শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:১৬, শনিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২১

নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি মেরুদন্ড প্রয়োজন

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি মেরুদন্ড প্রয়োজন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশেষে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটালেন। দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করলেন। স্বতঃস্ফ‚র্ত, খোলামেলা এবং অকপটে তিনি সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন। গণমাধ্যমকর্মীদের সাফ জানিয়ে দিলেন ‘রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি গঠন করবেন। এ সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।’ কিছুদিন ধরেই নির্বাচন নিয়ে রাজনীতির আড়মোড়া ভাঙছে। মাঠে রাজনীতি শুরু না হলেও কথার লড়াই ইতিমধ্যে জমে উঠেছে। সার্চ কমিটি-সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই বিএনপির পক্ষ থেকে একে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বিএনপি এখন পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে বলেনি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে তাদের ভূমিকা কী। কিন্তু সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এজন্য সংবিধানের আওতায় নতুন আইন প্রণয়নের কথা বলেছে। বিএনপি এখন নির্বাচন কমিশন নয় বরং নতুন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছে। দলটির মহাসচিবসহ একাধিক নেতা বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিকে আন্দোলনে রূপ দিতে পারবে কি না তা ভিন্ন প্রসঙ্গ। এ নিয়ে রাজনীতির জল কোথায় গড়ায় দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। কিন্তু এ মুহুর্তে আমাদের সামনে প্রধান রাজনৈতিক দুটি প্রশ্ন হলো- নতুন নির্বাচন কমিশন কেমন হবে। দ্বিতীয় প্রশ্ন, কেবল নির্বাচন কমিশনই কি পারে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে?

আমরা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এ পর্যন্ত ১২ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অধীনে ১২টি নির্বাচন কমিশন পেয়েছি। সব নির্বাচন কমিশনই কমবেশি বিতর্কিত। ‘নির্বাচন কমিশন’ নামের এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে প্রশ্নবিদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে কেউ কেউ কম বিতর্কিত ছিলেন। কেউ ব্যক্তিত্বহীনের মতো আচরণ করে নির্বাচন কমিশনকেই তামাশার বস্তুতে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন এবং ১২ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ‘মেরুদন্ড’ সমস্যাই নির্বাচন কমিশন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য একটি বড় সমস্যা। মেরুদন্ড ছাড়া একজন মানুষ যেমন শির দাঁড়া করে হাঁটতে-চলতে পারে না, তেমনি আমাদের প্রায় সব নির্বাচন কমিশনই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি বা চায়নি। এ কারণে নির্বাচন কমিশনই কেবল বিতর্কিত হয়নি, নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ডহীন আচরণই এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা টি এন সেশানের মতো একজন মেরুদন্ডসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব পাইনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে। সুজন নির্বাচন নিয়ে কাজ করে। এ সংগঠনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তাঁর অধিকাংশ মতের সঙ্গে আমি একমত নই। বিশেষ করে তাঁর অনেক কথাবার্তাই বিরাজনীতিকরণ চিন্তাকে উসকে দেয়। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে বিরামহীনভাবে কাজ করছে এ সংগঠনটি। নির্বাচনসংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে তাদের মতামত, গবেষণা এবং তথ্য-উপাত্ত আছে। কদিন আগে ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- আমাদের নির্বাচন কমিশন কতটা ক্ষমতাবান। উত্তরে তিনি যে কথা বললেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ড. মজুমদারের মতে ‘আমাদের নির্বাচন কমিশন ছেলেকে মেয়ে বানানো এবং মেয়েকে ছেলে বানানো ছাড়া সব পারে। নির্বাচন আইন তাকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিয়েছে। এমনকি কমিশন যে কোনো নির্বাচন বাতিল করে দিতে পারে।’ তাহলে সমস্যা কোথায়? এত ক্ষমতা থাকার পরও আমাদের নির্বাচন কমিশনগুলো কেন অসহায় আত্মসমর্পণ করে? কেন সরকারের সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের বিবেক বন্ধক দেয়? কেন তারা জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়?

