শিরোনাম
প্রকাশ: ১৯:৩৯, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

বেগম জিয়ার পুরস্কার, বাহ কি চমৎকার

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
বেগম জিয়ার পুরস্কার, বাহ কি চমৎকার

ইদি আমিন। উগান্ডার একনায়ক হিসেবে ১৯৭১ থেকে ’৭৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন তিনি। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল প্রাথমিক পর্যন্ত। ক্ষমতায় এসে তিনি নিজেকে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী দাবি করেন। ইদি আমিনের খুব পুরস্কার এবং পদকের শখ ছিল। টাকা-পয়সা দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে পদক কিনতেন। আর পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে ঘটা করে অনুষ্ঠান করতেন। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করে নিজেকে জাহির করতেন। কিন্তু তাঁর নিষ্ঠুর একনায়কতান্ত্রিক শাসনের কারণে অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি সমালোচিত হতে থাকেন। একসময় ছোটখাটো সংস্থাও তাঁকে পদক দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ইদি আমিনকে খুশি করতে তাঁর চামুণ্ডা এবং চামচারা নতুন কৌশল নেয়। তারা নিজেরাই বিভিন্ন সংগঠন তৈরি করে। এই সংগঠনগুলোর একমাত্র কাজ ছিল বিভিন্ন বিষয়ে ইদি আমিনকে পুরস্কার দেওয়া। এ নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে এক চমকপ্রদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। শিরোনাম ছিল-‘ওন অ্যাওয়ার্ড (আত্মপুরস্কার)’। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্র্যাসি’ সম্মাননা দেওয়ার খবরে ইদি আমিনের কথা এত বছর পর মনে পড়ল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি মহাসচিব। প্রায় প্রতিদিনই নানা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসব সংবাদ সম্মেলনের সারকথা একটাই-সরকারকে গালাগালি করা। তবে এসব সংবাদ সম্মেলনের আরেকটি গুরু তাৎপর্য আছে। দল হিসেবে বিএনপি এবং নেতা হিসেবে তিনি (মির্জা ফখরুল) যে এখনো বেঁচে আছেন, তা জনগণকে জানান দেওয়া। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারির সংবাদ সম্মেলনে আচমকা তিনি ঝুলি থেকে বেগম জিয়ার জন্য পুরস্কার আবিষ্কার করলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বললেন, গণতন্ত্রের প্রতি অসামান্য অবদানের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্র্যাসি’ সম্মাননা দিয়েছে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও)। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্রেস্ট এবং সনদপত্র সাংবাদিকদের দেখান। সনদপত্র দেখে অনেকে বিস্মিত, হতবাক। ২০১৮ সালে এই সনদপত্র দেওয়া হয়েছে। বেগম জিয়া এত বড় এক স্বীকৃতি পেলেন, অথচ কেউ কিছু জানল না। প্রায় সাড়ে তিন বছর তা একান্ত গোপনীয় করে রাখা হলো। কি চমৎকার। এখন মুহূর্তের মধ্যেই যে কোনো খবর বিশে^র এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যায়। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের এত বড় পদকপ্রাপ্তির খবর বিশ্ব গণমাধ্যম বেমালুম চেপে গেল। এ ভারি অন্যায়। আমার মনে হয়, সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরাসহ বিশে^র তাবৎ প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া এখন ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ দিয়ে ভরে গেছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ খবরটি তারা বেমালুম চেপে গেছে। এ জন্যই বাধ্য হয়ে প্রায় চার বছর পর পদকপ্রাপ্তির খবরটি নিজেই জানালেন বেচারা বিএনপি মহাসচিব। এ রকম খবর তো জানার অধিকার আছে প্রতিটি নাগরিকের। বেগম জিয়ার পদকপ্রাপ্তিতে দেশের আমজনতার মতো আমিও পুলকিত হলাম, শিহরিত হলাম। পুরস্কার যেই পাক দেশের সুনাম হচ্ছে, এটাই তো বড় কথা। খুশিতে বাকবাকুম হয়ে আমি খুঁজতে লাগলাম কারা এই মহতী সংগঠন। কিন্তু এই সংগঠনের অস্তিত্ব খুঁজতে গিয়ে আমার ভিড়মি খাওয়ার মতো অবস্থা হলো। কানাডার এ মানবাধিকার সংগঠনের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেল, খুবই কাঁচা একটা ওয়েবসাইট। তা হতেই পারে, মানবাধিকার সংগঠনের তো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নেই যে তারা অ্যামাজনের মতো ওয়েবসাইট বানাবে। এই সংগঠনের স্টাফ মাত্র একজন। বাহ, কি চমৎকার। একজন করিৎকর্মা মানুষই সবকিছু করতে পারে, তাই একজন স্টাফ থাকাও দোষের কিছু নয়। পোর্টফোলিওতে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধের ছবি। কিন্তু এই সংগঠন কী কাজ করে, তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ কী- এ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। তবে আশার কথা হলো, বেগম জিয়াকে পুরস্কার দেওয়া এই সংগঠনটির একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। এই ফেসবুক পেজে লাইকের সংখ্যা ৮০টি। তা তো হতেই পারে। সমাজে ভালো কাজের প্রশংসা করার লোক কমে যাচ্ছে। এতে বিভিন্ন পোস্টে লাইকের সংখ্যা গড়ে ৩০টি। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হলো লাইক প্রদানকারীরা সবাই বাংলাদেশি। বাহ! কানাডার মানবাধিকার সংগঠন সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের এত আগ্রহ। আমি মুগ্ধ, অভিভূত। তবে যারা এই ওয়েবসাইটের দেখভাল করেন, তারা একটা ভারি অন্যায় করেছেন। এই ওয়েবসাইটে বেগম জিয়ার পুরস্কারপ্রাপ্তি সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। এমনকি নেই এ সংক্রান্ত কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত।

এত বছর পর বেগম জিয়াকে এ রকম একটা পুরস্কার দিয়ে বিএনপি আসলে কী প্রমাণ করতে চায়? বিএনপি মহাসচিব কি বুঝেশুনে এটা করেছেন? বেগম জিয়াকে জাতির সামনে হাস্যকর প্রমাণের জন্যই কি এসব কাণ্ড? কিছুদিন আগে বিএনপি মহাসচিব বেগম জিয়াকে নিয়ে আরেক কাণ্ড করেছিলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তিযোদ্ধা বলে ঘোষণা করেছিলেন। এ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, যিনি এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের এক জীবন্ত কিংবদন্তি ‘বাংলাদেশ প্রতিদিনে’ কলাম লিখে এর সমালোচনা করেছিলেন। স্পষ্টবাদী, নির্ভীক বঙ্গবীরের সমালোচনার পর বিএনপি বেগম জিয়াকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ বানানোর প্রকল্প থেকে সরে আসে। বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও বিএনপি নেতারা এবং চিকিৎসকরা অর্বাচীনের মতো নাটক করেছেন। গত বছরের ১৩ নভেম্বর যখন বেগম জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন বিএনপিপন্থি চিকিৎসক এবং বিএনপি নেতাদের অভিনয় ছিল দেখার মতো। তারা এমন এক আবহ তৈরি করেছিলেন যে আমার মতো অনেক বেকুব মনে করেছিল বেগম জিয়া বোধহয় যে কোনো সময়ই মারা যাবেন। এক দিন দেখলাম বিএনপিপন্থি চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন। তিনি সেদিন বেগম জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে জাতিকে যে তথ্য দিয়েছিলেন, তা অসত্য বিভ্রান্তিকর এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের নীতি-নৈতিকতা পরিপন্থী। এ জন্য তাঁর বিএমডিসির সনদ বাতিল হওয়া উচিত। কিন্তু বেগম জিয়ার অসুখ নিয়ে অসুস্থ রাজনীতি করে বিএনপি বেগম জিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের শেষ সহানুভূতিটুকু নিংড়ে নিয়েছে। ‘বাঘ এবং রাখাল বালক’-এর গল্পের মতো অবস্থা হয়েছে। এখন যদি সত্যি সত্যি বেগম জিয়ার অবস্থা গুরুতর হয় তাহলে তা কজন বিশ্বাস করবে, এ নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বেগম জিয়া কি তাহলে বিএনপির নোংরা এবং অসত্য রাজনীতির বলি হচ্ছেন? নাকি পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খেলো করা হচ্ছে?

বেগম জিয়ার রাজনীতি থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাওয়া যায়। অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে কিছুদিন বোকা রাখা যায়, চিরদিন নয়। এখন তাঁর পদক, তাঁর অসুখ ইত্যাদি প্রমাণ করে অসততার আবরণে বেগম খালেদা জিয়াকে নেতা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। ’৯১-এর নির্বাচনের আগে বেগম জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ফেনী পর্যন্ত ভারতের দখলে যাবে। মসজিদে উলুধ্বনি হবে। কিন্তু ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল এ সবই অসত্য। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা, তুখোড় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে এক ভাষণে বেগম জিয়ার নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ চলচ্চিত্রের একটি সংলাপ বলেছিলেন বেগম জিয়ার উদ্দেশে- ‘একটা কিছু ক গোলাপী, একটা কিছু ক।’ বেগম জিয়ার রাজনীতি আশ্চর্য নীরবতার। তিনি কথা বলেন কম, এখন তো তাও বলেন না। কারও ইশারায় যেন তিনি চলেন। তাঁর ডাকনাম পুতুল। পুতুল নাচের পুতুলের মতো বেগম জিয়ার রাজনীতির সুতো কার হাতে এ এক গবেষণার বিষয়। যখনই তিনি গণ্ডির বাইরে কথা বলতে চেয়েছেন, তখনই বিপত্তি হয়েছে। সংসদে তাঁর ‘চুপ থাক বেয়াদব’ কিংবা গুলশান অফিসের সামনে জনৈক পুলিশ কর্মকর্তাকে হুমকি ‘গোপালগঞ্জের নামই পাল্টে দেব’ বলে প্রতিহিংসার আগুন ঝরা বেগম জিয়ার উক্তিগুলো প্রমাণ করেছে, বেগম জিয়া অনেকটা চাঁদের মতো তাঁর নিজের আলো নেই। অন্যের আলোয় তিনি আলোকিত। যারা তাঁকে আলো দিয়ে রাজনীতিতে ‘আপসহীন নেতা’ বানানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছিল, তারা যে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না, এ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। বেগম জিয়ার নেপথ্যে যারা কলকাঠি নাড়ায় তারাই বেগম জিয়াকে যুদ্ধাপরাধীদের নেতা বানিয়েছে। তারাই বেগম জিয়াকে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। এদের নির্দেশেই বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে ’৭৫-এর খুনিদের কূটনীতিক চাকরিতে পদোন্নতি দিয়েছে। এদের প্রকল্প বাস্তবায়নে বেগম জিয়া জাতির শোকাবহ দিন ১৫ আগস্টকে নিজের ভুয়া জন্মদিন বানান। কেক কেটে বীভৎসতার নোংরা উৎসব করেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি হয়েছিল ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের বিজয় পূর্ণতা প্রায় ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে। কিন্তু ’৭১ পরাজিত শক্তি ভিতরে ভিতরে যুদ্ধটা অব্যাহত রেখেছিল। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের বিভিন্ন দলিলে দেখা যায়, ’৭১-এর পরাজয়ের পরও বাংলাদেশে তারা তাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছিল। বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর মিশনে তাদের প্রথম সাফল্য আসে ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের মাধ্যমে। জিয়াউর রহমানকে দিয়ে বাংলাদেশকে ‘নতুন পাকিস্তান’ বানানোর মিশনে অনেকটাই সাফল্য এসেছিল। আমাদের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা উপড়ে ফেলা হয়। ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে পুনর্বাসিত করেন জিয়াউর রহমান। যুদ্ধাপরাধী, রাজাকারদের জেল থেকে মুক্ত করেন। তাদের বিচার বন্ধ করেন। রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানান। কিন্তু জিয়ার মৃত্যুর পর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে যায়। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে তিনি এক নতুন গণজাগরণে নেতৃত্ব দেন। এ জন্যই পাকিস্তানপন্থিরা বেগম জিয়াকে সামনে আনে। কিন্তু সমস্যা হয় বেগম জিয়া গৃহবধূ। সংসার, সন্তান নিয়েই তিনি ব্যস্ত ছিলেন। তাই রাজনীতির মাঠে তাঁকে ‘তোতা পাখি’ বানানো হয়। তিনি সেটুকুই বলতেন, যেটুকু তাঁকে শিখিয়ে দেওয়া হতো। এভাবেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম জিয়ার অভ্যুদয়। বাংলাদেশে একটি সুশীল গোষ্ঠী আছে, যারা ছদ্মবেশী। এরা দেশপ্রেমের কথা মুখে বলেন কিন্তু মনে মনে দেশকে ঘৃণা করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে এদের হৃদয় ভাঙে। এদের প্রধান কাজ বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ, অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে বিশে^ উপস্থাপন। বাংলাদেশে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখিয়ে এরা বিদেশ থেকে টাকা আনেন। এই টাকায় এরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। দারিদ্র্যই এদের আরাধ্য। এরা বিশে^র সামনে বাংলাদেশকে সবসময় বিকৃত করে ছোট করে দেখতে চান। বেগম জিয়াকে পেয়ে এরা খুশিতে আত্মহারা। এমন ‘বোবা নেতা’ থাকলেই তো তাদের পোয়াবারো। এই সুশীলরা বেগম জিয়ার ইমেজ বৃদ্ধির মিশনে যোগ দিলেন। বেগম জিয়া কথা বলেন না, কী দারুণ। বেগম জিয়া থুঁতনিতে হাত দিয়ে শুধু শুনে যান, কী বিচক্ষণ। এভাবেই বেগম জিয়ার এক খোলস বানানো হয়। কিন্তু রাজনীতিতে নিজের যোগ্যতা ছাড়া বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। বেগম জিয়া সম্ভবত তার বড় প্রমাণ। বেগম জিয়াকে নিয়ে যা করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তা তাঁর জন্য বুমেরাং হয়েছে। ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন নিয়ে দেশে যখন নিন্দার ঝড় তখন বাধ্য হয়েই এই জন্মদিনের কুৎসিত উৎসব বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এই জন্মদিনের উৎসব পালন করতে গিয়ে দেখা গেল, তাঁর আসলে জন্মতারিখ পাঁচটা। অসুস্থতা নিয়েও একই নাটক হলো। এখন দেখা যাচ্ছে বেগম জিয়া তাঁর ফিরোজায় নাতনিকে নিয়ে ভালোই সময় কাটাচ্ছেন। সব শেষে পদক। দেখা গেল ইদি আমিনের মতো বিএনপির নেতারাই ভুয়া সংগঠন বানিয়ে পদক দিয়েছেন। কিন্তু এই পদক নাটকটাও বিশ্বাসযোগ্য করতে পারেনি বিএনপি। আপসহীন নেত্রী এখন জাতির কাছে কৌতুক নেত্রীতে পরিণত হচ্ছেন। এটাই হলো ভুল রাজনীতির পরিণতি।

বেগম জিয়াকে নিয়ে বিএনপি নেতারা যে তামাশা করছেন, তার  পেছনে আরেকটি কার্যকারণও থাকতে পারে বলে আমি মনে করি। বিএনপির প্রধান নেতা কে এ নিয়ে আমার বিভ্রম আছে। যেদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম জিয়াকে বিএনপি চেয়ারপারসন সম্বোধন করলেন। আবার তারেক জিয়াকে বললেন ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন।’ বিএনপির কমিটি বিন্যাস অনুযায়ী তারেক জিয়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। বিএনপির গঠনতন্ত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে কোনো পদ নেই। বিএনপি নেতাদের বক্তৃতা-বিবৃতি শুনে যা বুঝি তা হলো, তারেক জিয়াই এখন বিএনপির সর্বৈসর্বা। কিন্তু বিএনপির নেতারা তার কথায় ওঠাবসা করলেও জনগণের মধ্যে তার প্রচণ্ড ইমেজ সংকট। সাধারণ মানুষ মনে করে, তারেক জিয়া দুর্নীতিবাজ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তার ব্যাপারে নানা সমালোচনা শুনি। আজন্ম দেশকে ভালোবাসা কিংবদন্তি কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইলের বাড়িতে গিয়েছিলাম কদিন আগে। একটি গবেষণার কাজে টাঙ্গাইলে যাই। প্রেস ক্লাবে বসে কথা বলছিলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি নাসির ভাইয়ের সঙ্গে। তিনি বললেন, পাশেই বঙ্গবীরের বাড়ি। আমি দাদাকে ফোন করলাম। দাদা সবসময় কথা বলেন ভীষণ মমতায়। আমি বললাম, আমি তো টাঙ্গাইলে। দাদা জানালেন আমি তো কিছুক্ষণের মধ্যে টাঙ্গাইলে আসছি। তোমরা সবাই দুপুরে আমার বাড়িতে খাবে। কালিহাতীর একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করে, অনেক বেলায় আমরা এই অসাধারণ মানুষটির বাড়িতে গেলাম। খাওয়া-দাওয়া আড্ডা হলো। তখন বঙ্গবীর বলছিলেন, ‘তারেক দেশের নেতা হবে, এটা কিছুতেই মানতে পারব না। এটা হতে দেওয়া যাবে না কখনো।’ এটাই হলো দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের অভিপ্রায়। তাই দলে যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন, দেশের জনগণের কাছে তারেক জিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নেই। দলেও শুনি তাকে নিয়ে অস্বস্তি আছে। বিশেষ করে, ২০১৮ সাল থেকে তারেক জিয়াকে নিয়ে বিএনপিতেই অনেক প্রশ্ন। জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলার রায়ের আগে বেগম জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। এ সময় বিএনপির অনেকে খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে বেগম জিয়া যেন এখন দেশে না যান। কিন্তু তারেক জিয়ার আগ্রহে বেগম জিয়া দেশে আসেন এবং আদালতের রায়ে কারাগারে যান। বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ কারাবাসে তারেক জিয়া, তার স্ত্রী, কন্যা কেউ একবারের জন্য দেশে আসেননি। এমনকি বেগম জিয়া তিন দফা হাসপাতালে ভর্তি হলেও তারা আসেননি। বাংলাদেশের মতো পরিবারকেন্দ্রিক আবেগতাড়িত সমাজে এ বিষয়গুলো কেউই ভালোভাবে নেয়নি। অনেক সাধারণ মানুষকে বলতে শুনেছি, যে মায়ের জন্য ঝুঁকি নিতে পারে না, সে দেশের জন্য ঝুঁকি নেবে কীভাবে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, আচ্ছা তারেক জিয়ার না হয় মামলা আছে, আদালতের দণ্ড আছে। কিন্তু তার স্ত্রী, কন্যা কেন একবারও বেগম জিয়াকে দেখতে এলো না। ২০১৮-এর নির্বাচন, খালেদা জিয়ার গ্রেফতার এবং তাঁর অসুস্থতা তারেক জিয়ার ক্ষয়িষ্ণু ইমেজকে আরও সংকুচিত করেছে। রাজনীতির আদি এবং চিরন্তন তত্ত্ব, এক গ্রামে দুই মোড়ল থাকতে পারে না। এক দলে দুই নেতা চলতে পারে না। বিএনপিতে এখন দুই নেতা। আর এ জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে কি তারেক জিয়া বিএনপির মসনদ দখল করতে চান? এ জন্যই কি বেগম জিয়াকে কখনো অসুস্থ বানিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। আবার কখনো ভুয়া পদক দিয়ে হাস্যকর করা হচ্ছে? আগে দেখতাম স্কুলে শিক্ষকের বিদায়ের সময় মানপত্র, ক্রেস্ট এবং ছাতা দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হতো।  খালেদা জিয়াকেও ২০১৮ সালের পদক আর মানপত্র দিয়ে কি রাজনীতি থেকে বিদায় করে দেওয়া হলো?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়