যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতা সিনেটর (নিউইয়র্ক) চাক শ্যুমার দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন, ‘নাগরিকদের অধিকার খর্ব হয় কিংবা কেউ ধর্মীয় অথবা জাতিগত বিদ্বেষের শিকার হন-এমন যে কোন পদক্ষেপ রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ডেমক্র্যাটিক পার্টির পতাকাতলে জড়ো হয়ে যে কোন অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ রচনা করতে হবে।’
গত রবিবার সন্ধ্যায় কুইন্সে ফ্লাশিং মেডোস পার্ক সংলগ্ন কুইন্স মিউজিয়ামে কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলীর ‘হলিডে পার্টি’ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গণবিরোধী নীতির প্রতি ইঙ্গিত করে সিনেটর শ্যুমার আরও বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমক্র্যাটদের বড় ধরনের বিজয় দিতে হবে। কংগ্রেস যদি আমাদের দখলে আসে তাহলে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক যা ইচ্ছা তা করা সম্ভব হবে না।’
হাউজে ডেমক্র্যাটিক ককাসের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার যোসেফ ক্রাউলি। এ প্রসঙ্গের অবতারণা করে চাক শ্যুমার বলেন, ‘সামনের দিনে এই ক্রাউলিকে আমরা হাউজে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা দেখতে চাই। তাহলে সর্বস্তরে সৃষ্ট ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ লাভ করা সম্ভব হবে।’
আলো ঝলমল মঞ্চে গিটার কাঁধে ঝুলিয়ে স্বাগত বক্তব্যে ১৪তম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলি বলেন, ‘আজকের এ প্রাণময় পরিবেশ জিইয়ে রাখতে হবে জীবনের প্রতিটি কাজে। আমেরিকার ইতিহাস-ঐতিহ্য অটুট রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
এরপরই শুরু হয় গানে গানে বড়দিন, ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর বর্ণাঢ্য আয়োজন। মধ্যমনি ছিলেন ক্রাউলি নিজে। তার সাথে কণ্ঠ মেলান সিনেটর চাক শ্যুমার, সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো, নিউইয়র্ক সিটির কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রিঙ্গার, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা কাটজসহ স্টেট ও সিটির বিভিন্ন স্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
উৎসব-আমেজের এ সমাবেশে ছিলেন কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট ডেমক্র্যাটিক পার্টির লিডার এটর্নী মঈন চৌধুরী, সাবেক লিডার মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, ডেমক্র্যাট মোর্শেদ আলম, কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট ও ডেমক্র্যাট ওসমান চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার সাদেক, কমিউনিটি লিডার এ এইচ এম লুৎফর রহমান লাতু প্রমুখ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যুবদলের সহ-সভাপতি ফরহাদ হোসেন আজাদ এবং ঢাকার লালমাটিয়া ডিস্ট্রিক্ট রোটারি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশে আমেরিকান ইয়ুথ বাস্কেটবলের অ্যাম্বাসেডর ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইসলামও সরব ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
সিনেটর চাক শ্যুমারকে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন জানান এবং তার কাছে ইমিগ্র্যান্টদের মর্যাদা সুরক্ষায় করণীয় সবকিছু করতে অনুরোধ রাখেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সাল থেকেই জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছেন যোসেফ ক্রাউলি। সর্বস্তরের প্রবাসী তার নির্বাচনে শ্রম ও অর্থ প্রদান করছেন। এর বিনিময়ে ক্রাউলি নিজেও বাংলাদেশের স্বার্থে হাউজে যতটা সম্ভব কাজের চেষ্টা করছেন। সে কাজে গতি আনতে ‘কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ’ হয়েছেন এটর্নী মঈন চৌধুরী। একইসাথে তিনি প্রবাসীদের স্বার্থেও এই কংগ্রেসম্যানের সহায়তা নিতে বদ্ধ পরিকর।
বিডি-প্রতিদিন/২০ ডিসেম্বর, ২০১৬/মাহবুব