নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের শোক সমাবেশে প্রধান অতিথি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এ কে এ মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করার স্বার্থেই সকল বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার চলমান কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে প্রত্যেক প্রবাসীকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সে ঐক্যের পথ ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করা হবে’।
জাতীয় শোক দিবস স্মরণে এ সমাবেশে রাষ্ট্রদূত মোমেন উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে আজ বিশ্বব্যাপী সম্মান দেখানো হয়। জাতিসংঘের প্রতিটি ফোরামে আমাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্যে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক অগ্রগতি সাধন করেছে। এমডিজির ৮ পয়েন্টের ৭টিই অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতিসাধিত হয়েছে বর্তমান বাংলাদেশে।’
রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, ‘আজকের এ শোক দিবসে আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত যে, সমৃদ্ধশালী, শান্তিপূর্ণ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়তে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার।’ ‘বাংলাদেশে এখনও ৪ মিলিয়ন তথা ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে দিনাতিপাত করছেন। এ সংখ্যা দ্রুত হ্রাসের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। দলাদলি, হানাহানি এবং গণতন্ত্রের লেবাসে সন্ত্রাস-রাহাজানি বন্ধে প্রবাসীদের সোচ্চার থাকতে হবে’ আহ্বান মোমেনের।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাতে ব্রুকলিনে রাধুনী রেস্টুরেন্টের মিলনায়তনে এই শোক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের সভাপতি মো. আব্দুল কাদের মিয়া।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক মহানর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টা এন আমিন, চট্টগ্রাম সমিতির বোর্ড অব ট্রাস্টিও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ, আওয়ামী লীগ নেতা আকতার আহমেদ চৌধুরী, মোস্তফা কামাল পাশা, কামাল পাশা মানিক, আশ্রাফউদ্দিন প্রমুখ। ।
বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাকির আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল কালাম আজাদ এমপি ঢাকা থেকে টেলিফোনে প্রদত্ত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু পরিবারের জীবিত সকল সদস্যের জন্যে প্রবাসীদের দোয়া কামনা করেছেন। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রবাসীদের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিকল্প নেই বলে তারা মন্তব্য করেন। শুরুতে হাফেজ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শেষে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ আগস্ট, ২০১৫/ রশিদা