান, মোগল, পর্তুগিজ-ফরাসি-ইংরেজ সকলে মিলিয়া এই স্বপ্নকে উত্তরোত্তর জটিল করিয়া তুলিয়াছে।'

ভারতের ইতিহাসের মধ্যে অবশ্যই অনেক দুঃস্বপ্নের উপাদান রয়েছে। কিন্তু এ ছাড়াও রয়েছে সংলাপ ও আলোচনা এবং সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা, স্থাপত্য, বিচারব্যবস্থা ও আরও বহু সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রে বহু প্রসারিত যৌথ প্রয়াস। এর মধ্যে রয়েছে সেসব পন্থা যা ভিন্নমতাবলম্বীদের শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি থাকতে দেয়; সবাই পরস্পরের সঙ্গে অবিশ্রাম মারামারি করে চলে না। এই উপমহাদেশে হিন্দু ও মুসলমানরা বিভিন্নভাবে কত অসংখ্য সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। কত অসংখ্য ঘটনায় একে অপরের সঙ্গে সুখ, দুঃখ, বেদনা ভাগ করে নিয়েছেন।

লেখক : সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর