সমসাময়িক অভিবাসন কেন্দ্রিক বৈশ্বিক ইস্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বিশেষ দূত পিটার সাদারল্যান্ড এ বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত কর্মপরিকল্পনার প্রশংসা করে বলেন, ‘অভিবাসীদের অধিকার সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার আলোকে বৈশ্বিক অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে আরো নিরাপদ-নিয়মতান্ত্রিক-নিয়মিত ও দায়িত্বশীলকরণ করতে হবে।’
বিশ্বব্যাপী অভিবাসন সংকটের স্থায়ী সমাধানের মধ্যেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের সোপান বলেও মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ দূত।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ে গতকাল বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি পিটার সাদারল্যান্ডের সাথে ‘ফ্রেন্ডস অব মাইগ্রেশন’ গ্রুপের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ গ্রুপের অন্যতম কো-চেয়ার হিসেবে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এই সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
অপরাপর সদস্যরাও বাংলাদেশের নেতৃত্বে এই গ্রুপের মাধ্যমে ধনী ও গরীব দেশের অভিবাসন সংকট অবসানে সুদূর প্রসারি কর্ম-কৌশল গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অভিবাসীদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় উন্নত বিশ্বের প্রতি আরো মানবিক হবার আহ্বান উচ্চারিত হয় এ সভা থেকে।
পিটার সাদারল্যান্ড বলেন, ‘আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত হবে দেশে উদ্বাস্তু ও অভিবাসন ইস্যুতে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন। সেখান থেকে যুগোপযোগী এবং সর্বজনীন একটি কর্মকৌশল গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশসহ ৩৩ দেশের সমন্বয়ে নবগঠিত ‘ফ্রেন্ডস অব মাইগ্রেশন’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
বাংলাদেশ ‘গ্লোবাল ফোরাম ফরম মাইগ্রেশন’এর চেয়ার। এ দায়িত্বে অভিবাসন বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন পিটার সাদারল্যান্ড।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ জুন, ২০১৬/ আফরোজ