বাংলাদেশে প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল ৭ জুলাই ১৯৭২। এম ইদ্রিস ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। জাতির পিতার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশসম। নির্বাচন নিয়ে কোনো নয়ছয় দরকার ছিল না। তার পরও ১৯৭৩-এর নির্বাচনে কিছু কিছু আসনে অযাচিত ঘটনা ঘটেছিল। খুনি মোশতাক কুমিল্লার একটি আসনে হারতে বসেছিলেন। তাকে একরকম জোর করেই জয়ী করা হয়েছিল। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের নৃশংস নারকীয়তার পরও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম ইদ্রিস সপদে বহাল ছিলেন। খুনি মোশতাককে জয়ে সহযোগিতার পুরস্কার হিসেবেই তাকে দায়িত্বে রাখা হয়েছিল? দেশে দ্বিতীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হন এ কে এম নূরুল ইসলাম। তিনি বিচারপতি ছিলেন। বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা সবচেয়ে কলঙ্কিত হয়েছিল এই সরীসৃপ সিইসির হাতে। নূরুল ইসলামই বাংলাদেশে ভোটবিহীন গণভোটের ভৌতিক ফল প্রকাশ করেন। একনায়ক জিয়া ছিলেন এ গণভোটের আয়োজক। জিয়ার জন্য এ গণভোটে প্রথমে ভোট দেখানো হয়েছিল ১০০ ভাগের ওপর। পরে নূরুল ইসলাম কমিশন হ্যাঁ ভোট কিছু কমিয়ে ৯৮ দশমিক ৬ শতাংশ দেখিয়েছিল। স্বৈরাচাররা সব সময় মেরুদন্ডহীন মোসাহেবদের পছন্দ করে। জিয়ার হ্যাঁ-না ভোট, সাত্তারের প্রহসনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নূরুল ইসলামের আনুগত্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন এরশাদ। এজন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার থেকে বিদায় নেওয়ার পর এরশাদ তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। নূরুল ইসলামের পর এ সাংবিধানিক পদে আনা হয় আরেক মেরুদন্ডহীন ব্যক্তিকে। তাঁর নাম চৌধুরী এ টি এম মাসুদ। ’৮৬-এর সংসদ নির্বাচনে মিডিয়া ক্যু করে মাসুদ চমক দেখান। এরশাদের প্রশংসায় ধন্য হন। বিচারপতি মাসুদের পর এরশাদ আরেকজন একান্ত অনুগত ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তিনি বিচারপতি সুলতান হোসেন খান। কিন্তু তাঁর আয়ু ছিল এক বছরের কম। ১৯৯০-এর ১৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন তিনি। কিন্তু ৬ ডিসেম্বর এরশাদের পতনের পর ২৪ ডিসেম্বর বিদায় নেন বিচারপতি সুলতান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন বিচারপতি আবদুর রউফকে। বিচারপতি রউফ দায়িত্ব নিয়ে বেশ হুলুস্থূল করেন। ’৯১-এর নির্বাচনে ত্রুটি ছিল। তার পরও আগের তুলনায় মানুষের মতামত নির্বাচনে প্রতিফলিত হয়। বিএনপির নেতৃত্বে একটি সরকার গঠিত হয়, যারা ’৭৫-এর পর প্রথমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত, কিন্তু ’৯১-এর নির্বাচনে যে বিচারপতি রউফের কোনো কৃতিত্ব নেই তা বোঝা গেল কদিন পরই। প্রথমে মাগুরা এবং তারপর মিরপুর নির্বাচনের তামাশা দেখল দেশের জনগণ। মাগুরা নির্বাচন দেখতে গিয়ে পালিয়ে এসে বললেন, ‘আমি অসহায়!’ বোঝা গেল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের লাঠিতে ভর করেই তিনি সব সাহস আর ক্ষমতা দেখাতেন। পরে অবশ্য বিচারপতি রউফের আসল পরিচয় জাতির কাছে উন্মোচিত হয়েছিল। ’৯১-এর বাহ্যিক সুষ্ঠু নির্বাচনে জামায়াত কীভাবে ১৮ আসনে জয়ী হয়েছিল তা-ও বুঝতে পেরেছিলেন দেশের ভোটাররা। নির্বাচন কমিশনে মেরুদন্ডহীন ব্যক্তি বসানোর রেওয়াজ চালু করেছিল জিয়া এবং এরশাদ। তবে এ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কৌতুকাভিনেতা বা জোকার বসানোর প্রথা চালু করেন বেগম জিয়া। ১৯৯৫ সালের ২৭ এপ্রিল বেগম জিয়া এ কে এম সাদেককে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন। সঙ্গে একগুচ্ছ ক্লাউন। এদের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ইতিহাসে নিকৃষ্টতম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬। ’৯৬-এর মার্চে বেগম জিয়ার পতন হলে সাদেক যুগের অবসান হয়। নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন মোহাম্মদ আবু হেনাকে। আমার বিবেচনায় বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং মেরুদন্ডসহ সিইসি ছিলেন আবু হেনা। এ নির্বাচন কমিশনের পর আওয়ামী লীগ আবার সিইসি হিসেবে সাবেক আমলাকে বেছে নেয়। এম এ সাঈদের অধীনে ২০০১-এর ১ অক্টোবরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এম এ সাঈদও আবু হেনার পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। তবে তাঁর মধ্যে একটি দলকে হারানোর আক্রোশ-উল্লাস চোখে পড়েছিল। নির্বাচন কমিশনে বেগম জিয়ার সব সময় পছন্দ কৌতুকাভিনেতা। পরপর দুটি অপেক্ষাকৃত কম বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনের পর বেগম জিয়া আবার ভাঁড়ের সন্ধানে নামেন। এম এ আজিজকে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে রসে টইটম্বুর সিইসি ছিলেন এম এ আজিজ। এজন্য হয়তো তিনি ইতিহাসে অমরত্ব পেতে পারেন। ওয়ান-ইলেভেনের মাধ্যমে এ টি এম শামসুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন। বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগান্তকারী সংস্কার হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে। ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, নির্বাচন আচরণবিধি কঠোর করাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত সাহসের সঙ্গে নিয়েছিল শামসুল হুদা কমিশন। এরপর আরেক সিএসপি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নেন। তিনি অবশ্য পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ পাননি। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি-জামায়াত বর্জন করলে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার ছিল না। তবে সিটি নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করে তিনি প্রমাণ করেছিলেন নির্বাচন কমিশন চাইলে দলীয় সরকারের অধীন ভালো নির্বাচন সম্ভব। এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায়িত্ব বর্তায় রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর। নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন সে দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৮-তে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানে যে যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ নূরুল হুদা কমিশন পেয়েছিল তা কাজে লাগাতে সীমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। লাগামহীন খেলো কথাবার্তার জন্য এ কমিশনকে অনেকে আজিজ কমিশনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা নির্বাচন কমিশনাররা দলীয় নেতাদের মতো আচরণ করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন।

এ ১২ জনের নেতৃত্বে ১২টি নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন সরকারের অভিপ্রায় নির্বাচনের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। যেমন চারটি নির্বাচন হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যেহেতু কোনো প্রকাশ্য রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা ছিল না, তাই নির্বাচন কমিশন মোটামুটি স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। আবার রাজনৈতিক সরকারের আওতায় যখন নির্বাচন হয়েছে তখন নির্বাচন কমিশনের মধ্যে রাজনৈতিক সরকারকে খুশি করার একটি সুস্পষ্ট প্রবণতা দেখা গেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনই হলো ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ। যে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য বৈধ সব কৌশল অবলম্বন করবেই। বৈধ কৌশলে যেন কোনো অবৈধ পন্থার অনুপ্রবেশ না ঘটে সেজন্যই নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশন হলো রেফারির মতো। একটি খেলায় যেমন নির্মোহ এবং নিরপেক্ষ রেফারি দুই পক্ষকে ‘রুলস অব দ্য গেম’ মানতে বাধ্য করে নির্বাচন কমিশনের ঠিক সে কাজটিই করার কথা। প্রশ্ন উঠতেই পারে, খেলার মাঠে একজন রেফারি বা আম্পায়ারের যে ক্ষমতা থাকে নির্বাচন কমিশনের কি সে ক্ষমতা আছে? ২০০৮ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন, আচরণবিধি এবং অন্যান্য বিধিবিধান কমিশনকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনেই যে অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব ২০১৩-এর সিটি নির্বাচনগুলো তার প্রমাণ। ওই নির্বাচন প্রমাণ করেছে নির্বাচন কমিশন চাইলেই পারে। তার পরও নির্বাচন কমিশন কেন সরকার বা ক্ষমতাসীন দলকে খুশি রাখার এক প্রাণান্ত চেষ্টা করে? এ প্রশ্নের উত্তরে এক কথায় বলা যায় নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ডের অভাব। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর অনির্বাচিত কিছু ব্যক্তি (প্রয়াত বিএনপি নেতা সাইফুর রহমানের ভাষায় ১০ জন ফেরেশতা) দেশের গণতন্ত্রের ভাগ্যবিধাতা হবেন তা মেনে নেওয়া যায় না। নির্বাচন কমিশন কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের লাঠি দিয়ে চলবে? কেন নিজের পায়ে দাঁড়াবে না? বাংলাদেশের সংবিধানে এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত আইন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশনই হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। নির্বাচনকালীন প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কমিশনের অধীনে থাকবে। তাহলে ১০ জন সফেদ ভদ্রলোক কী করবেন? রাজনীতিবিদদের ব্যর্থ প্রমাণ করবেন? রাজনীতিবিদরা একটি নির্বাচন করতে পারেন না, এটি বলে রাজনীতির দৈন্য নিয়ে উপহাস করবেন? নিরপেক্ষ, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, সৎ, শিক্ষিত মানুষই যদি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেন তাহলে তাদের নেতৃত্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে। তারা শুধু আইন অনুসরণ করবেন। কাউকে খুশি করার চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশে কি এ রকম মানুষ পাওয়া দুষ্কর? অবশ্যই না। খুব শিগগিরই হয়তো সার্চ কমিটি গঠিত হবে। সার্চ কমিটির প্রধান কাজ হবে মেরুদন্ডসম্পন্ন কয়েকজন মানুষকে খুঁজে বের করা।

তার অতীতের পদপদবির চেয়ে তার ব্যক্তিত্ব এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাহসটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ রকম ব্যক্তিত্ববান মানুষ খুঁজে পাওয়া মোটেও কঠিন হবে না। বিএনপি এবং অন্য রাজনৈতিক দলগুলোরও উচিত নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখা। সবাই মিলে একটি ভালো নির্বাচন কমিশন গঠন গণতন্ত্রের জন্য জরুরি। কিন্তু সার্চ কমিটি যদি বাবুরাম সাপুড়ের মতো সাপ খোঁজে তাহলে নির্বাচন নিয়ে মানুষের হতাশা আরও বাড়বে। মানুষ আরও নির্বাচনবিমুখ হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে এমন একজন মানুষকে বেছে নেওয়া হোক যাকে দেখলেই মানুষ উৎসাহী হবে। ভোটখরা কাটাতে এটাই হতে পারে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। সার্চ কমিটির কাছে দেশের জনগণ নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি মেরুদন্ড চায়। আর কিছু না।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’

১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর