শিরোনাম
প্রকাশ: ১৯:৩৯, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

বেগম জিয়ার পুরস্কার, বাহ কি চমৎকার

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
বেগম জিয়ার পুরস্কার, বাহ কি চমৎকার

ইদি আমিন। উগান্ডার একনায়ক হিসেবে ১৯৭১ থেকে ’৭৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন তিনি। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল প্রাথমিক পর্যন্ত। ক্ষমতায় এসে তিনি নিজেকে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী দাবি করেন। ইদি আমিনের খুব পুরস্কার এবং পদকের শখ ছিল। টাকা-পয়সা দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে পদক কিনতেন। আর পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে ঘটা করে অনুষ্ঠান করতেন। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করে নিজেকে জাহির করতেন। কিন্তু তাঁর নিষ্ঠুর একনায়কতান্ত্রিক শাসনের কারণে অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি সমালোচিত হতে থাকেন। একসময় ছোটখাটো সংস্থাও তাঁকে পদক দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ইদি আমিনকে খুশি করতে তাঁর চামুণ্ডা এবং চামচারা নতুন কৌশল নেয়। তারা নিজেরাই বিভিন্ন সংগঠন তৈরি করে। এই সংগঠনগুলোর একমাত্র কাজ ছিল বিভিন্ন বিষয়ে ইদি আমিনকে পুরস্কার দেওয়া। এ নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে এক চমকপ্রদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। শিরোনাম ছিল-‘ওন অ্যাওয়ার্ড (আত্মপুরস্কার)’। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্র্যাসি’ সম্মাননা দেওয়ার খবরে ইদি আমিনের কথা এত বছর পর মনে পড়ল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি মহাসচিব। প্রায় প্রতিদিনই নানা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসব সংবাদ সম্মেলনের সারকথা একটাই-সরকারকে গালাগালি করা। তবে এসব সংবাদ সম্মেলনের আরেকটি গুরু তাৎপর্য আছে। দল হিসেবে বিএনপি এবং নেতা হিসেবে তিনি (মির্জা ফখরুল) যে এখনো বেঁচে আছেন, তা জনগণকে জানান দেওয়া। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারির সংবাদ সম্মেলনে আচমকা তিনি ঝুলি থেকে বেগম জিয়ার জন্য পুরস্কার আবিষ্কার করলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বললেন, গণতন্ত্রের প্রতি অসামান্য অবদানের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্র্যাসি’ সম্মাননা দিয়েছে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও)। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্রেস্ট এবং সনদপত্র সাংবাদিকদের দেখান। সনদপত্র দেখে অনেকে বিস্মিত, হতবাক। ২০১৮ সালে এই সনদপত্র দেওয়া হয়েছে। বেগম জিয়া এত বড় এক স্বীকৃতি পেলেন, অথচ কেউ কিছু জানল না। প্রায় সাড়ে তিন বছর তা একান্ত গোপনীয় করে রাখা হলো। কি চমৎকার। এখন মুহূর্তের মধ্যেই যে কোনো খবর বিশে^র এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যায়। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের এত বড় পদকপ্রাপ্তির খবর বিশ্ব গণমাধ্যম বেমালুম চেপে গেল। এ ভারি অন্যায়। আমার মনে হয়, সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরাসহ বিশে^র তাবৎ প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া এখন ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ দিয়ে ভরে গেছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ খবরটি তারা বেমালুম চেপে গেছে। এ জন্যই বাধ্য হয়ে প্রায় চার বছর পর পদকপ্রাপ্তির খবরটি নিজেই জানালেন বেচারা বিএনপি মহাসচিব। এ রকম খবর তো জানার অধিকার আছে প্রতিটি নাগরিকের। বেগম জিয়ার পদকপ্রাপ্তিতে দেশের আমজনতার মতো আমিও পুলকিত হলাম, শিহরিত হলাম। পুরস্কার যেই পাক দেশের সুনাম হচ্ছে, এটাই তো বড় কথা। খুশিতে বাকবাকুম হয়ে আমি খুঁজতে লাগলাম কারা এই মহতী সংগঠন। কিন্তু এই সংগঠনের অস্তিত্ব খুঁজতে গিয়ে আমার ভিড়মি খাওয়ার মতো অবস্থা হলো। কানাডার এ মানবাধিকার সংগঠনের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেল, খুবই কাঁচা একটা ওয়েবসাইট। তা হতেই পারে, মানবাধিকার সংগঠনের তো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নেই যে তারা অ্যামাজনের মতো ওয়েবসাইট বানাবে। এই সংগঠনের স্টাফ মাত্র একজন। বাহ, কি চমৎকার। একজন করিৎকর্মা মানুষই সবকিছু করতে পারে, তাই একজন স্টাফ থাকাও দোষের কিছু নয়। পোর্টফোলিওতে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধের ছবি। কিন্তু এই সংগঠন কী কাজ করে, তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ কী- এ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। তবে আশার কথা হলো, বেগম জিয়াকে পুরস্কার দেওয়া এই সংগঠনটির একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। এই ফেসবুক পেজে লাইকের সংখ্যা ৮০টি। তা তো হতেই পারে। সমাজে ভালো কাজের প্রশংসা করার লোক কমে যাচ্ছে। এতে বিভিন্ন পোস্টে লাইকের সংখ্যা গড়ে ৩০টি। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হলো লাইক প্রদানকারীরা সবাই বাংলাদেশি। বাহ! কানাডার মানবাধিকার সংগঠন সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের এত আগ্রহ। আমি মুগ্ধ, অভিভূত। তবে যারা এই ওয়েবসাইটের দেখভাল করেন, তারা একটা ভারি অন্যায় করেছেন। এই ওয়েবসাইটে বেগম জিয়ার পুরস্কারপ্রাপ্তি সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। এমনকি নেই এ সংক্রান্ত কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত।

এত বছর পর বেগম জিয়াকে এ রকম একটা পুরস্কার দিয়ে বিএনপি আসলে কী প্রমাণ করতে চায়? বিএনপি মহাসচিব কি বুঝেশুনে এটা করেছেন? বেগম জিয়াকে জাতির সামনে হাস্যকর প্রমাণের জন্যই কি এসব কাণ্ড? কিছুদিন আগে বিএনপি মহাসচিব বেগম জিয়াকে নিয়ে আরেক কাণ্ড করেছিলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তিযোদ্ধা বলে ঘোষণা করেছিলেন। এ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, যিনি এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের এক জীবন্ত কিংবদন্তি ‘বাংলাদেশ প্রতিদিনে’ কলাম লিখে এর সমালোচনা করেছিলেন। স্পষ্টবাদী, নির্ভীক বঙ্গবীরের সমালোচনার পর বিএনপি বেগম জিয়াকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ বানানোর প্রকল্প থেকে সরে আসে। বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও বিএনপি নেতারা এবং চিকিৎসকরা অর্বাচীনের মতো নাটক করেছেন। গত বছরের ১৩ নভেম্বর যখন বেগম জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন বিএনপিপন্থি চিকিৎসক এবং বিএনপি নেতাদের অভিনয় ছিল দেখার মতো। তারা এমন এক আবহ তৈরি করেছিলেন যে আমার মতো অনেক বেকুব মনে করেছিল বেগম জিয়া বোধহয় যে কোনো সময়ই মারা যাবেন। এক দিন দেখলাম বিএনপিপন্থি চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন। তিনি সেদিন বেগম জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে জাতিকে যে তথ্য দিয়েছিলেন, তা অসত্য বিভ্রান্তিকর এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের নীতি-নৈতিকতা পরিপন্থী। এ জন্য তাঁর বিএমডিসির সনদ বাতিল হওয়া উচিত। কিন্তু বেগম জিয়ার অসুখ নিয়ে অসুস্থ রাজনীতি করে বিএনপি বেগম জিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের শেষ সহানুভূতিটুকু নিংড়ে নিয়েছে। ‘বাঘ এবং রাখাল বালক’-এর গল্পের মতো অবস্থা হয়েছে। এখন যদি সত্যি সত্যি বেগম জিয়ার অবস্থা গুরুতর হয় তাহলে তা কজন বিশ্বাস করবে, এ নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বেগম জিয়া কি তাহলে বিএনপির নোংরা এবং অসত্য রাজনীতির বলি হচ্ছেন? নাকি পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খেলো করা হচ্ছে?

বেগম জিয়ার রাজনীতি থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাওয়া যায়। অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে কিছুদিন বোকা রাখা যায়, চিরদিন নয়। এখন তাঁর পদক, তাঁর অসুখ ইত্যাদি প্রমাণ করে অসততার আবরণে বেগম খালেদা জিয়াকে নেতা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। ’৯১-এর নির্বাচনের আগে বেগম জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ফেনী পর্যন্ত ভারতের দখলে যাবে। মসজিদে উলুধ্বনি হবে। কিন্তু ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল এ সবই অসত্য। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা, তুখোড় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে এক ভাষণে বেগম জিয়ার নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ চলচ্চিত্রের একটি সংলাপ বলেছিলেন বেগম জিয়ার উদ্দেশে- ‘একটা কিছু ক গোলাপী, একটা কিছু ক।’ বেগম জিয়ার রাজনীতি আশ্চর্য নীরবতার। তিনি কথা বলেন কম, এখন তো তাও বলেন না। কারও ইশারায় যেন তিনি চলেন। তাঁর ডাকনাম পুতুল। পুতুল নাচের পুতুলের মতো বেগম জিয়ার রাজনীতির সুতো কার হাতে এ এক গবেষণার বিষয়। যখনই তিনি গণ্ডির বাইরে কথা বলতে চেয়েছেন, তখনই বিপত্তি হয়েছে। সংসদে তাঁর ‘চুপ থাক বেয়াদব’ কিংবা গুলশান অফিসের সামনে জনৈক পুলিশ কর্মকর্তাকে হুমকি ‘গোপালগঞ্জের নামই পাল্টে দেব’ বলে প্রতিহিংসার আগুন ঝরা বেগম জিয়ার উক্তিগুলো প্রমাণ করেছে, বেগম জিয়া অনেকটা চাঁদের মতো তাঁর নিজের আলো নেই। অন্যের আলোয় তিনি আলোকিত। যারা তাঁকে আলো দিয়ে রাজনীতিতে ‘আপসহীন নেতা’ বানানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছিল, তারা যে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না, এ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। বেগম জিয়ার নেপথ্যে যারা কলকাঠি নাড়ায় তারাই বেগম জিয়াকে যুদ্ধাপরাধীদের নেতা বানিয়েছে। তারাই বেগম জিয়াকে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। এদের নির্দেশেই বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে ’৭৫-এর খুনিদের কূটনীতিক চাকরিতে পদোন্নতি দিয়েছে। এদের প্রকল্প বাস্তবায়নে বেগম জিয়া জাতির শোকাবহ দিন ১৫ আগস্টকে নিজের ভুয়া জন্মদিন বানান। কেক কেটে বীভৎসতার নোংরা উৎসব করেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি হয়েছিল ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের বিজয় পূর্ণতা প্রায় ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে। কিন্তু ’৭১ পরাজিত শক্তি ভিতরে ভিতরে যুদ্ধটা অব্যাহত রেখেছিল। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের বিভিন্ন দলিলে দেখা যায়, ’৭১-এর পরাজয়ের পরও বাংলাদেশে তারা তাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছিল। বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর মিশনে তাদের প্রথম সাফল্য আসে ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের মাধ্যমে। জিয়াউর রহমানকে দিয়ে বাংলাদেশকে ‘নতুন পাকিস্তান’ বানানোর মিশনে অনেকটাই সাফল্য এসেছিল। আমাদের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা উপড়ে ফেলা হয়। ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে পুনর্বাসিত করেন জিয়াউর রহমান। যুদ্ধাপরাধী, রাজাকারদের জেল থেকে মুক্ত করেন। তাদের বিচার বন্ধ করেন। রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানান। কিন্তু জিয়ার মৃত্যুর পর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে যায়। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে তিনি এক নতুন গণজাগরণে নেতৃত্ব দেন। এ জন্যই পাকিস্তানপন্থিরা বেগম জিয়াকে সামনে আনে। কিন্তু সমস্যা হয় বেগম জিয়া গৃহবধূ। সংসার, সন্তান নিয়েই তিনি ব্যস্ত ছিলেন। তাই রাজনীতির মাঠে তাঁকে ‘তোতা পাখি’ বানানো হয়। তিনি সেটুকুই বলতেন, যেটুকু তাঁকে শিখিয়ে দেওয়া হতো। এভাবেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম জিয়ার অভ্যুদয়। বাংলাদেশে একটি সুশীল গোষ্ঠী আছে, যারা ছদ্মবেশী। এরা দেশপ্রেমের কথা মুখে বলেন কিন্তু মনে মনে দেশকে ঘৃণা করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে এদের হৃদয় ভাঙে। এদের প্রধান কাজ বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ, অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে বিশে^ উপস্থাপন। বাংলাদেশে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখিয়ে এরা বিদেশ থেকে টাকা আনেন। এই টাকায় এরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। দারিদ্র্যই এদের আরাধ্য। এরা বিশে^র সামনে বাংলাদেশকে সবসময় বিকৃত করে ছোট করে দেখতে চান। বেগম জিয়াকে পেয়ে এরা খুশিতে আত্মহারা। এমন ‘বোবা নেতা’ থাকলেই তো তাদের পোয়াবারো। এই সুশীলরা বেগম জিয়ার ইমেজ বৃদ্ধির মিশনে যোগ দিলেন। বেগম জিয়া কথা বলেন না, কী দারুণ। বেগম জিয়া থুঁতনিতে হাত দিয়ে শুধু শুনে যান, কী বিচক্ষণ। এভাবেই বেগম জিয়ার এক খোলস বানানো হয়। কিন্তু রাজনীতিতে নিজের যোগ্যতা ছাড়া বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। বেগম জিয়া সম্ভবত তার বড় প্রমাণ। বেগম জিয়াকে নিয়ে যা করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তা তাঁর জন্য বুমেরাং হয়েছে। ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন নিয়ে দেশে যখন নিন্দার ঝড় তখন বাধ্য হয়েই এই জন্মদিনের কুৎসিত উৎসব বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এই জন্মদিনের উৎসব পালন করতে গিয়ে দেখা গেল, তাঁর আসলে জন্মতারিখ পাঁচটা। অসুস্থতা নিয়েও একই নাটক হলো। এখন দেখা যাচ্ছে বেগম জিয়া তাঁর ফিরোজায় নাতনিকে নিয়ে ভালোই সময় কাটাচ্ছেন। সব শেষে পদক। দেখা গেল ইদি আমিনের মতো বিএনপির নেতারাই ভুয়া সংগঠন বানিয়ে পদক দিয়েছেন। কিন্তু এই পদক নাটকটাও বিশ্বাসযোগ্য করতে পারেনি বিএনপি। আপসহীন নেত্রী এখন জাতির কাছে কৌতুক নেত্রীতে পরিণত হচ্ছেন। এটাই হলো ভুল রাজনীতির পরিণতি।

বেগম জিয়াকে নিয়ে বিএনপি নেতারা যে তামাশা করছেন, তার  পেছনে আরেকটি কার্যকারণও থাকতে পারে বলে আমি মনে করি। বিএনপির প্রধান নেতা কে এ নিয়ে আমার বিভ্রম আছে। যেদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম জিয়াকে বিএনপি চেয়ারপারসন সম্বোধন করলেন। আবার তারেক জিয়াকে বললেন ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন।’ বিএনপির কমিটি বিন্যাস অনুযায়ী তারেক জিয়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। বিএনপির গঠনতন্ত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে কোনো পদ নেই। বিএনপি নেতাদের বক্তৃতা-বিবৃতি শুনে যা বুঝি তা হলো, তারেক জিয়াই এখন বিএনপির সর্বৈসর্বা। কিন্তু বিএনপির নেতারা তার কথায় ওঠাবসা করলেও জনগণের মধ্যে তার প্রচণ্ড ইমেজ সংকট। সাধারণ মানুষ মনে করে, তারেক জিয়া দুর্নীতিবাজ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তার ব্যাপারে নানা সমালোচনা শুনি। আজন্ম দেশকে ভালোবাসা কিংবদন্তি কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইলের বাড়িতে গিয়েছিলাম কদিন আগে। একটি গবেষণার কাজে টাঙ্গাইলে যাই। প্রেস ক্লাবে বসে কথা বলছিলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি নাসির ভাইয়ের সঙ্গে। তিনি বললেন, পাশেই বঙ্গবীরের বাড়ি। আমি দাদাকে ফোন করলাম। দাদা সবসময় কথা বলেন ভীষণ মমতায়। আমি বললাম, আমি তো টাঙ্গাইলে। দাদা জানালেন আমি তো কিছুক্ষণের মধ্যে টাঙ্গাইলে আসছি। তোমরা সবাই দুপুরে আমার বাড়িতে খাবে। কালিহাতীর একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করে, অনেক বেলায় আমরা এই অসাধারণ মানুষটির বাড়িতে গেলাম। খাওয়া-দাওয়া আড্ডা হলো। তখন বঙ্গবীর বলছিলেন, ‘তারেক দেশের নেতা হবে, এটা কিছুতেই মানতে পারব না। এটা হতে দেওয়া যাবে না কখনো।’ এটাই হলো দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের অভিপ্রায়। তাই দলে যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন, দেশের জনগণের কাছে তারেক জিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নেই। দলেও শুনি তাকে নিয়ে অস্বস্তি আছে। বিশেষ করে, ২০১৮ সাল থেকে তারেক জিয়াকে নিয়ে বিএনপিতেই অনেক প্রশ্ন। জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলার রায়ের আগে বেগম জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। এ সময় বিএনপির অনেকে খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে বেগম জিয়া যেন এখন দেশে না যান। কিন্তু তারেক জিয়ার আগ্রহে বেগম জিয়া দেশে আসেন এবং আদালতের রায়ে কারাগারে যান। বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ কারাবাসে তারেক জিয়া, তার স্ত্রী, কন্যা কেউ একবারের জন্য দেশে আসেননি। এমনকি বেগম জিয়া তিন দফা হাসপাতালে ভর্তি হলেও তারা আসেননি। বাংলাদেশের মতো পরিবারকেন্দ্রিক আবেগতাড়িত সমাজে এ বিষয়গুলো কেউই ভালোভাবে নেয়নি। অনেক সাধারণ মানুষকে বলতে শুনেছি, যে মায়ের জন্য ঝুঁকি নিতে পারে না, সে দেশের জন্য ঝুঁকি নেবে কীভাবে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, আচ্ছা তারেক জিয়ার না হয় মামলা আছে, আদালতের দণ্ড আছে। কিন্তু তার স্ত্রী, কন্যা কেন একবারও বেগম জিয়াকে দেখতে এলো না। ২০১৮-এর নির্বাচন, খালেদা জিয়ার গ্রেফতার এবং তাঁর অসুস্থতা তারেক জিয়ার ক্ষয়িষ্ণু ইমেজকে আরও সংকুচিত করেছে। রাজনীতির আদি এবং চিরন্তন তত্ত্ব, এক গ্রামে দুই মোড়ল থাকতে পারে না। এক দলে দুই নেতা চলতে পারে না। বিএনপিতে এখন দুই নেতা। আর এ জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে কি তারেক জিয়া বিএনপির মসনদ দখল করতে চান? এ জন্যই কি বেগম জিয়াকে কখনো অসুস্থ বানিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। আবার কখনো ভুয়া পদক দিয়ে হাস্যকর করা হচ্ছে? আগে দেখতাম স্কুলে শিক্ষকের বিদায়ের সময় মানপত্র, ক্রেস্ট এবং ছাতা দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হতো।  খালেদা জিয়াকেও ২০১৮ সালের পদক আর মানপত্র দিয়ে কি রাজনীতি থেকে বিদায় করে দেওয়া হলো?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর