শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:৪১, রবিবার, ০৩ জানুয়ারি, ২০১৬

ভোটে হেরেও রাজনীতিতে জিতেছে বিএনপি

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
ভোটে হেরেও রাজনীতিতে জিতেছে বিএনপি

নজিরবিহীন সন্ত্রাস, কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব এবং রেজাল্টশিট পরিবর্তনসহ ত্রুটিপূর্ণ, অগ্রহণযোগ্য ব্যবস্থাপনার অভিযোগে পৌর নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। মেয়র পদে দল থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কিন্তু পদত্যাগ করতে বলা হয়নি। কাউন্সিলর পদের নির্বাচন যদিও নির্দলীয় ভিত্তিতে হয়েছে, নব্বই শতাংশেরও অধিক নির্বাচিত হয়েছেন দল সমর্থকরা, বলা যায় দল কর্তৃক ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীরাই।  কাউন্সিলর পদেও বিএনপির বিপুলসংখ্যক পুরুষ ও মহিলা নেতা-কর্মী বিজয়ী হয়েছেন। তাদের ওপরও পদত্যাগের কোনো চাপ নেই। আওয়ামী লীগ যেসব আসনে জয় ‘করায়ত্ত’ করেছে, প্রত্যাখ্যান কি সেসব আসনের ফলাফল, না কি গোটা নির্বাচনের ফলাফল? নিজেদের যেসব প্রার্থী মেয়র পদে এবং স্বতন্ত্রভাবে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি তাদের পদ ছাড়তে বলবে বলে মনে হয় না। তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে, নানা বিষয়ে কঠোর সমালোচনার পরও সামগ্রিকভাবে নির্বাচনটি তারা মেনে নিয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রাসঙ্গিক একটি বক্তব্য বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ভোট গ্রহণের আগে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বারবার বলেছেন, এবার তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন। তারা কথা রেখেছেন। যে কজন দলীয় প্রার্থী ভোট গ্রহণ চলাকালে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন তারা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে তা করেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তে নয়। বরং কিছু প্রার্থী মাঝপথে নির্বাচন বর্জনের জন্য দলীয় অনুমতি চাইলেও তা নাকচ করে ফলাফল যা-ই হোক নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থাত্ বিএনপি এখন থেকে নির্বাচনী রাজনীতিতে অবিচল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে স্পষ্ট হয়েছে এই সিদ্ধান্তে। এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। বিএনপি তো একটি নির্বাচনমুখী উদার গণতান্ত্রিক দল। ক্ষমতাপ্রত্যাশী দলও বটে! কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ তো হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়। বলতেই হবে, এ ক্ষেত্রে বিএনপির স্খলন হয়েছিল। গণতান্ত্রিক সংগ্রামের সুপরিচিত ও সুরক্ষিত পথ পরিহার করে হিংসাত্মক পথে শক্তি প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছিল। সেই পথ গণনির্ভর পথ ছিল না। এতে জনগণের এমনকি দলের সব স্তরের সংগঠক নেতা-কর্মীদেরও সংশ্লিষ্টতা ছিল না। ‘সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিটি একটি গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সে কর্মসূচি তারা সফল করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ‘নেতৃত্বের’ ব্যর্থতায়। সরকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল, পার্টি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে। বালির ট্রাক এবং রায়টকার, জলকামান ও বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দিয়ে সেখানে অবরোধ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু গোটা ঢাকা শহর তো অবরুদ্ধ ছিল না। ঢাকা শহরে বিএনপি কর্মী-সমর্থক কম নয়। যেসব নেতা ওই কর্মসূচি সফল করার জন্য দায়িত্ব নিয়েছিলেন, অন্যভাবে বললে বলতে হয় যাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছিল— যা সব রাজনৈতিক দলই কোনো কর্মসূচি সফল করার জন্য করে থাকে— সেসব নেতার কেউ দায়িত্ব পালন করেননি। দলীয় কৌশল গুলশান অফিস থেকে আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে মাঠে নামেনি কেউ। কারও টিকিটির নাগালও পাওয়া যায়নি। অথচ জানা যায়, সরকারি নানা প্রতিকূলতা সৃষ্টির মাঝেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় এসেছিলেন। ঢাকার নেতাদের পলায়নী মনোভাব এবং পলাতক অবস্থানের কারণে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড-থানার কর্মীরাও মাঠে নামেনি। অথচ পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এখনো ঢাকায় বিএনপির যে জনসমর্থন আছে, তাতে রাজধানীর ৯৩ ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই বড়সড় মিটিং-মিছিল করার মতো অবস্থায় আছে। নেতৃত্বের ব্যর্থতা এবং আন্দোলনের কর্মসূচি ও কর্মকৌশল নির্ধারণের অযোগ্যতার কারণে সেই নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনটি ব্যর্থ হয়। সাম্প্রতিককালের তিনটি ঘোষিত কর্মসূচির বাকি দুটি ছিল হঠকারী কর্মসূচি। হেফাজতে ইসলামীর কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বড় রকমের একটি ভুল করেছিল বিএনপি। হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচিকে মনে হয়েছিল তা বুঝি বেগম খালেদা জিয়ার কর্মসূচি। তা না হলে তাদের সমর্থনে তিনি দলের সব স্তরের নেতা-কর্মী এবং ঢাকাবাসীকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন কেন? পাঠক, আপনাদের মনে আছে যে, হেফাজতে ইসলামী ঘোষণা করেছিল, তাদের মহাসচিব বাবুনাগরী পরদিনই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কেউ কেউ রসিকতা করে বলেছিলেন, বেগম জিয়া কি তাহলে আল্লামা শফীর হাতে বায়াত নিয়ে হেফাজতের হেফাজতে গিয়ে নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলেন? যাদের জন্য নিজের এবং নিজের দলের আলটিমেট ক্ষতিটা করলেন, সেই হেফাজত এখন কি তার সঙ্গে আছে? হেফাজত ‘এপিসোড’ শেষে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচির নামে আরেক হঠকারী কর্মসূচি দলটিকে আরও বড় প্রশ্নের মধ্যে ফেলে। হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ কর্মসূচি আমাদের দেশে আগে অন্য কেউ পালন করেননি, তা নয়। কিন্তু তা গণতান্ত্রিক চরিত্রের সীমা লঙ্ঘন করে সহিংস রূপ নিলে তার পরিণতি কর্মসূচি পালনকারীদের জন্য শুভফল বয়ে আনে না। বঙ্গবন্ধুর ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। তাও কতদিন? বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী, এরশাদ জাপা অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছিল ২৮ দিন। দুই কর্মসূচির কোনোটিতেই পেট্রলবোমার ব্যবহার এবং ব্যারিকেড সৃষ্টির জন্য হাজার হাজার বৃক্ষ নিধনের ঘটনা ঘটেনি। বিরোধী দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এত নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেনি। তিন মাস চলা অবরোধে সংঘটিত সব অপরাধের সঙ্গে বিএনপি জড়িত কিনা, তাতে জামায়াতের ভূমিকা এবং সরকারের কোনো কূটকৌশলও ছিল কিনা তা এখনো আইন-আদালতে প্রমাণ হয়নি সত্য, কিন্তু সব মর্মান্তিক ঘটনা তো ঘটেছে তিন মাসের অবরোধ কর্মসূচির আচরণে। ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক হিসেবে বিএনপি এবং এর নেত্রী বেগম জিয়া এ দায় এড়াবেন কী করে? সহিংসতা, নাশকতা যেই ঘটাক, এর মাত্রা যখন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছিল, তখন বেগম খালেদা জিয়া সেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেন না কেন? এই দুই কর্মসূচি দেশে-বিদেশে বিএনপির ভাবমূর্তি যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, একইভাবে দলেরও সর্বনাশ করেছে। সারা দেশে দল ও বিভিন্ন অঙ্গদলের হাজার হাজার কর্মী কারারুদ্ধ, আরও বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমার খড়গ, গুম, গ্রেফতার, মামলা-হামলা আতঙ্কে অসংখ্য নেতা-কর্মীর রাতের ঘুম হারাম। অনেকে আপনজনের মুখ দেখে না কতদিন! বিএনপির মতো একটি উদার গণতান্ত্রিক দল এমন ধকল সইতে পারে না। তাই দল আজ অনেকটাই লণ্ডভণ্ড। রাজনৈতিক দল ভুল করে, আবার ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আত্মশুদ্ধির চেষ্টা করে। বিএনপি এখন সে চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে। আগেই উল্লেখ করেছি, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী উদার গণতান্ত্রিক দল। এর সঙ্গে আরও একটি অলঙ্কার জড়িয়ে আছে; তা হচ্ছে, দলটির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন কিংবদন্তি নায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমান— যার কণ্ঠে একাত্তরের অপ্রস্তুত, অসংগঠিত ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় জাতি শুনেছিল রক্তে অস্তিরতার ঢেউ তোলা ‘আমি মেজর জিয়া বলছি...।’ বঙ্গবন্ধুর পক্ষের কণ্ঠস্বরটিও ছিল ‘মেজর’ জিয়ার— কোনো রাজনৈতিক নেতার নয়। জেনারেল জিয়া, জেনারেল মীর শওকত আলী, উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহর মতো সেক্টর কমান্ডার, বহু সাব-সেক্টর কমান্ডারসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার সমন্বয়ে গঠিত এই দল। গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, এই দুই অবস্থানেই অটল থাকার কথা বিএনপির। দলের ঘোষণাপত্রের শুরুতেই অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলা হয়েছে, ‘ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের সোনালি ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের পবিত্র আমানত এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকার। প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমির এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ়-সুরক্ষিত করে রাখাই হচ্ছে আমাদের কালের প্রথম ও প্রধান দাবি।’ ঘোষণাপত্রের তৃতীয় ও চতুর্থ ধারায় ব্যক্ত করা হয়েছে জনগণের গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার। কাজেই স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা এবং গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার থেকে সরে গেলে বিএনপি আর জিয়াউর রহমানের বিএনপি থাকে না। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, দুটি ক্ষেত্রেই বিএনপির বিচ্যুতি ঘটেছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী জোটের নামে প্রায় আদর্শিক ঐক্য গড়ে তোলা, রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়নে মৌলবাদী ঝোঁকের প্রতি দুর্বলতা এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ পরিহার করে হঠকারী রাজনৈতিক লাইন গ্রহণ এই বিচ্যুতিকে স্পষ্ট করেছে। গণতান্ত্রিক পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অদল-বদলে যারা বিশ্বাস করে তারা এমন সর্বনাশা পথে হাঁটতে পারে না।  এতে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দলটি। দলের অনেক অনুরাগী-সমালোচক বলেন, ‘আমাদের প্রিয় জাতীয়তাবাদী দল এখন জামায়াতীয়তাবাদী দলে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। জোটবদ্ধ আন্দোলনের নামে বিভিন্ন সেক্টরের নেতৃত্ব জামায়াতে ইসলামীর রোকনদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির তৃণমূলসহ বিভিন্ন স্তরকে তারা জামায়াতের কর্মী, নিদেনপক্ষে সমর্থক তৈরির ‘টার্গেট, গ্রুপ’ হিসেবে ব্যবহার করছে। বিএনপিকে আবার তার প্রতিষ্ঠাকালীন অঙ্গীকারের কাছে ফেরত আনতে হবে, অর্থাৎ বর্তমান অবস্থা থেকে জিয়ার বিএনপিতে ফেরত আনতে হবে।

বিএনপির স্খলনের খুব একটা সময় লাগেনি। কিন্তু উত্তরণ ঘটাতে কিছুটা সময় লাগবে। অনুরাগীরা চান, তবুও উত্তরণটা ঘটুক। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। বিএনপির ‘মালিকপক্ষের’ হয়তো বোধদয় হচ্ছে। পৌরসভা নির্বাচনে সরকারি অনেক কূটকৌশলের মধ্যেও অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত এবং শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকা অবশ্যই ইতিবাচক। বিএনপি বোধহয় সর্বত্র এ বার্তাটিই দিতে চেয়েছে যে, তারা নির্বাচনমুখী রাজনীতিতে ফিরে এসেছে এবং থাকবে। এ নির্বাচনে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যথার্থ আচরণ করেছে বলা যাবে না। আদর্শ নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তার ‘দর্শন’ পৃথিবীর কোথাও পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু যেটুকু না থাকলে নির্বাচনে গ্রহণযোগ্যতার মতো ন্যূনতম সৌন্দর্যও ম্লান হয়ে যায়, তৃতীয় ধাপ থেকে উপজেলা নির্বাচনের পরবর্তী ধাপসমূহ তিন সিটি নির্বাচন এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনকেও তেমন একটি খারাপ নির্বাচনই বলতে হবে। বিগত নির্বাচনসমূহ সম্পর্কে বিএনপি যতটা কঠোর মনোভঙ্গি গ্রহণ করেছিল, পৌর নির্বাচন সম্পর্কে তেমন নেতিবাচক কোনো ভূমিকা বিএনপি নিচ্ছে না বলেই বোঝা যাচ্ছে। অর্থাত্ নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেওয়ার সংস্কৃতিটি বিএনপি রপ্ত করছে। এর অর্থ আমি এটা বলছি না যে, পৌর নির্বাচনটি খুব ভালো হয়েছে এবং স্বতঃস্ফূর্ত গণরায়েই বিএনপি ২৩৪ মেয়র পদের মধ্যে মাত্র ২৩/২৪টিতে জয়ী হয়েছে। বিএনপির শত সমালোচনা-দুর্বলতার পরও তত ছোট দল নয়, সমর্থনে এত ধস নামেনি। হঠকারী রাজনৈতিক লাইন অনুসরণ করতে গিয়ে দলটি এখন সাংঘাতিকভাবে বিপর্যস্ত। সংগঠন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা দলে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ‘অলঙ্কার’ হিসেবে কাউকে কাউকে রাখা হয়েছে, তারা মাঝে মাঝে বক্তৃতা-বিবৃতি-সেমিনার-টকশোতে গিয়ে জানান দেন যে তারা দলটির নেতা। কিন্তু এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে, নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের আধা পয়সার দামও নেই। সিদ্ধান্ত নেন দুজন, তারা দল চালান ‘রাজকর্মচারী’দের দ্বারা। ফলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কর্মসূচি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের কর্মকৌশল নির্ধারণে সাময়িক মারাত্মক ভুল করেন। এমন অবস্থান থেকে দলটিকে অবশ্যই সরে আসতে হবে।

পৌর নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করল বিএনপি। কিন্তু ফলাফল আরও একটু ভালো করার জন্য বিএনপি কি তার সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে? ২৩৪ পৌরসভার কয়টাতে ভোটারদের কাছে গিয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ‘নেতারা’। অথচ ১০টি টিম ছড়িয়ে পড়লে সারা দিনে সবকটি পৌরসভায় পৌঁছতে পারতেন তারা। দায়িত্বপ্রাপ্তদের দুই-চারজন কিছু কিছু জায়গায় গেছেন যেখানে থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্ত ছিল। এক জায়গা থেকে অনেক জায়গায় সংযোগের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। সবাই ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করলে কর্মীরা সাহস পেত, সমর্থকরা উদ্বুদ্ধ হতো, সাধারণ ভোটাররা বিএনপির ধানের শীষে ভোট দিতে উত্সাহিত হতো। দায়িত্বপ্রাপ্তদের মনে সর্বদা ‘পুলিশ পুলিশ’ ও পলায়নী মনোভাব না থাকলে এবং এ নির্বাচনেও নমিনেশন বেচা-কেনার অভিযোগ না থাকলে, পকেটম্যান তৈরির ঘৃণ্য প্রবণতা কাজ না করলে জামায়াতের সমর্থন ছাড়াই বিএনপি ৭০-৮০টি পৌর মেয়র পদে জিততে পারত বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন সরকারি কারসাজি, কেন্দ্র দখল, জালভোট, সিল মারামারির এত শত অভিযোগ এবং মিডিয়ার নানা সচিত্র তথ্য প্রকাশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতেও বিএনপি আওয়ামী লীগের ম্যানেজ করা ৫২% ভোটের বিপরীতে ২৮% ভোট পেয়েছে। ভোট পুরোপুরি স্বচ্ছ হলে এবং বিএনপির নির্বাচনী দায়িত্ব সঠিক ব্যক্তিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলে ভোট প্রাপ্তির হার নিশ্চয়ই আরও বেড়ে যেত। একটি ভালো নির্বাচনে একক লড়াইয়েও বিএনপির বিপুল জনসমর্থন লাভের সম্ভাবনার ইঙ্গিত আছে এ নির্বাচনে। পৌর নির্বাচনই শেষ নির্বাচন নয়। এ নির্বাচন একটি বার্তা অবশ্যই দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে অন্য সব নির্বাচনও অংশগ্রহণমূলক হবে। তবে যে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে শুধু অংশগ্রহণমূলক হয়ে লাভ নেই। এ জন্য সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য। বিএনপির নির্বাচনে আসাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে আশু অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি ইঙ্গিতবহ শুভ বার্তা বলে কি আমরা একে ধরে নিতে পারি? বলা চলে, ভোটে হেরেও রাজনীতিতে জিতেছে বিএনপি। অনুকূল একটি পরিবেশ অন্তত তৈরি করতে পেরেছে দলটি। বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে রাজতন্ত্র কায়েমের অভিযোগ করেছেন।  প্রশ্ন উঠতেই পারে, তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কি দেশে, এমনকি দলেও গণতন্ত্র ছিল? এখনো কি আছে? কথায় আছে ‘আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শেখাও’।

 

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]


বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর