শিরোনাম
প্রকাশ: ১৫:৪১, শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫

ওরে বাবা ভয়! কেমনে পাইবো জয়!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
ওরে বাবা ভয়! কেমনে পাইবো জয়!

ভয় নিয়ে নশ্বর এই জগতে কত কিছু যে হয়েছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। বাঘ-ভালুক, হায়েনা-গরিলা, শিয়াল-কুকুর-ব্যাঙ কিংবা সাপ-বিচ্ছু প্রভৃতিকে মানুষ যেমন যমের মতো ভয় করে তদ্রুপ ওইসব প্রাণীও নাকি মানবকুলকে মারাত্মক ভয় করে। জিন-ভূত-দৈত্য-দানব কিংবা প্রেতাত্মার কথা না হয় বাদই দিলাম- ভরদুপুরে গহিন জঙ্গলের বাঁশঝাড়ের কটকট আওয়াজ কিংবা শকুন-পেঁচার ডাকাডাকিতে  ভয় বেশি, নাকি অমাবস্যার রাতে জঙ্গলের পাশের কবরস্থানে অথবা শ্মশানে একাকী দাঁড়িয়ে থাকার মধ্যে বেশি ভয়- এ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আজ অবধি শেষ হয়নি। আবহমান বাংলার পুরনো সব ভয়ভীতির সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও কতগুলো নতুন উপাদান। রামদা, চাপাতি, গুলি-বোমার পাশাপাশি আইএস, আল-কায়েদা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জেএমবি, হুজি যেমন আছে তেমনি রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং শ্রেণি শত্রুদের জিন-ভূতের চেয়ে কম ভয় করে বলে আমার মনে হয় না।

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের মানুষের মনের ভয় সম্পর্কে কিছু বলার আগে বলে নেই ভয় পেলে শরীর মনে কিংবা চলনে-বলনে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখানে বলে রাখা ভালো যে, ভয় সব বয়স, সব পদ-পদবি এবং শ্রেণির জন্য কম-বেশি প্রায় একই পরিণতি ডেকে নিয়ে আসে। ভয়ের রাজ্যে ভীরু-কাপুরুষ বা কামহিলারা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত হয় সরলসোজা ভোলাভালা মানুষগুলো। সাহসী মানুষেরা পড়ে নানা অপ্রীতিকর দুর্ভোগের মধ্যে- আর মহাশান্তিতে থাকতে পারে পাগল এবং পাগলিরা। সব মানুষ যখন ভয়ের কবলে পড়ে দিশাহারা হয়ে দিগি¦দিক ছুটতে থাকে তখন পাগলা-পাগলিরা মনের সুখে গান বেঁধে উদোম নৃত্য আরম্ভ করে। মানুষ যখন ভয় পায় তখন তার শরীরের রক্ত চলাচল সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর ফলে মস্তিষ্ক তার স্বাভাবিক চিন্তা করার এবং সিদ্ধান্ত প্রদান করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। হার্ট তার স্বাভাবিক কাজ সূচারুরূপে করতে পারে না। একই অবস্থা হয় কিডনির। ফলে ভয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘন ঘন জলত্যাগের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে পাকস্থলী প্রচুর অম্ল উৎপাদন শুরু করে। অনেকের পেট ফুলে বেলুনের মতো হয়ে যায় এবং অম্লযুক্ত বায়ু গলা দিয়ে চুকা ঢেঁকুর হয়ে বের হতে আরম্ভ করে। যাদের রেচনতন্ত্রে একটু গোলমাল রয়েছে তাদের কাছে দুর্গন্ধে কোনো মানুষ ভিড়তে পারে না। ভয়ে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে বহু রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার বিপরীতমুখী তাপ ও তাপে তাদের মুখমণ্ডল ফ্যাকাসে হয়ে পড়ে। কারও কারও হাত-পায়ে শুরু হয় কম্পন। কেউ কেউ প্রবল ভয়ে পাগলা ঘোড়ার মতো দৌড়াতে আরম্ভ করে। অনেকে কোনো রকম কথাবার্তা না বলে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে। কেউবা শুরু করে কান্নাকাটি- আবার অনেকে অট্টহাসি দিয়ে উল্টাপাল্টা কাজকর্ম শুরু করে।

এখন প্রশ্ন হলো- মানুষ কেন ভয় পায়! ভয় পাওয়ার বহুবিধ কারণ রয়েছে। একশ্রেণির মানুষ রয়েছেন যারা সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেন এবং দেখতে পান যে, পরিস্থিতির কাছে তিনি অসহায়। তার জীবন, সহায়-সম্বল সব কিছুই ধ্বংস হওয়ার উপক্রম দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। এই শ্রেণির ভয় সাধারণত মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট। জুলুমবাজ শাসক, ডাকাত, লুটেরা, ছিনতাইকারী, সংঘবদ্ধ অপরাধী প্রভৃতি গোষ্ঠী যখন কোনো ব্যক্তিকে আক্রমণ করে বসে তখন আক্রান্ত ব্যক্তির ভীতসন্ত্রস্ত না হয়ে কোনো উপায় থাকে না। সমাজে ভয়ের সবচেয়ে বড় কারণ হলো অজ্ঞানতা। বেশির ভাগ মানুষ ভয় পায় না জানার কারণে। অদৃশ্য জিনিসের প্রতি মানুষের ভয় আরও প্রবল। ভূত, প্রেত, দৈত্য, দানব জাতীয় ভয়ঙ্কর সব চরিত্র সৃজন করেছে মানুষের কল্পনা। বাস্তব জীবনে ওসব কেউ চাক্ষুষ দেখেছেন এমন কোনো দলিল পৃথিবীতে নেই। তারপরও মানুষ ভয় পায়। ভয়ের কবলে পড়ে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়, অনেকে পাগল হয়ে যান, আবার কেউ কেউ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আমাদের গ্রামের হরিবর্মণ সাহার পাগল হওয়ার কাহিনী ছিল বড়ই অদ্ভুত এবং আলোচিত ঘটনা।

হরিবর্মণ সাহা গ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। মধ্যবয়সী লোকটি তার প্রচণ্ড মোটা শরীর বদরাগী স্বভাব, কৃপণতা এবং অদ্ভুত সব আচরণের জন্য আলোচিত ছিল। সে তার টাকা-পয়সার একটি অংশ গোপনে মাটির নিচে পুঁতে রাখত এবং সেই ঘটনা কাউকে জানাত না। প্রাকৃতিক কার্যাদি সারত বনবাদাড়ে এবং রাতবিরাতে বহু দূরে চলে যেত কাউকে কিছু না জানিয়ে। ঘটনার রাতে হরিবর্মণ প্রাকৃতিক কর্ম সারার জন্য চলে গেল বাড়ির পাশের বিশাল জঙ্গলের কিনারে অবস্থিত একটি তালগাছের তলায়। গরমকালের ভরা অমাবস্যার সন্ধ্যারাত। নীরব-নিস্তব্ধ গ্রাম। চারদিকে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক, নিশাচর পাখির পাখা ঝাপটানি আর জোনাক পোকার মিটিমিটি আলো। তালগাছটির মালিকানা হরিবর্মণের। ছোট তালগাছ- সেই বছরই প্রথম রস দিতে শুরু করেছে। গ্রামের দুটো ছেলে তালগাছে উঠে রস চুরি করে যাচ্ছিল। হঠাৎ তারা লক্ষ করল যে হরিবর্মণ গাছের তলায় এসেছে। ভয়ে তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়। ওদিকে হরিবর্মণ ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে বেসুরো গলায় গান ধরল এবং গাইতে গাইতে অম্লযুক্ত শরীর থেকে ভেসে ভেসে শব্দে কিছু একটা নির্গত করল। দুষ্টু ছেলেরা হরিবর্মণের কাণ্ড দেখে ভয় ভুলে গেল। তারা শুরু করল হাসি। হাসির তোড়ে তাদের হাত থেকে তালের রসের হাঁড়ি পড়ে গেল মাটিতে।

ঘটনার আকস্মিকতায় হরিবর্মণ প্রথমেই শুরু করল গগণবিদারী চিৎকার। তারপর দিল ভোঁ দৌড়। গ্রামবাসী যখন তাকে উদ্ধার করল তখন তার সংজ্ঞা নেই। বহু কষ্টে যখন তার জ্ঞান ফিরানো হলো, তখন দেখা গেল হরিবর্মণের স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে এবং অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই লোকটি বদ্ধ উন্মাদে পরিণত হলো। ওদিকে দুষ্টু ছেলেরা সেই রাতের কাহিনী একান-ওকান করতে করতে পুরো গ্রাম চাউর করে দিল। লোকজন শুনল কিন্তু বিশ্বাস করল না। তারা উল্টো তালগাছটিকে নিয়ে নানা কল্পকাহিনী রচনা শুরু করল। তালগাছে কী ধরনের ভূত আছে, ভূতের বাড়ি কোথায় এবং সে আরও কী কী সর্বনাশ ঘটাতে পারে এমনতরো নানা কথাবার্তার কারণে দুর্বল চিত্তের মানুষজন রাতবিরাত তো দূরের কথা, দিবালোকেও তালগাছটির কাছ দিয়ে হাঁটত না।

ভয় পাওয়ার আরেকটি কারণ হলো- কিছু মানুষের অন্যায়, অত্যাচার এবং নির্মমতা, একশ্রেণির মানুষ চায় যে, অন্যরা তাকে ভয় করুক, তাদের কাছে সর্বদা অবনত হয়ে থাকুক এবং নিজেদের সর্বস্ব তাদের পায়ের কাছে সমর্পণ করুক। এ কারণে কিছু লোক তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে বহুমুখী জুলুম, অত্যাচার, অবিচার, খুনখারাবি, নির্মমতা, নৃশংসতা এবং পাষণ্ডতা দেখিয়ে এমন এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যে, সমাজের নিরীহ মানুষজনের তখন ভীতসন্ত্রস্ত না হয়ে কোনো উপায় থাকে না। জালেমের জুলুম এবং অত্যাচারে সাধারণ মানুষের ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার ঘটনা হলো- ভয়ের রাজ্যে উত্থান-পতনের একেবারে প্রাথমিক ধাপ। দ্বিতীয় ধাপে গিয়ে জুলুমবাজরা নিজেরাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তারা যখন আদিম উল্লাসে তাদের কুকর্ম করতে করতে ক্লান্ত হয়ে একটু বিশ্রাম নিতে বসে ঠিক তখনই লক্ষ করে যে, তাদের কুকর্মের অধিক্ষেত্রটি সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে এবং জুলুম-অত্যাচার চালানোর মতো অবশিষ্ট বলতে তেমন কেউ নেই। তারা আরও লক্ষ করে যে, অত্যাচারের সহযোগীরা এবং অত্যাচারিত সম্প্রদায় কেমন যেন নীরব হয়ে পড়েছে। প্রকৃতির এই লীলাখেলা দেখে তারাও এক সময় ক্ষণিকের তরে চুপ হয়ে যায়। আর তখনই শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপের প্রলয়। অত্যাচারীরা ক্রমেই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। অনিদ্রা, বাহুল্যময় কর্মকাণ্ড, বেহুদা কথাবার্তা এবং অযাচিত সন্দেহ তাদের দিনকে দিন দুর্বল থেকে দুর্বলতর প্রাণীতে পরিণত করে তোলে। তারা নিজেরা তাদের দুর্বলতাসমূহ আড়াল করার জন্য নৃত্য-গীত, অপ্রয়োজনীয় অনুষ্ঠানমালা এবং রঙ্গ-তামাশার মাধ্যমে হীরক রাজার দেশের কাহিনীর মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। এমনতর পরিস্থিতিতে মিথ্যাচার, অনাচার, গল্প-গুজব, ভয়ভীতি এবং অনিশ্চয়তার অন্ধকার লোকজনকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলে।

মানুষ যখন প্রচণ্ড ভয়ের মধ্যে থাকে তখন বাস্তবতার পরিবর্তে তারা অদৃষ্টবাদে বিশ্বাসী হয়ে ওঠে। সত্য ঘটনা ফেলে মিথ্যার পেছনে দৌড়ায় এবং গুজবগুলোকে বিশ্বাস করতে থাকে। যুক্তিতর্ক বাদ দিয়ে আকাশ-কুসুম কল্পনার মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করে। তাদের মানবিক অনুভূতিসমূহ লোপ পায় এবং কেমন যেন নির্বিকার এবং নির্লিপ্ত একটা ভাব ধরে সর্বনাশের আশায় দিনাতিপাত করতে থাকে। ভয় নামক শব্দটির মতো এমন দ্রুত বর্ধনশীল এবং সংক্রামকভাবে বিস্তার লাভকারী ভাইরাস কিংবা অসুখ-বিসুখ আর দ্বিতীয়টি দুনিয়ার জমিনে নেই। একটি ভয় কয়েক মুহূর্তের মধ্যে একটি জনপদ কিংবা একটি রাষ্ট্রের বিশাল জনগোষ্ঠীকে গ্রাস করতে পারে। সাম্প্রতিককালের কয়েকটি হত্যাকাণ্ড সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। কিছু ভীতু লোকের কাপুরুষোচিত আচরণ এবং কিছু ভয়ার্ত লোকের অযাচিত বাড়াবাড়ির কারণে আজকের এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষই আজ চাপাতি রোগে আক্রান্ত। এমনকি যারা বৈধ অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করেন কিংবা বহু সংখ্যক সশস্ত্র দেহরক্ষী পরিবেষ্টিত অবস্থায় থাকেন তারাও চাপাতির নাম শোনোমাত্র শিউরে ওঠেন। বুলেট প্রুফ গাড়ির ধনাঢ্য যাত্রী ব্যস্ত সড়কে চলতে গিয়ে হঠাৎ করে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে যাওয়া মাত্র আতঙ্কের চোখে এদিক-ওদিক তাকানো শুরু করেন। আশপাশে চলাচলরত সাধারণ মানুষের দিকে ভয় ও শঙ্কা নিয়ে তাকান এবং মনে মনে ভাবেন এই বুঝি একটি চাপাতি তার গাড়ির দরজায় আঘাত হানল। তিনি আপন মনে নিজেকে প্রশ্ন করেন- আচ্ছা! বুলেট প্রুফ গাড়ির দরজার কাচ চাপাতির কোপ ফেরাতে পারবে তো? হঠাৎ ২/৩ জন ভিক্ষুক লোকটির গাড়ির দরজায় মৃদু শব্দে টোকা দিতে দিতে বলতে আরম্ভ করে- ‘আব্বাগো কয়ড়া ট্যাহা দ্যান না!’ অন্য সময় হলে তিনি হয়তো দরজার গ্লাস নামিয়ে ভিক্ষে দিতেন- কিন্তু আজ আর সাহস পেলেন না। সন্ত্রস্ত চিত্তে নির্বিকার ভাব দেখিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলেন।

ভয়ের রাজ্যে কোনটা যে প্রকৃত ঘটনা এবং কোনটা যে নিছক গুজব তা পৃথক করা যায় না।

মানুষ অতিমাত্রায় নিয়তিনির্ভর হয়ে পড়ে। তারা আসমানের তারার গতি প্রকৃতি, পাক-পাখালির ডাকাডাকি কিংবা উড়ে চলার ভঙ্গিমার মধ্যে নিজেদের শুভ-অশুভ লক্ষণ খুঁজে বেড়ায়। প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ অবস্থানে অলস, অকর্মন্য, বদরাগী এবং এক সময় অত্যাচারীতে পরিণত হয়। যারা ভয় প্রদান করার মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে থাকে সেসব মানুষের পতন না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হয় না। তামাম দুনিয়ার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ভয়ের রাজ্যে তুচ্ছাতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটে যায় ভয়াবহ বিবর্তন। সেই বিবর্তনে অভ্যুদয় নতুন এক রাজ্যের কিংবা সৃষ্টি হয় যুগান্তকারী ইতিহাসের। সামান্য চায়ের মূল্য বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে যায় আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ। অন্যদিকে দুটি ঈগলের বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি মহাযুদ্ধের ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায়- জন্ম নেয় পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একটি সাম্রাজ্যের। চমকপ্রদ সেই কাহিনীটি বলে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানব।

খ্রিস্টের জন্মের ৪৪ বছর আগে মহাবীর জুলিয়াস সিজারকে রোমান সিনেটের মধ্যে হত্যা করেন তারই বিশ্বস্ত বন্ধু সেনাপতি ব্রুটাস এবং ক্যাসিয়াস। পরের দুটি বছর ছিল রোমানদের জীবনের চরম বিভীষিকাময় এক অধ্যায়। বহুমুখী অত্যাচার, অবিচার, মিথ্যাচার, গুজব এবং চক্রান্তের কারণে পরাক্রান্ত জাতিটি নৈতিক মনোবল হারিয়ে চরম এক ভীতিকর পরিস্থিতিতে জীবন অতিবাহিত করে। সমগ্র জাতি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জুলিয়াস সিজারের পক্ষের লোকেরা সেনাপতি মার্ক আন্টনিও এবং সিজারের পালিত পুত্র এবং উত্তরাধিকারী অক্টাভিয়ানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়। অন্যদিকে ব্রুটাস এবং ক্যাসিয়াসের সমর্থক সংখ্যাও কম ছিল না। পরিস্থিতির একপর্যায়ে ব্রুটাস এবং ক্যাসিয়াস রোম নগরী ছেড়ে গ্রিসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

রোমান সাম্রাজ্যের বিবদমান দুটি পক্ষ ৪২ খ্রি. পূর্বাব্দের অক্টোবর মাসে ফিলিপ্পি নামক যুদ্ধক্ষেত্রে চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য পরস্পরের মুখোমুখি হন। উভয়পক্ষে সৈন্য সংখ্যা ছিল এক লাখের ওপর। তাদের শ্রেষ্ঠত্ব, গুণগতমান এবং যুদ্ধজয়ের ইতিহাসও ছিল প্রায় সমান। মানব ইতিহাসে এত বড় ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ আর দ্বিতীয়টি নেই। যুদ্ধের দিন উভয়পক্ষ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রণাঙ্গনে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ কোত্থেকে যেন দুটি ঈগল পাখির উদয় হলো। একটি উড়ে এলো সেদিক থেকে যেখানে ব্রুটাস-ক্যাসিয়াসের সৈন্যরা শিবির গেড়েছিল। আর অন্যটি এলো সিজার সমর্থক সৈন্যদের শিবিরের দিক থেকে। দুইপক্ষের দুই লাখ সশস্ত্র সৈন্য মনে করল ঈগল দুটি হলো যুদ্ধজয়ের দেবতা। তারা নিজেরা যুদ্ধ না করে নিজেদের তলোয়ার ও ঢালে আওয়াজ তুলে দুই ঈগলের যুদ্ধে ইন্ধন জোগাতে লাগল। প্রায় সারাটি দিন ধরে ঈগল দুটি পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ করল এবং শেষমেশ সেই ঈগলটির পতন হলো যেটি ব্রুটাসের দিক থেকে উড়ে এসেছিল।

উল্লিখিত ঘটনার পর ব্রুটাস এবং ক্যাসিয়াসের সৈন্যবাহিনী মনোবল হারিয়ে ফেলল এবং পরবর্তী দিনে একটি খুবই সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের পর একটি প্রবল পরাক্রান্ত বাহিনী তাদেরই সমপর্যায়ের পরাক্রান্ত বাহিনীর কাছে স্বেচ্ছায় পরাজয়বরণ করে নিল। ঐতিহাসিক ফিলিপ্পির যুদ্ধের ফলে রোমে প্রতিষ্ঠিত হলো প্রবল পরাক্রান্ত রোমান সাম্রাজ্যের, যেখানে একটি রাজবংশ প্রায় ৪০০ বছর ধরে দুনিয়া শাসন করল এবং রোমান সাম্রাজ্য নাম নিয়ে পৃথবীর বৃহত্তম ভূখণ্ড শাসন করল প্রায় দেড় হাজার বছর।  ১৪৫৩ সালের ২৯ মে মুসলমানদের দ্বারা কনসটান্টি নোপল বিজয়ের মাধ্যমে রোমান সাম্রাজ্যের পতন হয়েছিল।  আর বিজেতা ছিলেন অটোম্যান সম্রাট দ্বিতীয় মুহাম্মদ যার বিষয়ে ইসলামের নবী (সা.) জীবৎকালে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন।

 

লেখক : কলামিস্ট।


বিডি-প্রতিদিন/ ২১ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর