শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:৩৭, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২ আপডেট:

বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের বিছানা থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের বিছানা থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে

শেষ হয়ে গেল বাঙালির গৌরবের, বাঙালির সংগ্রামের মাস। আবার এ মাস পাব কি না জানি না। এর মধ্যে হয়ে গেল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। স্বাধীন দেশে ৫০ বছর বেঁচে থাকব, ভালোমন্দ দেখতে পাব এটা মুক্তিযুদ্ধের সময় ভাবিনি। আর এও ভাবিনি ৩০ লাখ মানুষের রক্তস্নাত বাংলাদেশ কখনো এমন হবে। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরের ১১-১২ তারিখ হঠাৎই মধ্যরাতে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। পেটে প্রচন্ড যন্ত্রণা। অপ্রস্তুত থাকার কারণে কোনো পাত্র না থাকায় বিছানার পাশে ফ্লোরে বমি করেছিলাম তিন-চার বার। পায়খানা বেশ পাতলা হয়েছিল। রাত দেড়টা থেকে প্রায় ৬টা- অসম্ভব যন্ত্রণায় একাই কাটিয়েছিলাম। আমার স্ত্রী কুশিমণিকে নিয়ে পাশের ঘরে থাকেন। দরজা খুলে এক ডাকেই সবাইকে পেয়েছিলাম। খুব হুলুস্থূল করে ছেলেমেয়ে, স্ত্রী, সহকর্মী সবাই হাজির। ৪০ বছর ধরে ফরিদ আছে। আমার সব অসুস্থতায় সে সঙ্গী হয়। এক যুগের মতো আলমগীর আছে। সেও একই রকম। যে কোনো কষ্ট হাসিমুখে মেনে নেয় সব সময়। মনে হয় দিনটা ছিল ১৩ সেপ্টেম্বর। আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের সব সময় খোঁজখবর রাখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ। দারুণ ভালো মানুষ। আরেক প্রিয় ডাক্তার নাজির আহমেদ রঞ্জু। রঞ্জু আমার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে ছিল। সে ডাক্তার হয়েছে প্রফেসর হয়েছে। রঞ্জু এবং আবদুল্লাহ ভাইকে জিজ্ঞেস না করে আমার স্ত্রী এক পা-ও ফেলেন না। তাই আবদুল্লাহ ভাইকে ফোন করেছিলাম। তিনি সঙ্গে সঙ্গে কী একটা ওষুধের নাম বলেছিলেন। সারা দিনে মনে হয় তিনবার খেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আবদুল্লাহ ভাইয়ের ওষুধে কখনো এমন হয় না। তখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে জানিয়েছিলাম। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ডা. শরিফুল ইসলামকেও বলেছিলাম। ডা. শরিফ মুক্তিযুদ্ধে যেমন অংশগ্রহণ করেছিল, তেমনি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধযুদ্ধেও শামিল হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব নিয়েছিল এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে এক সফলতার চূড়ায় নিয়ে গিয়েছিল। না হলে গারো পাহাড়ের পাদদেশে কালাজ্বর আর ম্যালেরিয়াতেই আমাদের অর্ধেক মানুষ মারা যেত। মনে হয় ১৫ তারিখ প্রথমে কেবিন ব্লকের ভিভিআইপি ২১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি হয়েছিলাম। আমাদের ভরসাস্থল অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন প্রায় ১০-১২ দিনের জন্য। সেখান থেকে ফিরেই আমাকে দেখতে এসেছিলেন। হাসপাতালে এসেও চার দিন যন্ত্রণায় কোনো হুঁশজ্ঞান ছিল না। জ্বর, পেটে ব্যথা ছিল। এরপর নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রামে ধরা পড়ে গলব্লাডারের একেবারে মুখে এক পাথর চাপা পড়ে আছে। ভর্তি হয়েছিলাম মেডিসিনে, বদলি করা হয় সার্জারিতে। তারা ১০-১৫ জন বোর্ড বসিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা করে অপারেশনের দিন-তারিখ ঠিক করেছিলেন। 

মনে হয় ১৮ তারিখের করোনা টেস্টে ফল ছিল নেগেটিভ, রক্ত পরীক্ষায় বিলোরবিন একটু বেশি। পরদিনই বিলোরবিনের মাত্রা নেমে যায়। কিন্তু পরদিন করোনা টেস্টে ফল আসে পজিটিভ। সবকিছু উলটপালট হয়ে যায়। যারা সঙ্গে ছিল একদিন আগে নেগেটিভ, পরদিন পজিটিভ। বাড়িতে বেগম সাহেবার পজিিটভ। তাঁকে আমার কেবিনে নিয়ে আসা হয়। দুই দিন পর খবর এলো ছোট মামণি কুশির পজিটিভ। এক বিশ্রী ব্যাপার। ২২-২৩ দিন পর নেগেটিভ হওয়ার তিন-চার দিন পর বাড়ি ফিরেছিলাম। তখনো মামণির পজিটিভ। আরও পাঁচ-ছয় দিন পর তার নেগেটিভ হলো। করোনা ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হলো বাবর রোডের বাড়ি থেকে। ভালোই চলছিল দিনরাত। হঠাৎ ১৯ মার্চ রাতের খাবার খেয়ে ড্রয়িং রুমে বসতেই অস্বস্তি, বুকে প্রচন্ড চাপ। গরম পানি খেয়ে চেষ্টা করে বমি করলাম। কিন্তু কোনো ভালোমন্দ নেই, যা ছিল তা-ই। কেউ বুক, কেউ পিঠ দোয়াচ্ছে, কেউ হাত-পা টিপছে এই করে অর্ধেক রাত কেটে গেল। সহকর্মী আলমগীর আমার ঘরে এসে নিচে বিছানা করল। কিন্তু কষ্ট কমল না। এভাবেই রাত কাটল, সকাল হলো। ফরিদ ছেলেমেয়ে নিয়ে তার বাড়িতেই থাকে। খবর দিয়ে তাকে আনা হলো। আসার সঙ্গে সঙ্গেই বলল, ‘দাদা, এখনই চলুন ঢাকা চলে যাই।’ গাড়িতে বসে থাকতে পারব কি না সন্দেহ। তাই বলেছিলাম এখন নয়, আরেকটু দেখে নিই। সাড়ে ১০টা-১১টা থেকে ব্যথা কমে এলো। যখন লিখছি তখনো যেমন ব্যথা ছিল না, আগামীকাল যখন অপারেশনে যাব তখনোও হয়তো কোনো ব্যথা-বেদনা থাকবে না। তাই দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। দয়াময় আল্লাহর পর দেশবাসীই আমার একমাত্র আশ্রয়।

গতবার যখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকে ভর্তি ছিলাম তখন ব্যাপারটা প্রথম চোখে পড়ে। বাংলাদেশের দুটি বড় হাসপাতালের মধ্যে কয়েক বছর ধরে মেট্রোরেলের কাজ হচ্ছে। রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। রাতদিন কাজ চলে। কর্মতৎপরতা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। রোগীরা ঘুমাতে পারে না। দিনরাত ঠকঠক ঢকঢক লেগেই আছে। তা-ও ভবিষ্যতের স্বস্তির কথা চিন্তা করে আনন্দিতই হয়েছি। কোনো ক্ষোভ জাগেনি মনে। দোতলা থেকে মেট্রোরেলের সবকিছু ভালোভাবে দেখা যায় না। কিন্তু পাঁচ তলার বারান্দা থেকে সবকিছু হাতের কাছে মনে হয়। এবার চোখে পড়ল এবং বিরক্তও লাগল, গত পাঁচ-ছয় দিন সারা রাত ঢকঢক ঠকঠক ঝকঝক কত বিচিত্র আওয়াজ। নানা রকমের মেশিন চলছে, লোহালক্কড় খুলছে, লাগাচ্ছে। এক মহাযজ্ঞ। কেন যেন ঠিক তখনই মনে হলো- আচ্ছা আমরা না হয় নির্মাণের সময় কষ্ট করলাম। কিন্তু বারডেম আর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝখানে এই যে শাহবাগের মেট্রো স্টেশন ওটার কোলাহল তো সারা জীবন, কিয়ামত পর্যন্ত সবাই ভোগ করবে। জানি না, কিয়ামত পর্যন্ত আমার দেশ থাকবে কি না, পৃথিবীর চেহারা কেমন হবে। কিন্তু যেমনই হোক এ দেশের এই ভূখন্ড যদি সচল থাকে তাহলে বারডেম আর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের মাঝখানে মেট্রো স্টেশনের যন্ত্রণা লাখ লাখ কোটি কোটি অসুস্থ মানুষকে ভোগ করতে হবে অনন্তকাল। কয়েক বছর আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বগুড়া-রংপুরের রাস্তা উন্নত হয়েছে। আগে ছিল দুই লেন এখন চার লেন। বিএনপির যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদাকে সংসদে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘মাননীয় মন্ত্রী! কারা ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের নকশা করেছে জানি না। কিন্তু পথে পথে এলোমেলো ডিভাইডার দেওয়ার কারণে নিত্যদিন ৪-৫ এমনকি ১০টা পর্যন্ত দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই বেশ কয়টা ডিভাইডার ভেঙে দিতে অনুরোধ করছি।’ মাননীয় মন্ত্রী আমার অনুরোধ রেখেছিলেন। আমার একজন প্রিয় মানুষ রেজাউল হায়াত তখন ছিলেন যোগাযোগ সচিব। চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং আরও কয়েকজনকে নিয়ে ডিভাইডার দেখতে গিয়েছিলেন ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত। ফেরার পথে রাবনা-তারুটিয়া-করাতিপাড়া-দেওহাটা-ধেরুয়ার ডিভাইডার ভেঙে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন। তাতে হাতে হাতে ফল পাওয়া যায়। যেখানে প্রতিদিন দু-তিনটি দুর্ঘটনা ঘটত সেখানে ডিভাইডার ভেঙে দেওয়ার পর মাসেও একটি দুর্ঘটনা ঘটেনি। ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে দিনে যেখানে ২০-২৫ জন মারা যেত সেখানে মাসেও তেমন দুর্ঘটনা হতো না এবং মারা যেত না। ভুল পরিকল্পনা মানুষের কত ক্ষতি করে তার উজ্জ্বল প্রমাণ ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়ক। সেসব এলোমেলো রোড ডিভাইডার ভেঙে দেওয়ায় কত মানুষের প্রাণ বেঁচেছে। যারা ডিভাইডার ভেঙে দিয়েছিল তারা সবাই হজের সওয়াব অর্জন করেছেন, মন্ত্রীর নজরে আনায় আমারও হয়তো অল্প বিস্তর সওয়াব হয়েছে। তেমনি ঢাকা মেট্রোরেল এবং বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল এবং বারডেমের মাঝামাঝি রেলস্টেশন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ এবং আমার বক্তব্য- যারা এ রাস্তার অ্যালাইনমেন্ট করেছেন, নকশা করেছেন, স্টেশন বসিয়েছেন তারা কি একটু ভেবে দেখতে পারতেন না, দেশের দুটি শ্রেষ্ঠ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের ২০০ গজ উত্তরে অথবা ২০০ গজ দক্ষিণে স্টেশন স্থাপন করলে কী এমন ক্ষতি হতো? কত মুমূর্ষু রোগী যন্ত্রণার হাত থেকে বেঁচে যেত। যারা মেট্রোরেলের নকশা করেছেন, যারা নির্মাণ করছেন তারা অনেক সওয়াবের কাজ করতেন। স্টেশনটি আগে পিছে করলে কতটা সুবিধা হতো ভাবীকাল বিচার করবে। যারা করেছেন তারা হয়তো বলবেন, রোগীদের সুবিধার জন্য করেছেন। বলতে পারেন। কারণ কথা বলতে ট্যাক্স লাগে না। তবে কথাটা যৌক্তিক হবে না। কারণ দেশের এ সর্বোচ্চ দুটি চিকিৎসা কেন্দ্রে যারা আসবেন তারা বেশিসংখ্যক মেট্রোয় আসবেন না। আসবেন কেউ গাড়িতে, কেউ অ্যাম্বুলেন্সে।

জানি না এ প্রসঙ্গের অবতারণা করে আমি টিকে থাকতে পারব কি না, নাকি তুফানে ভেসে যাব। তবু অন্তরের নির্দেশে মনের কথা না বলে থাকতে পারলাম না, তাই বললাম। আমেরিকার প্রতি আমাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। কিন্তু রাশিয়ার প্রতি আছে। সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত কিছু বিপথগামীর হাতে বঙ্গবন্ধু নিহত হলে বাংলাদেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ইউজিন বুস্টার পিতার মৃত্যু নিশ্চিত করে আমেরিকায় খবর পাঠিয়েছিলেন। যিনি চিলির আলেন্দেকে হত্যা করে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করার দায়িত্ব নিয়ে এসেছিলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অবশ্যই বেদনাদায়ক। প্রায় অর্ধকোটি মানুষ দেশত্যাগী সর্বহারা- এটাও খুব কষ্টের এবং নিন্দনীয়। যারা ক্ষমতাবান তাদের দয়া করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একটু চিন্তা করতে অনুরোধ করব, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে, না তাকে আক্রমণে বাধ্য করা হয়েছে? একটা কথা খোলাখুলি বলাই ভালো, দেশ আর নৌটাংকি এক না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একসময় একজন কৌতুক অভিনেতা ছিলেন। জগৎটাকে কৌতুক অভিনয়ের মঞ্চ ভাবলে হবে না। দেশ নিয়ে কৌতুক চলে না। ইউক্রেনের নেতা তাঁর দেশ নিয়ে তেমনটাই কি করেননি? তাঁকে সব সময় উসকানো হয়েছে, সারা বিশ্ব তাঁর পেছনে। আমেরিকা তো আছেই। তাঁকে কিছু করতে হবে না। শুধু শুরুটা করলেই হলো। চারদিক থেকে সব পশ্চিমা শক্তি রাশিয়ার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। জেলেনস্কি শুধু উপলক্ষ মাত্র। কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করে তখন সবার আগে আমেরিকা পিছুটান দেয়। পৃথিবীর মোড়ল আমেরিকার কত বড় বড় ব্যর্থতা। তা-ও যদি তারা লজ্জিত না হয় কে তাদের লজ্জা পাওয়াবে? বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে ভিয়েতনাম থেকে তাদের কাপড়-চোপড় ফেলে লেজ গোটাতে হয়েছিল। আবার ২০ বছর আফগানিস্তানকে কবজায় রেখে ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট শান্তিপূর্ণভাবে আফগানিস্তান ত্যাগের চুক্তি হলে ১৪-১৫ আগস্টের মধ্যেই বিনা রক্তপাতে তালেবান আফগানিস্তান দখল করে নেয়। কাবুল সরকার পরাজিত হয়। প্রায় ৩ লাখ আমেরিকার তৈরি আফগান সেনা, হাজার হাজার সাঁজোয়া যানবাহন, হেলিকপ্টার, বিমান, লক্ষ কোটি টাকার অস্ত্র কোনো কিছুই কাজে আসেনি। ঠিক আছে পৃথিবীর পরাশক্তি আমেরিকা, মোড়লপানা করার একটা খায়েশ তো তাদের সব সময়ই থাকবে। কিন্তু এখন দুনিয়ায় কেউ কাউকে মোড়ল মানে না। আমাদের দেশ বাংলাদেশ প্রথম অবস্থায় জাতিসংঘের প্রস্তাবে কোনো সাড়া দেয়নি, ভোটদানে বিরত ছিল। কিন্তু কেন যে সেদিন বাংলাদেশ ইউক্রেনের পক্ষ নিয়েছে, এই পক্ষ নেওয়ায় ইউক্রেনের কী সুবিধা হবে, আমাদেরই-বা কী লাভ হবে বুঝতে পারলাম না। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোথায় ছিলেন জানি না। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর অনুমতি নিয়ে অমনটা করেছেন বলে তো মনে হয় না। তিনি তো এর আগে অনেক আন্তর্জাতিক বিষয় বাংলাদেশের পক্ষে চোখ ধাঁধানো পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাহলে ইউক্রেন-রাশিয়ার ক্ষেত্রে এমনটা হবে কেন? এটা তো কেউ বিশ্বাস করতে চায় না। ইউক্রেনের পক্ষ নেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মত আছে? আমার তো একেবারেই বিশ্বাস হয় না। মুক্তিযুদ্ধে মহান ভারত ছাড়া একমাত্র বৃহৎ শক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের সমর্থন করেছিল। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে আমেরিকা যখন বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠাচ্ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন তার নৌবহর নিয়ে এগিয়ে না এলে, বাধা না দিলে আমরা হয়তো আজও পরাধীন থাকতাম। বঙ্গবন্ধুর ফাঁসি হতো, আমার ফাঁসি হতো, আমাদের অনেক নেতার ফাঁসি হতো, জিয়াউর রহমানও বাদ যেতেন না, অনেক জেনারেল ফাঁসিতে ঝুলতেন। সেখান থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছিলাম সোভিয়েত বা রাশিয়ার কারণে। আমরা যখন দুর্বার গতিতে ঢাকার দিকে এগোচ্ছিলাম তখন জাতিসংঘের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে একমাত্র রাশিয়া আমাদের পক্ষে ভেটো দিয়েছিল। যে কারণে সিসফায়ারের আগেই আমরা ঢাকা দখল নিতে পেরেছিলাম। যার ফলে আজকের বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর শত্রুর পেতে রাখা মাইন মুক্ত করেছিলেন। যুদ্ধের কারণে জাহাজ ডুবে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডুবন্ত জাহাজ সরিয়ে চ্যানেল চালু করেছিলেন। তাদের তীব্র খাদ্য ঘাটতি থাকার পরও আমাদের কয়েক লাখ টন খাদ্য সহযোগিতা করেছিলেন।

এখানেই শেষ নয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আমাদের যে ফুটানি তা-ও করছে রাশিয়ার লোকজন রাশিয়ার অর্থে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলার সময়ও কাজটি এগিয়ে চলেছে। আরও কত প্রকল্প, কত ডাক্তার রাশিয়ায় লেখাপড়া করেছে। আমাদের প্রিয় প্রাণ গোপাল বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর রাশিয়ায় পড়তে গিয়েছিল। আরও কত কী। এই কদিন আগেও তো মিগ-২৯ কিনতে বা চুক্তি করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া গিয়েছিলেন। ব্যাপারগুলোকে কি একটুও ভেবে দেখতে হবে না? ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে রাজধানীর বাইরে কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমা নিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম টাঙ্গাইল গিয়েছিলেন। পাকিস্তানি হানাদাররা আমাদের টাঙ্গাইল শহরের বাড়ি পুড়ে ছারখার করে দেওয়ায় স্বাধীনতার পর কিছুদিন আমি ওয়াপদা ডাকবাংলোয় থাকতাম। পাকিস্তানি হানাদারদের চলাচল বন্ধ করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল রাস্তা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলাম। সেই রাস্তায় ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পৌঁছে বঙ্গবন্ধু ধূলি-ময়লায় একাকার হয়ে গিয়েছিলেন। তাই আমার বাথরুমে গোসল করেছিলেন। তার মুজিবকোট ধুলাবালিতে একেবারে পরার মতো ছিল না। কোটটি ব্রাশ করতে গিয়ে এক বিপত্তি বাধে। সহজে ব্রাশ করা যাচ্ছিল না। কারও গায়ে জড়াতে পারলে ভালো হয়। কিন্তু তখন অনুভূতি ছিল বড় বেশি তীব্র। বঙ্গবন্ধুর কোট কার গায়ে জড়িয়ে ব্রাশ করা হবে শ্রদ্ধা-ভক্তি-ভালোবাসায় কেউ কোটটি গায়ে তুলতে চাচ্ছিল না। দুলাল, পিন্টু, মাসুদ, হালিম অথবা অন্য কেউ কোটটি হাতে নিয়ে ভালোভাবে ব্রাশ করতে পারছিল না। সমস্যা দেখে কোটটি নিয়ে ড. নুরুন্নবীর গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিলাম। ড. নুরুন্নবী আমাদের চোখে কোনো বেমানান ছিল না। বেটেখাটো সত্য, কিন্তু কখনো অত অদ্ভুত লাগত না। বঙ্গবন্ধুর কোট গায়ে জড়ালে দেখা গেল কোটটি তার হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঝুলে পড়েছে। আসলেই দেখতে বেশ বিসদৃশ লাগছিল। যা হোক গোসল করে পরিষ্কার কাপড়-চোপড় পরে আমরা যখন নিচে নামছিলাম একজন বিদেশি অতিথি এসে হাজির। হাত মিলিয়ে বললেন, ‘আমি আন্দ্রে ফোমিন, বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। মহান সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আপনার মহান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানাতে এসেছি।’ বলেই রাষ্ট্রদূত হাত বাড়িয়ে স্বীকৃতির কাগজ বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দিলেন। আমরা ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। রাষ্ট্রদূতকে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউসে নিয়ে গিয়েছিলাম। খাওয়ার টেবিলে বঙ্গবন্ধুর সামনাসামনি বসে ছিলেন। আমিও পাশে ছিলাম। সেসব কত মধুর স্মৃতি আজ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধেও মনে পড়ে।

লেখক : রাজনীতিক।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়