শিরোনাম
প্রকাশ: ১৯:৩৯, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

বেগম জিয়ার পুরস্কার, বাহ কি চমৎকার

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
বেগম জিয়ার পুরস্কার, বাহ কি চমৎকার

ইদি আমিন। উগান্ডার একনায়ক হিসেবে ১৯৭১ থেকে ’৭৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন তিনি। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল প্রাথমিক পর্যন্ত। ক্ষমতায় এসে তিনি নিজেকে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী দাবি করেন। ইদি আমিনের খুব পুরস্কার এবং পদকের শখ ছিল। টাকা-পয়সা দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে পদক কিনতেন। আর পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে ঘটা করে অনুষ্ঠান করতেন। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করে নিজেকে জাহির করতেন। কিন্তু তাঁর নিষ্ঠুর একনায়কতান্ত্রিক শাসনের কারণে অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি সমালোচিত হতে থাকেন। একসময় ছোটখাটো সংস্থাও তাঁকে পদক দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ইদি আমিনকে খুশি করতে তাঁর চামুণ্ডা এবং চামচারা নতুন কৌশল নেয়। তারা নিজেরাই বিভিন্ন সংগঠন তৈরি করে। এই সংগঠনগুলোর একমাত্র কাজ ছিল বিভিন্ন বিষয়ে ইদি আমিনকে পুরস্কার দেওয়া। এ নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে এক চমকপ্রদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। শিরোনাম ছিল-‘ওন অ্যাওয়ার্ড (আত্মপুরস্কার)’। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্র্যাসি’ সম্মাননা দেওয়ার খবরে ইদি আমিনের কথা এত বছর পর মনে পড়ল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি মহাসচিব। প্রায় প্রতিদিনই নানা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসব সংবাদ সম্মেলনের সারকথা একটাই-সরকারকে গালাগালি করা। তবে এসব সংবাদ সম্মেলনের আরেকটি গুরু তাৎপর্য আছে। দল হিসেবে বিএনপি এবং নেতা হিসেবে তিনি (মির্জা ফখরুল) যে এখনো বেঁচে আছেন, তা জনগণকে জানান দেওয়া। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারির সংবাদ সম্মেলনে আচমকা তিনি ঝুলি থেকে বেগম জিয়ার জন্য পুরস্কার আবিষ্কার করলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বললেন, গণতন্ত্রের প্রতি অসামান্য অবদানের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্র্যাসি’ সম্মাননা দিয়েছে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও)। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্রেস্ট এবং সনদপত্র সাংবাদিকদের দেখান। সনদপত্র দেখে অনেকে বিস্মিত, হতবাক। ২০১৮ সালে এই সনদপত্র দেওয়া হয়েছে। বেগম জিয়া এত বড় এক স্বীকৃতি পেলেন, অথচ কেউ কিছু জানল না। প্রায় সাড়ে তিন বছর তা একান্ত গোপনীয় করে রাখা হলো। কি চমৎকার। এখন মুহূর্তের মধ্যেই যে কোনো খবর বিশে^র এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যায়। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের এত বড় পদকপ্রাপ্তির খবর বিশ্ব গণমাধ্যম বেমালুম চেপে গেল। এ ভারি অন্যায়। আমার মনে হয়, সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরাসহ বিশে^র তাবৎ প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া এখন ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ দিয়ে ভরে গেছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ খবরটি তারা বেমালুম চেপে গেছে। এ জন্যই বাধ্য হয়ে প্রায় চার বছর পর পদকপ্রাপ্তির খবরটি নিজেই জানালেন বেচারা বিএনপি মহাসচিব। এ রকম খবর তো জানার অধিকার আছে প্রতিটি নাগরিকের। বেগম জিয়ার পদকপ্রাপ্তিতে দেশের আমজনতার মতো আমিও পুলকিত হলাম, শিহরিত হলাম। পুরস্কার যেই পাক দেশের সুনাম হচ্ছে, এটাই তো বড় কথা। খুশিতে বাকবাকুম হয়ে আমি খুঁজতে লাগলাম কারা এই মহতী সংগঠন। কিন্তু এই সংগঠনের অস্তিত্ব খুঁজতে গিয়ে আমার ভিড়মি খাওয়ার মতো অবস্থা হলো। কানাডার এ মানবাধিকার সংগঠনের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেল, খুবই কাঁচা একটা ওয়েবসাইট। তা হতেই পারে, মানবাধিকার সংগঠনের তো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নেই যে তারা অ্যামাজনের মতো ওয়েবসাইট বানাবে। এই সংগঠনের স্টাফ মাত্র একজন। বাহ, কি চমৎকার। একজন করিৎকর্মা মানুষই সবকিছু করতে পারে, তাই একজন স্টাফ থাকাও দোষের কিছু নয়। পোর্টফোলিওতে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধের ছবি। কিন্তু এই সংগঠন কী কাজ করে, তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ কী- এ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। তবে আশার কথা হলো, বেগম জিয়াকে পুরস্কার দেওয়া এই সংগঠনটির একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। এই ফেসবুক পেজে লাইকের সংখ্যা ৮০টি। তা তো হতেই পারে। সমাজে ভালো কাজের প্রশংসা করার লোক কমে যাচ্ছে। এতে বিভিন্ন পোস্টে লাইকের সংখ্যা গড়ে ৩০টি। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হলো লাইক প্রদানকারীরা সবাই বাংলাদেশি। বাহ! কানাডার মানবাধিকার সংগঠন সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের এত আগ্রহ। আমি মুগ্ধ, অভিভূত। তবে যারা এই ওয়েবসাইটের দেখভাল করেন, তারা একটা ভারি অন্যায় করেছেন। এই ওয়েবসাইটে বেগম জিয়ার পুরস্কারপ্রাপ্তি সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। এমনকি নেই এ সংক্রান্ত কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত।

এত বছর পর বেগম জিয়াকে এ রকম একটা পুরস্কার দিয়ে বিএনপি আসলে কী প্রমাণ করতে চায়? বিএনপি মহাসচিব কি বুঝেশুনে এটা করেছেন? বেগম জিয়াকে জাতির সামনে হাস্যকর প্রমাণের জন্যই কি এসব কাণ্ড? কিছুদিন আগে বিএনপি মহাসচিব বেগম জিয়াকে নিয়ে আরেক কাণ্ড করেছিলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তিযোদ্ধা বলে ঘোষণা করেছিলেন। এ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, যিনি এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের এক জীবন্ত কিংবদন্তি ‘বাংলাদেশ প্রতিদিনে’ কলাম লিখে এর সমালোচনা করেছিলেন। স্পষ্টবাদী, নির্ভীক বঙ্গবীরের সমালোচনার পর বিএনপি বেগম জিয়াকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ বানানোর প্রকল্প থেকে সরে আসে। বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও বিএনপি নেতারা এবং চিকিৎসকরা অর্বাচীনের মতো নাটক করেছেন। গত বছরের ১৩ নভেম্বর যখন বেগম জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন বিএনপিপন্থি চিকিৎসক এবং বিএনপি নেতাদের অভিনয় ছিল দেখার মতো। তারা এমন এক আবহ তৈরি করেছিলেন যে আমার মতো অনেক বেকুব মনে করেছিল বেগম জিয়া বোধহয় যে কোনো সময়ই মারা যাবেন। এক দিন দেখলাম বিএনপিপন্থি চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন। তিনি সেদিন বেগম জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে জাতিকে যে তথ্য দিয়েছিলেন, তা অসত্য বিভ্রান্তিকর এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের নীতি-নৈতিকতা পরিপন্থী। এ জন্য তাঁর বিএমডিসির সনদ বাতিল হওয়া উচিত। কিন্তু বেগম জিয়ার অসুখ নিয়ে অসুস্থ রাজনীতি করে বিএনপি বেগম জিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের শেষ সহানুভূতিটুকু নিংড়ে নিয়েছে। ‘বাঘ এবং রাখাল বালক’-এর গল্পের মতো অবস্থা হয়েছে। এখন যদি সত্যি সত্যি বেগম জিয়ার অবস্থা গুরুতর হয় তাহলে তা কজন বিশ্বাস করবে, এ নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বেগম জিয়া কি তাহলে বিএনপির নোংরা এবং অসত্য রাজনীতির বলি হচ্ছেন? নাকি পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খেলো করা হচ্ছে?

বেগম জিয়ার রাজনীতি থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাওয়া যায়। অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে কিছুদিন বোকা রাখা যায়, চিরদিন নয়। এখন তাঁর পদক, তাঁর অসুখ ইত্যাদি প্রমাণ করে অসততার আবরণে বেগম খালেদা জিয়াকে নেতা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। ’৯১-এর নির্বাচনের আগে বেগম জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ফেনী পর্যন্ত ভারতের দখলে যাবে। মসজিদে উলুধ্বনি হবে। কিন্তু ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল এ সবই অসত্য। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা, তুখোড় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে এক ভাষণে বেগম জিয়ার নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ চলচ্চিত্রের একটি সংলাপ বলেছিলেন বেগম জিয়ার উদ্দেশে- ‘একটা কিছু ক গোলাপী, একটা কিছু ক।’ বেগম জিয়ার রাজনীতি আশ্চর্য নীরবতার। তিনি কথা বলেন কম, এখন তো তাও বলেন না। কারও ইশারায় যেন তিনি চলেন। তাঁর ডাকনাম পুতুল। পুতুল নাচের পুতুলের মতো বেগম জিয়ার রাজনীতির সুতো কার হাতে এ এক গবেষণার বিষয়। যখনই তিনি গণ্ডির বাইরে কথা বলতে চেয়েছেন, তখনই বিপত্তি হয়েছে। সংসদে তাঁর ‘চুপ থাক বেয়াদব’ কিংবা গুলশান অফিসের সামনে জনৈক পুলিশ কর্মকর্তাকে হুমকি ‘গোপালগঞ্জের নামই পাল্টে দেব’ বলে প্রতিহিংসার আগুন ঝরা বেগম জিয়ার উক্তিগুলো প্রমাণ করেছে, বেগম জিয়া অনেকটা চাঁদের মতো তাঁর নিজের আলো নেই। অন্যের আলোয় তিনি আলোকিত। যারা তাঁকে আলো দিয়ে রাজনীতিতে ‘আপসহীন নেতা’ বানানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছিল, তারা যে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না, এ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। বেগম জিয়ার নেপথ্যে যারা কলকাঠি নাড়ায় তারাই বেগম জিয়াকে যুদ্ধাপরাধীদের নেতা বানিয়েছে। তারাই বেগম জিয়াকে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। এদের নির্দেশেই বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে ’৭৫-এর খুনিদের কূটনীতিক চাকরিতে পদোন্নতি দিয়েছে। এদের প্রকল্প বাস্তবায়নে বেগম জিয়া জাতির শোকাবহ দিন ১৫ আগস্টকে নিজের ভুয়া জন্মদিন বানান। কেক কেটে বীভৎসতার নোংরা উৎসব করেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি হয়েছিল ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের বিজয় পূর্ণতা প্রায় ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে। কিন্তু ’৭১ পরাজিত শক্তি ভিতরে ভিতরে যুদ্ধটা অব্যাহত রেখেছিল। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের বিভিন্ন দলিলে দেখা যায়, ’৭১-এর পরাজয়ের পরও বাংলাদেশে তারা তাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছিল। বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর মিশনে তাদের প্রথম সাফল্য আসে ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের মাধ্যমে। জিয়াউর রহমানকে দিয়ে বাংলাদেশকে ‘নতুন পাকিস্তান’ বানানোর মিশনে অনেকটাই সাফল্য এসেছিল। আমাদের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা উপড়ে ফেলা হয়। ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে পুনর্বাসিত করেন জিয়াউর রহমান। যুদ্ধাপরাধী, রাজাকারদের জেল থেকে মুক্ত করেন। তাদের বিচার বন্ধ করেন। রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানান। কিন্তু জিয়ার মৃত্যুর পর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে যায়। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে তিনি এক নতুন গণজাগরণে নেতৃত্ব দেন। এ জন্যই পাকিস্তানপন্থিরা বেগম জিয়াকে সামনে আনে। কিন্তু সমস্যা হয় বেগম জিয়া গৃহবধূ। সংসার, সন্তান নিয়েই তিনি ব্যস্ত ছিলেন। তাই রাজনীতির মাঠে তাঁকে ‘তোতা পাখি’ বানানো হয়। তিনি সেটুকুই বলতেন, যেটুকু তাঁকে শিখিয়ে দেওয়া হতো। এভাবেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম জিয়ার অভ্যুদয়। বাংলাদেশে একটি সুশীল গোষ্ঠী আছে, যারা ছদ্মবেশী। এরা দেশপ্রেমের কথা মুখে বলেন কিন্তু মনে মনে দেশকে ঘৃণা করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে এদের হৃদয় ভাঙে। এদের প্রধান কাজ বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ, অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে বিশে^ উপস্থাপন। বাংলাদেশে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখিয়ে এরা বিদেশ থেকে টাকা আনেন। এই টাকায় এরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। দারিদ্র্যই এদের আরাধ্য। এরা বিশে^র সামনে বাংলাদেশকে সবসময় বিকৃত করে ছোট করে দেখতে চান। বেগম জিয়াকে পেয়ে এরা খুশিতে আত্মহারা। এমন ‘বোবা নেতা’ থাকলেই তো তাদের পোয়াবারো। এই সুশীলরা বেগম জিয়ার ইমেজ বৃদ্ধির মিশনে যোগ দিলেন। বেগম জিয়া কথা বলেন না, কী দারুণ। বেগম জিয়া থুঁতনিতে হাত দিয়ে শুধু শুনে যান, কী বিচক্ষণ। এভাবেই বেগম জিয়ার এক খোলস বানানো হয়। কিন্তু রাজনীতিতে নিজের যোগ্যতা ছাড়া বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। বেগম জিয়া সম্ভবত তার বড় প্রমাণ। বেগম জিয়াকে নিয়ে যা করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তা তাঁর জন্য বুমেরাং হয়েছে। ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন নিয়ে দেশে যখন নিন্দার ঝড় তখন বাধ্য হয়েই এই জন্মদিনের কুৎসিত উৎসব বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এই জন্মদিনের উৎসব পালন করতে গিয়ে দেখা গেল, তাঁর আসলে জন্মতারিখ পাঁচটা। অসুস্থতা নিয়েও একই নাটক হলো। এখন দেখা যাচ্ছে বেগম জিয়া তাঁর ফিরোজায় নাতনিকে নিয়ে ভালোই সময় কাটাচ্ছেন। সব শেষে পদক। দেখা গেল ইদি আমিনের মতো বিএনপির নেতারাই ভুয়া সংগঠন বানিয়ে পদক দিয়েছেন। কিন্তু এই পদক নাটকটাও বিশ্বাসযোগ্য করতে পারেনি বিএনপি। আপসহীন নেত্রী এখন জাতির কাছে কৌতুক নেত্রীতে পরিণত হচ্ছেন। এটাই হলো ভুল রাজনীতির পরিণতি।

বেগম জিয়াকে নিয়ে বিএনপি নেতারা যে তামাশা করছেন, তার  পেছনে আরেকটি কার্যকারণও থাকতে পারে বলে আমি মনে করি। বিএনপির প্রধান নেতা কে এ নিয়ে আমার বিভ্রম আছে। যেদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম জিয়াকে বিএনপি চেয়ারপারসন সম্বোধন করলেন। আবার তারেক জিয়াকে বললেন ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন।’ বিএনপির কমিটি বিন্যাস অনুযায়ী তারেক জিয়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। বিএনপির গঠনতন্ত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে কোনো পদ নেই। বিএনপি নেতাদের বক্তৃতা-বিবৃতি শুনে যা বুঝি তা হলো, তারেক জিয়াই এখন বিএনপির সর্বৈসর্বা। কিন্তু বিএনপির নেতারা তার কথায় ওঠাবসা করলেও জনগণের মধ্যে তার প্রচণ্ড ইমেজ সংকট। সাধারণ মানুষ মনে করে, তারেক জিয়া দুর্নীতিবাজ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তার ব্যাপারে নানা সমালোচনা শুনি। আজন্ম দেশকে ভালোবাসা কিংবদন্তি কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইলের বাড়িতে গিয়েছিলাম কদিন আগে। একটি গবেষণার কাজে টাঙ্গাইলে যাই। প্রেস ক্লাবে বসে কথা বলছিলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি নাসির ভাইয়ের সঙ্গে। তিনি বললেন, পাশেই বঙ্গবীরের বাড়ি। আমি দাদাকে ফোন করলাম। দাদা সবসময় কথা বলেন ভীষণ মমতায়। আমি বললাম, আমি তো টাঙ্গাইলে। দাদা জানালেন আমি তো কিছুক্ষণের মধ্যে টাঙ্গাইলে আসছি। তোমরা সবাই দুপুরে আমার বাড়িতে খাবে। কালিহাতীর একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করে, অনেক বেলায় আমরা এই অসাধারণ মানুষটির বাড়িতে গেলাম। খাওয়া-দাওয়া আড্ডা হলো। তখন বঙ্গবীর বলছিলেন, ‘তারেক দেশের নেতা হবে, এটা কিছুতেই মানতে পারব না। এটা হতে দেওয়া যাবে না কখনো।’ এটাই হলো দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের অভিপ্রায়। তাই দলে যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন, দেশের জনগণের কাছে তারেক জিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নেই। দলেও শুনি তাকে নিয়ে অস্বস্তি আছে। বিশেষ করে, ২০১৮ সাল থেকে তারেক জিয়াকে নিয়ে বিএনপিতেই অনেক প্রশ্ন। জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলার রায়ের আগে বেগম জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। এ সময় বিএনপির অনেকে খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে বেগম জিয়া যেন এখন দেশে না যান। কিন্তু তারেক জিয়ার আগ্রহে বেগম জিয়া দেশে আসেন এবং আদালতের রায়ে কারাগারে যান। বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ কারাবাসে তারেক জিয়া, তার স্ত্রী, কন্যা কেউ একবারের জন্য দেশে আসেননি। এমনকি বেগম জিয়া তিন দফা হাসপাতালে ভর্তি হলেও তারা আসেননি। বাংলাদেশের মতো পরিবারকেন্দ্রিক আবেগতাড়িত সমাজে এ বিষয়গুলো কেউই ভালোভাবে নেয়নি। অনেক সাধারণ মানুষকে বলতে শুনেছি, যে মায়ের জন্য ঝুঁকি নিতে পারে না, সে দেশের জন্য ঝুঁকি নেবে কীভাবে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, আচ্ছা তারেক জিয়ার না হয় মামলা আছে, আদালতের দণ্ড আছে। কিন্তু তার স্ত্রী, কন্যা কেন একবারও বেগম জিয়াকে দেখতে এলো না। ২০১৮-এর নির্বাচন, খালেদা জিয়ার গ্রেফতার এবং তাঁর অসুস্থতা তারেক জিয়ার ক্ষয়িষ্ণু ইমেজকে আরও সংকুচিত করেছে। রাজনীতির আদি এবং চিরন্তন তত্ত্ব, এক গ্রামে দুই মোড়ল থাকতে পারে না। এক দলে দুই নেতা চলতে পারে না। বিএনপিতে এখন দুই নেতা। আর এ জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে কি তারেক জিয়া বিএনপির মসনদ দখল করতে চান? এ জন্যই কি বেগম জিয়াকে কখনো অসুস্থ বানিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। আবার কখনো ভুয়া পদক দিয়ে হাস্যকর করা হচ্ছে? আগে দেখতাম স্কুলে শিক্ষকের বিদায়ের সময় মানপত্র, ক্রেস্ট এবং ছাতা দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হতো।  খালেদা জিয়াকেও ২০১৮ সালের পদক আর মানপত্র দিয়ে কি রাজনীতি থেকে বিদায় করে দেওয়া হলো?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

১ সেকেন্ড আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

১৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৪৬ মিনিট আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে