বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গত রবিবার নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে নান্দুস পাটি হল মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী এ সংগঠনের দীর্ঘ ৬৭ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিশ্লেষণ করেন। এ সময় সকলে বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ বশারত আলী এবং পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন দলীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়। আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আকতার হোসেন, সামসুদ্দীন আজাদ, লুৎফুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ, আব্দুর রহিম বাদশা এবং চন্দন দত্ত, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহ বকতিয়ার, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সোলেমান আলী, যুব বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুকু, উপ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপদেস্টা ডা. মাসুদুল হাসান, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন হিন্দোল কাদির বাপ্পা, শরীফ কামরুল আলম হীরা, আব্দুল হামিদ, এম আলম বিপ্লব, ইলিয়ার রহমান, রফিকুল ইসলাম, জহির উদ্দীন, হুসেন রানা, মহিলা আওয়ামী লীগের সভনেত্রী শাহানাজ মমতাজ এবং সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সভাপতি মিসবাহ আহম্মেদ এবং সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলম, শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহাম্মেদ, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সরদার, সহ সভাপতি আশ্রফ উদ্দীন, দরুদ মিয়া রনেল, কবির আলী, সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথ, স্টেট যুবলীগের সভাপতি জামাল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক সেবুল মিয়া, ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক আলামিন আখন্দ প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম নেওয়া সংগ্রামী ঐতিহ্যের পতাকাবাহী, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠন আওয়ামী লীগ ৬৭ বছরের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় একটি আদর্শ, বিশ্বাস, চেতনা ও মূল্যবোধে পরিণত হয়েছে। যে সংগঠনটি বাঙালি জাতিকে তার আদর্শে অনুপ্রাণিত, চেতনায় উজ্জীবিত আর নীতিকে বিশ্বাসে পরিণত করে নিজস্ব জাতি-রাষ্ট্র গঠনের মন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে।’
আলোচনা শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় মাওলানা বজলুর রহমানের নেতৃত্বে। এরপর ইফতার গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ জুন, ২০১৬/ আফরোজ